শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jobedali

Call

ভারতে আসার আগেই সুফিদের মধ্যে অসংখ্য সিলসিলা বা সম্প্রদায় গড়ে উঠেছিল। ঐতিহাসিক আবুল ফজল ভারতবর্ষের 14 টি সম্প্রদায় বা সিলসিলাহের কথা বলেছেন। এর মধ্যে চিশতী ও সুরাবর্দী সিলসিলাহ যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। উভয় সম্প্রদায়ই শরীয়তী আইন মেনে চলতেন। 

ভারতের চিশতি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন খাজা মইনুদ্দিন চিশতী। তিনি মোহাম্মদ ঘুরীর আক্রমণের সময় মধ্য এশিয়ার শিয়াস্তান থেকে ভারতে আসেন এবং আজমিরের স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তার সহজ-সরল জীবনযাত্রা ও সহনশীল নীতির জন্য বহু রাজপুত তার অনুরক্ত হয়েছিল। খাজা মইনুদ্দিন চিশতী শিশুদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কুতুবউদ্দিন বক্তিয়ার কার্ফি।

চিশতি সম্প্রদায়ের সর্বাধিক বিখ্যাত ছিলেন শেখ নিজামউদ্দিন আওলিয়া ও তার শিষ্য শেখ নাসিরউদ্দিন চিরাগ। সমগ্রহ উত্তর ভারতে এদের প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছিল। আওলিয়ার ব্যক্তিত্ত্ব ও ধর্মভাবে আকৃষ্ট হয়ে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বহু মানুষ তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন আমির খসরু, জিয়াউদ্দিন বরনী।

চিশতি সম্প্রদায়ের সুফী সন্তরা ধর্মীয় ভেদাভেদ মানতেন না। তারা সাধারণ জীবন-যাপন, দরিদ্র, নম্রতা, ঈশ্বরের প্রতি অনুরক্ত থাকার প্রভৃতির ওপর জোর দিতেন। চিশতি সম্প্রদায়ের সুফী সন্তদের সহজ-সরল জীবনযাপন, মানবতাবাদ, সাম্যবাদী ধারণা, নিম্নবর্ণের হিন্দু ও অস্পৃশ্যতাবাদের জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ