শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

যে সকল বস্তুর ওজন আছে, যা জায়গা দখল করে এবং বল প্রয়োগে বাধা দান করে তাকে পদার্থ বলে। যেমনঃ পানি, বাতাস, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি। সকল পদার্থ অণু নামক ক্ষুদ্র কণা দ্বারা গঠিত। এ সকল ক্ষুদ্র কণা পরস্পরের মধ্যে একধরনের আকর্ষণ বলের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। এই আকর্ষণ বলকে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বলে।  আন্তঃআণবিক শক্তির কারণে পদার্থের অণুসমূহ পরস্পরের সন্নিকটে থাকতে চাই। সকল পদার্থ একই তাপমাত্রায় একই ভৌত অবস্থায় থাকেনা।  পদার্থের অণুসমূহ সর্বদা কম্পমান। তাপমাত্রা পরিবর্তনের সাথে কম্পন শক্তির পরিবর্তন হয়। ফলে একটি পদার্থ ভিন্ন ভিন্ন ভৌত অবস্থা প্রদর্শন করে।  পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তির সাথে কম্পন শক্তি ব্যস্তানুপাতিক।  অর্থাৎ আন্তঃআণবিক শক্তি বেশি হলে, কম্পন শক্তি কম হয়।  আবার, আন্তঃআণবিক শক্তি কম হলে, পদার্থের কম্পন শক্তি বেশি হয়। কোন পদার্থের তাপমাত্রা যত বৃদ্ধি করা হয় সেই পদার্থের অণুসমূহের কম্পন শক্তি তত বৃদ্ধি পায়। পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তির তুলনায় অনু সমূহের কম্পন শক্তি অনেক কম হলে অণুসমূহ সুনির্দিষ্ট অবস্থানে বিরাজ করে। এতে পদার্থের কঠিন অবস্থার সৃষ্টি হয়।  আবার, পদার্থের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে পদার্থের অনু সমূহের আন্তঃআণবিক শক্তি ছিন্ন হতে থাকে এবং সেইসাথে কম্পন শক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে।  যে অবস্থায় পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি ও কম্পন শক্তির সমান হয়, সে অবস্থাকে পদার্থের তরল অবস্থা বলে।  তরল অবস্থায় পদার্থের অণুসমূহ নির্দিষ্ট স্থানে বিরাজ না করে চলাচল করতে পারে।  এইজন্য তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আকার নেই, কিন্তু আয়তন আছে।  আবার, পদার্থের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকলে পদার্থের অণুসমূহের আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল যদি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়। তবে এ অবস্থায় পদার্থের আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল, কম্পন শক্তির থেকে কম হয়। এ অবস্থাকে পদার্থের গ্যাসীয় অবস্থা বলে।  গ্যাসীয় অবস্থায় পদার্থের গতিশক্তি এত বৃদ্ধি পায় যে, তারা পরস্পর হতে অনেক দূরে অবস্থান করে এবং প্রায় মুক্তভাবে চলাচল করে।  অর্থাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তন করলে পদার্থের ভৌত অবস্থার পরিবর্তন ঘটে।  কাজেই বলা যায়, পদার্থের ভৌত অবস্থা তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ