সত্যের ঘোষণা দেয়ার পর হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর ওপর মুসিবতের পাহাড় ভেঙে পড়ল। স্বয়ং তার পুরোহিত পিতা আজর বললেন- ইবরাহিম আমি তোমাকে পরিত্যাগ করব। বাড়িছাড়া করব। কোথাও তুমি সামান্যতম আশ্রয় পাবে না। দেশের শাসকও তার বিরুদ্ধে চলে গেল। তা সত্ত্বেও হজরত ইবরাহিম (আ.) বিন্দুমাত্র বিচলিত ও শঙ্কিত হলেন না। তার পিতা ও বাদশাহ নমরূদকে দীপ্ত কণ্ঠে জানিয়ে দিলেন, আমি এক আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি, তাঁর হুকুম মতোই চলব। রাজদরবার থেকে শেষ পর্যন্ত ফয়সালা জারি হল, বিদ্রোহী ইবরাহিমকে অগ্নিকুণ্ডে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হবে। তাদের এ ভয়ানক সিদ্ধান্তে হজরত ইবরাহিম (আ.) বিন্দুমাত্র বিচলিত হলেন না। কারণ তিনি যে এক আল্লাহর ওপর বিশ্বাসী মুসলিম। আর মুসলিম একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় করে না। অত্যাচারী শাসক নমরূদ অগ্নিকুণ্ড তৈরি করল। সেই ভয়াবহ অগ্নিকুণ্ডে হজরত ইবরাহিম (আ.) কে নিক্ষেপ করা হল। ঠিক এ সময় আল্লাহ আগুনকে নির্দেশ দেন-    অর্থ : ‘হে আগুন! ইবরাহিমের জন্য তুমি ঠাণ্ডা হও। আরামদায়ক হও’।    আল্লাহর হুকমে আগুন ঠাণ্ডা হয়ে গেল। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কোনোই ক্ষতি হল না। তিনি নিরাপদে আগুন থেকে বেরিয়ে এলেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ