সৌরজগৎ (ঝড়ষধৎ ভধসরষু) : সূর্য এবং তার চারদিকে ঘূর্ণায়মান গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু, ধূমকেতু, ধূলিকণা ও গ্যাস নিয়ে সৌরজগৎ গঠিত।
গ্যালাক্সি : সূর্য এবং গ্রহগুলো সৌরজগতের অংশ। আবার সৌরজগৎ গ্যালাক্সির অন্তর্ভুক্ত। গ্যালাক্সি হচ্ছে নক্ষত্রের একটি বিশাল সমাবেশ। আমাদের সৌরজগৎ মিল্কিওয়ে নামক গ্যালাক্সির অন্তর্গত। মিল্কিওয়ে দেখতে সর্পিলাকার।
মহাবিশ্ব : গ্যালাক্সি, নক্ষত্র, গ্রহ, মহাশূন্য, সব পদার্থ এবং শক্তি এই সবকিছু নিয়েই গঠিত হয়েছে মহাবিশ্ব।
সম্পর্ক :
* সৌরজগতের ৩য় গ্রহ হল পৃথিবী। আর পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ হল চাঁদ। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ৩,৮৪,৪০০ কিমি। আলো প্রতি সেকেন্ডে ৩,০০,০০০ কিমি. বেগে চলে। আর তাই চাঁদের আলো ১.৩ সেকেন্ডে পৃথিবীতে পৌঁছায়।
* পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় ১৫,০০,০০,০০০ কিমি. সূর্য থেকে পৃথিবীতে সূর্যের আলো পৌঁছে ৮ মিনিট পর। * আমরা যদি আলোর গতিতে চলতে পারতাম তবে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে আমাদের ১,৩০,০০০ বছর সময় লাগত। স্যার এডিংটনের মতে, প্রতি গ্যালাক্সিতে গড়ে দশ সহস কোটি নক্ষত্র রয়েছে। * কোটি কোটি গ্যালাক্সি নিয়ে মহাবিশ্ব গঠিত। এর আকার কেউ জানে না। দিন দিন মহাবিশ্ব বড় হচ্ছে। মহাকাশ সম্পর্কিত গবেষণাকে বলা হয় জ্যোতির্বিজ্ঞান। বিজ্ঞানী গ্যালিলিও উন্নত দূরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে প্রমাণ করেছেন যে, সৌরজগতের গ্রহগুলো সৌরজগতকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।
* মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য বর্তমানে বিজ্ঞানীরা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করেছেন এবং মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করছেন।
আসলে, সৌরজগৎ মহাবিশ্বের কাছে এক বিন্দুর মতো অবস্থান। সৌরজগতের চেয়ে গ্যালক্সি বড়, গ্যালাক্সির চেয়ে মহাবিশ্ব বড়। সম্পর্কটিকে নিম্নলিখতভাবে প্রকাশ করা যেতে পারে।
সৌরজগৎ<গ্যালাক্সি<মহাবিশ্ব।