শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ঘুম হচ্ছে দৈনন্দিন কর্মকান্ডের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার প্রক্রিয়া। নিষ্ক্রিয় জাগ্রত অবস্থার সাথে ঘুমন্ত অবস্থার পার্থক্য হল এ সময় উত্তেজনায় সাড়া দেবার ক্ষমতা হ্রাস পায় ও সহজেই জাগ্রত অবস্থায় ফেরত আসা যায়। বিজ্ঞানীরা বলেন মানুষের দেহ একটা ঘড়ির মতো করেই কাজ করে, দিন আর রাতের সাথে ছন্দ মিলিয়ে । দেহঘড়ির মূল কেন্দ্র বা মাস্টার ক্লক হলো মস্তিষ্কের সুপ্রাকায়াসম্যাটিক নিউক্লিয়াস। মানুষের চোখের মধ্যে কিছু বিশেষ কোষ আছে যা দিনের আলোর মাত্রা বুঝে এই ঘড়ির সঙ্গে দেহের কার্যক্রমের সংগতি বিধান করে। যখনই দিনের আলো কমে অন্ধকার হতে থাকে, তখনই আমাদের দেহ ঘড়ি তৈরি করতে শুরু করে ঘুম পাড়ানোর বিশেষ হরমোন মেলাটোনিন। আবার যখন দিনের আলোর ফুটতে থাকে - তখন মানুষের চোখ সেটা টের পায় এবং দেহঘড়ি মেলাটোনিন তৈরি করা বন্ধ করে দেয়। এই মেলাটোনিনের প্রভাবের কারণে সকাল বেলা মানুষের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি সবচাইতে বেশি। কারণ এই সময় দেহের রক্ত থাকে ঘন, আর রক্তবাহী নালীগুলোও থাকে শক্ত অবস্থায়। রক্তচাপ থাকে সবচাইতে বেশি। তাই শরীরচর্চার জন্য এটা ভালো সময় নয়। আমাদের দেহে মেলাটোনিন হরমোন তৈরির প্রধান উৎস ব্রেইনের পিনিয়াল গ্ল্যান্ড । ট্রিপ্টোফান নামক প্রাকৃতিক আমিষ থেকে আমাদের দেহে মেলাটোনিন তৈরি হয় । এই হরমোন সর্বোচ্চ উৎপাদন কেবল রাতে হয় ,যখন অন্ধকার থাকে। চিত্র, আলো ও মেলাটোনিন (নীল রংয়ের) হরমোন এর সম্পর্ক। ব্রেইন কিভাবে বুঝবে রাত হয়েছে যদি ঘরে আলো জ্বলে? আমাদের চোখে থাকা অপটিক নার্ভ আলো দ্বারা উদ্দীপিত হয়। চোখে আলো না লাগলে পিনিয়াল গ্ল্যান্ডের কাজকর্ম শুরু হয় ও মেলাটোনিন নি:সরন হয়। রক্ত ও cerebrospainal ফ্লুইড এর মাধ্যমে এটি সমগ্র শরীরে ছড়িয়ে যায়। অতঃপর ঘুম আনে। ডিমলাইট ও কম্পিউটার এর আলো চোখের অপটিক নার্ভকে উদ্দীপিত করে এ হরমোন নিঃসরন কমায় । তাই প্ৰকৃত অন্ধকার ঘরে ঘুম খুবই ভালো হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ