শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কম্পিউটারে ফিজিক্যাল মেমোরি বা র‌্যাম সংযুক্ত থাকে। র‌্যাম এর সাইজের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কম্পিউটার চালু করলে র‌্যামে প্রোগ্রাম লোড হয়। কোন ফাইল ওপেন করলে তাও র‌্যামে লোড হয়। যদি ফাইলের সাইজ বেশি হয় অর্থাৎ বেশি পরিমান ডেটা নিয়ে কাজ করা হলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে সেকেন্ডারি মেমোরি হার্ডডিস্কের কিছু স্পেসকে ফিজিক্যাল মেমোরি হিসাবে ব্যবহার করা যায়। একে ভার্চুয়াল মেমোরি বলা হয়। ভার্চুয়াল মেমোরি ম্যানেজমেন্ট টেকনিক যা কম্পিউটারের ফিজিক্যাল মেমোরি (র‌্যাম) থেকে ইনফরমেশন হার্ডডিস্কে সোয়াপ করতে পারে। এই টেকনিকের ফলে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামসমূহ ফিজিক্যাল মেমোরি থেকে অনেক বেশি মেমোরি ব্যবহার করতে পারে। ভার্চুয়াল মেমোরির পরিমাণ হার্ডডিস্কের পর্যাপ্ত স্পেসের উপর নির্ভর করে। ভার্চুয়াল মেমোরিকে রিয়েল মেমোরিতে কপি করার জন্য অপারেটিং সিস্টেম ভার্চুয়াল মেমোরিকে পেজসমূহে বিভক্ত করে, যার প্রত্যেকটি পেজে নির্দিষ্ট সংখ্যক এড্রেস থাকে। প্রত্যেকটি পেজ ডিস্কে সংরক্ষিত হয় যতক্ষণ না তা প্রয়োজন হয়। যখন পেজ প্রয়োজন হয়, অপারেটিং সিস্টেম ইহাকে ডিস্ক থেকে মেইন মেমোরিতে (র‌্যামে) কপি করে, ভার্চুয়াল এড্রেসকে রিয়েল এড্রেসে অনুবাদ করে। ভার্চুয়াল এড্রেসকে রিয়েল এড্রেসে অনুবাদ করার প্রক্রিয়াকে ম্যাপিং বলা হয়। ভার্চুয়াল পেজকে ডিস্ক থেকে মেইন মেমোরিতে কপি করাকে পেজিং অথবা শোয়াপিং বলা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ