স্বর্ণ তার নিজের সৌন্দর্য দিয়ে অন্যকে সাজায়। পরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সে নিজেকে নিবেদন করে। অপরদিকে বাঁশিও কখনো নিজের জন্য সুমধুর, সুরেলা ধ্বনি সৃষ্টি করে না। বরং তার সেই সুর সৃষ্টি হয় শুধুমাত্র অন্যদেরকে মুগ্ধ করার জন্য, আনন্দ দেয়ার জন্য, বিমোহিত করার জন্য। এই স্বর্ণ ও বাঁশির সৃষ্টি যেন শুধুমাত্র অপরের মনোরঞ্জনের জন্য হয়েছে। এখানেই তাদের সৃষ্টির সার্থকতা। স্বর্ণ ও বাঁশির মতো মানব জীবনেরও ধর্ম হলো পরের জন্য কাজ করা, অন্যের মঙ্গলসাধন করা, পরের কল্যাণে নিজের জীবনকে সর্বদাই নিয়োজিত রাখা। ফুল যেমন নিজের জন্য ফোঁটে না। তেমনি মানুষের জীবনও শুধু তার নিজের জন্য নয়। অপরকে ভালোবাসার মধ্যে যে তুষ্টি, পরের জন্য কিছু করার মধ্যে যে প্রশাšি,Í তা আর কোনো কিছুতেই নেই। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব এই কারণে যে, তার বিচার, বুদ্ধি, বিবেক আছে। মানুষই একমাত্র প্রাণী যে অন্যকে ভালোবেসে তার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে পারে। আর এই উৎসর্গ করতে পারার মধ্যেই মানবজীবনের সার্থকতা নিহিত। পরোপকারীতার মধ্যেই নিহিত প্রকৃত মহত্ত্ব। অপরের কল্যাণ সাধনের নিমিত্বেই কাজ করেন জগতের সকল মহান ব্যক্তিবর্গ। নিজেদের জীবন ও কর্মকে উৎসর্গ করেন সমগ্র মানবজাতির উৎকর্ষ সাধনে।
শিক্ষা: নিজের জন্য নয়, পরের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করাই মানব জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।