বাবা যেমনই হোক, তার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা ওয়াজিব। কেননা বাবা-মায়ের অনৈতিক ও অবৈধ কাজে সমর্থন করা নিষেধ। তবে  তাঁদের সঙ্গে সর্বাবস্থায় সদাচারণের নির্দেশ রয়েছে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, وَإِن جَاهَدَاكَ عَلى أَن تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ যদি তাঁরা (পিতামাতা) তোমাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে আমার সাথে কাউকে শরীক করার জন্য যা (শিরক) তোমার বোধগম্য নয়, তাহলে তুমি তাঁদের কথা অমান্য করো, (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না) আর পার্থিব জীবনে উৎকৃষ্ট পন্থায় তাঁদের সাথে সৎ সম্পর্ক বজায় রেখো। আর তুমি তাঁদের পথ অনুসরণ করো যারা (আমি এক) আমার প্রতি অবিচলভাবে আকৃষ্ট রয়েছে। (সূরা লুকমান ১৫) হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, رِضَى الرَّبِّ فِى رِضَى الْوَالِدِ وَسَخَطُ الرَّبِّ فِى سَخَطِ الْوَالِدِ পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং পিতার অসন্তষ্টিতে আল্লাহর অসন্তষ্টি । (তিরমিযী ১৮৯৯) সুতরাং সন্তান বাবার সঙ্গে অসদাচারণ করলে বাবার কাছে ক্ষমা চাওয়া সন্তানের জন্য আবশ্যক। না চাইলে সে গুনাহগার হবে। আর এটা বান্দার হকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়। বান্দার হকের ক্ষেত্রে মূলনীতি হল, শুধু তাওবা দ্বারা বান্দার কোন হক মাফ হবে না, যতক্ষণ না তা আদায় করা হবে কিংবা হকদার নিজে তা মাফ করে দিবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ