জমিনে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একমাত্র আল্লাহর হুকুম ও কোরআনের আইন চালু করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন বিকল্প নেই। এই ব্যাপারে মুসলিমদের দ্বিমত নেই।
তবে এই ব্যাপারে দ্বিমত আছে তাদের যারা ইসলাম ত্যাগ করে নাস্তিকতা বা অন্য ধর্ম অবলম্বন করে। তখন নিজ ধর্ম ইসলামের প্রতি অনাস্থা, অবিশ্বাস ও দ্বিধা-সংশয় মনে স্থান দিলেই মানুষ রিদ্দাত রোগে আক্রান্ত হয়।
যেহেতু সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ এবং যেহেতু এক্ষেত্রে তার কোন শরীক নেই সেহেতু হুকুম বা আইন বিধান দেয়ার অধিকারও একমাত্র আল্লাহর।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ বিধান দেবার অধিকার শুধু আল্লাহর। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাকে ছাড়া আর কারোর উপাসনা করবে না। (সূরা ইউসুফ, আয়াত ৪০)।
আল্লাহ ছাড়া এই অধিকার কিভাবে অন্য কারোর থাকতে পারে যেখানে আল্লাহই হলেন সমগ্র বিশ্বজাহানের সৃষ্টিকর্তা? আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ তারই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা। আল্লাহ বরকতময় যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক। (সূরা আ’রাফ, আয়াত ৫৪)।
সৃষ্টিজগতের জন্য বিধান দেয়ার ব্যাপারটা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাকেই মানায়। কারণ সৃষ্টিজগত সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান কেবলমাত্র স্রষ্টার নিকটেই রয়েছে। সৃষ্টিজগতের জন্য কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ সেটা তিনিই সবচেয়ে ভাল জানেন।
এজন্য আল্লাহ আমাদের জন্য যে দ্বীন বা বিধি-বিধান নির্ধারণ করেছেন সেটাই আমাদের জন্য সর্বোত্তম এবং পূর্ণাঙ্গ। কেবলমাত্র ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সমাজে ন্যায়বিচার এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
অপরদিকে একে তো কোন মানুষের আইন ও বিধি-বিধান তৈরী করার কোন অধিকার নেই। যদি কেউ এটা করে তবে সে নিজেকে আল্লাহর আসনে বসাবে এবং তার এই আইন মানার মাধ্যমে তারই ইবাদত করা হবে। আর সেটা হবে আল্লাহ তাআলার সাথে সুস্পষ্ট শিরক। অন্যদিকে মানবসৃষ্ট যে কোন বিধানই অপূর্ণাঙ্গ এবং ত্রুটিযুক্ত। এর দ্বারা সমাজে ন্যায়বিচার ও শান্তির পরিবর্তে যুলুম, অন্যায়-অবিচার ও বিশৃঙ্খলাই তৈরী হবে। পৃথিবীতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে জীবনযাপন এবং পরকালে আল্লাহর প্রতিশ্রুত জান্নাত পেতে হলে ইসলামী শরীয়াহর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।