শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

হেমোফিলিয়া এক ধরনের বংশগত রোগ, যাতে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা প্রলম্বিত হওয়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থানে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ ঘটে। এ রোগের তীব্রতা বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন—তীব্র, মাঝারি ও মৃদু। তবে এই রোগ দুই ধরনের হয়—হেমোফিলিয়া ‘এ’ (ফ্যাক্টর ৮-এর ঘাটতি, যা প্রতি লাখে ১০ জন) এবং হেমোফিলিয়া ‘বি’ (ফ্যাক্টর ৯-এর ঘাটতি, যা প্রতি লাখে দুজন)। যখন এই পরিবর্তন উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া যায়, তখন এটি মা-বাবা থেকে শিশুদের কাছে চলে যায়। সাধারণত পুরুষরা এ রোগে আক্রান্ত হয় বা রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় ভোগে এবং আর নারীরা রোগটির জিন বৈশিষ্ট্য ধারণ করলেও রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় তেমন ভোগে না। বেশির ভাগ হেমোফিলিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায় শৈশবেই। তবে অনেকের আরো পরিণত বয়সে লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। সাধারণত জন্মের ছয় মাস বয়স থেকে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, যখন শিশুটি হামাগুড়ি দিতে শেখে। কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যেতে পারে নবজাতকের হেমোফিলিয়া রয়েছে কি না। জন্মের পর নাড়ি কাটার পরও রক্তক্ষরণ হয়। এই রোগ থাকলে শিশুরা চলাফেরা করার সময় বা খেলাধুলার সময় পড়ে গেলে মাংসপেশিতে কালশিরা পড়ে যায়। পেশির অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণের ফলে দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফুলে যায় এবং ব্যথা অনুভব করে। অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের ফলে অস্থিসন্ধিতে চাপ পড়ে এবং ক্ষয় হয়। শিশুর খতনা করার পর অতিরিক্ত রক্তপাত হয়। কেটে গেলে অথবা আঘাত পেলে রক্তপাত বৃদ্ধি পাওয়া, প্রস্রাব-পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া, দুর্ঘটনা ঘটলে বা শরীরের কোনো স্থান কেটে গেলে অনেক বেশি রক্ত ঝরতে থাকা ইত্যাদি হলো হেমোফিলিয়ার লক্ষণ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ