পছন্দের মানুষকে বিবাহ করার আমল বা দুআ আছে। তবে আপনি যাকে স্ত্রী হিসেবে পেতে চান অবশ্যই তার দ্বীনদারী ও চরিত্র সম্পর্কে আগে নিশ্চিত হতে হবে তারপর দুআ করবেন। সে নারীর সাথে আপনার বিবাহ বৈধ কি তা নিশ্চিত হতে হবে। যদি তার সাথে আপনার বিবাহ বন্ধন বৈধ হয় অর্থাৎ তাকে বিয়ে করতে শরীয়তের কোন বাধা না থাকে তাহলে তাকে স্ত্রী হিসেবে পাওয়ার জন্য দুআ করতে পারবেন। হে আমার প্রতিপালক , নিশ্চয়ই তুমি অসীম দয়ালু , পরম করুনাময় । তুমি আমার উপর দয়া কর , আমাকে ইসলামে পরিপূর্ণ রূপে অন্তর্ভুক্ত কর এবং ইসলামের পথে আমাকে মজবুত করতে একজন দ্বীনদার , নেককার , পরহেজগার , সৎ , সাহসী ও আল্লাহভিরু জীবনসঙ্গী দান কর। হাদিসেও বর্ণিত হয়েছে, যাতে তোমার উপকার হয় তা অর্জনে আগ্রহী হও এবং আল্লাহর সাহায্য কামনা কর। দুর্বলতা প্রদর্শন করো না। তবে যদি তোমার কোন কাজে কিছু ক্ষতি সাধিত হয়, তখন তুমি এভাবে বলো না যে, “যদি আমি কাজটি এভাবে করতাম তা হলে আমার এই এই হত।” বরং বল, “আল্লাহ এটাই তাকদীরে রেখেছিলেন। আর তিনি যা চান তাই করেন।” কেননা ‘যদি’ শব্দটি শয়তানের কাজের পথকে উন্মুক্ত করে দেয়।” (মুসলিম, মিশকাতঃ ৫২৯৮)। আপনি যাকে পছন্দ করেন, যদি সে পরহেজগার হয়, তাহলে হতে পারে আল্লাহ তাকে আপনার জন্য মিলিয়ে দিবে। এজন্য বেশি বেশি এস্তেগফার করতে হবে। দোয়াটি এইঃ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻫَﺐْ ﻟَﻨَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟِﻨَﺎ ﻭَﺫُﺭِّﻳَّﺎﺗِﻨَﺎ ﻗُﺮَّﺓَ ﺃَﻋْﻴُﻦٍ ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨَﺎ ﻟِﻠْﻤُﺘَّﻘِﻴﻦَ ﺇِﻣَﺎﻣًﺎ অর্থঃ এবং যারা প্রার্থনা করে বলে, ‘হে আমাদের রব! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন যারা হবে আমাদের জন্য চোখজুড়ানো। আর আপনি আমাদেরকে করুন মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণযো (সূরা ফোরকানঃ ৭৪) মুসা (আঃ) যখন একাকিত্ববোধ করেছিলেন তখন দুআ পড়েছেন। এবং আল্লাহ পাক তার একাকিত্ব দূর করে দিয়েছেন। আপনিও দুআ করুন পছন্দের মানুষকে বিবাহ করার জন্য আল্লাহ চাইলে কি না হয়।