শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

প্রাথমিক পর্যায়ে সর্দির চিকিৎসা হয় সহজ ঘরোয়া পদ্ধতিতে। বেশির ভাব সময়েই কোন ডাক্তারি চিকিৎসা ছাড়াই এটি সেরে যায়। কোনও ক্ষেত্রে অবস্থার বাড়াবাড়ি হলে নাক থেকে শ্লেষ্মা ঝরা বন্ধ করতে ওষুধ দিতে হয়। সাধারণত সর্দি লাগলে নাক ঝরা শুরু হয়। সর্দি সেরে গেলে এই উপসর্গও চলে যায়। সাধারণ সর্দির চিকিৎসা খুব সীমাবদ্ধ। চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন প্রচুর বিশ্রাম নিতে, তরল পদার্থ পান করতে এবং স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্য গ্রহণ করতে। সাধারণ সর্দি 6 থেকে 7 দিনে নিজে নিজেই সেরে যায়। আপনার চিকিৎসক কয়েকটি এন্টিবায়োটিক ওষুধের সুপারিশ করতে পারেন। তবে, সাধারণ সর্দি এবং ফ্লু হওয়ার কারণ হল ভাইরাস। কাজেই এন্টিবায়োটিক উপসর্গগুলি থেকে আরাম দিতে পারে যখন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের সাথে ফ্লু এবং সাধারণ সর্দি থাকে। যদি আপনার গুরুতর ফ্লু হয়, তাহলে চিকিৎসক কয়েকটি এন্টিবায়োটিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন। এন্টিভাইরাল ওষুধ নিরাময় প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে, কিন্তু গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে অধিকাংশ মানুষেরই এটার প্রয়োজন নেই। শুধু মাত্র গুরুতর রোগীদেরই এন্টিভাইরাল ওষুধ দেওয়া হয়। ঔষধি চিকিৎসা আপনাকে সুপারিশ করা হচ্ছে যে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ না করে ওষুধ গ্রহণ করবেন না। কারণ কয়েকটি ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আছে যা পরিস্থিতি উল্টো দিকে ঘুড়িয়ে দিতে পারে বা খারাপ করতে পারে। গবেষণা দেখাচ্ছে যে এন্টি-কোলিনার্জিক ন্যাসাল এলার্জি স্প্রে দিয়ে এলার্জির কারণে হাঁচি এবং সর্দির কার্যকর ভাবে চিকিৎসা করা যায়। চিকিৎসকরা হাঁচি এবং সর্দির উপসর্গগুলির নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েকটি এন্টি-হিস্টামিনস (এন্টি-এলার্জি) ওষুধ দেন, যেমন ডাইফেনহাইড্রামিন এবং ক্লোরফেনিরামিন। তবে, এই ওষুধগুলি ঘুম এবং তন্দ্রা এনে দেয়। নাক এবং কান বন্ধ হলে গেলে ডিকনজেসটান্ট ন্যাসাল স্প্রে, যেমন সিউডোয়েফিড্রিন, ফিনাইলয়েফ্রিন, অক্সিমেটাজোলিন, ইত্যাদি ওষুধ দেওয়া হয়। তবে এই ওষুধগুলির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলি হল হৃদযন্ত্রের স্পন্দন বৃদ্ধি এবং উচ্চ রক্তের চাপ। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধগুলি 3 দিনের বেশি নেবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ