লাইটিক চক্র ও লাইসোজেনিক চক্রের মধ্যে পার্থক্যঃ
১। লাইটিক চক্রের মাধ্যমে সমগ্র ভাইরাসটি গঠিত হয়। লাইসোজেনিক চক্রের মাধ্যমে কেবলমাত্র ভাইরাল DNA অনুর প্রতিলিপি গঠিত হয় কিন্তু সম্পূর্ণ ভাইরাসের সৃষ্টি হয় না।
২। লাইটিক চক্রে পোষক ব্যাকটেরিয়া কোষের বিদারণ ঘটে। লাইসোজেনিক চক্রে পোষক ব্যাকটেরিয়া কোষের বিদারণ ঘটে না।
৩। লাইটিক চক্রের ক্ষেত্রে আক্রমণের প্রকৃতি তীব্র বা ভিরুলেন্ট (Virulent) হয়। লাইসোজেনিক চক্রের ক্ষেত্রে পোষক ব্যাকটেরিয়া কোষের মৃত্যু ঘটে না তাই আক্রমণ মৃদু বা টেম্পারেট (Temperate) প্রকৃতির হয়।
৪। লাইটিক চক্রের ক্ষেত্রে পোষক ব্যাকটেরিয়ার DNA বিনষ্ট হয়। লাইসোজেনিক চক্রের ক্ষেত্রে পোষক ব্যাকটেরিয়ার DNA এর সঙ্গে যুক্ত হয়েই ব্যাকটেরিয়ার DNA এর সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল DNA এর প্রতিলিপি গঠিত হয়।
৫। লাইটিক চক্রের ক্ষেত্রে প্রোফাজ গঠিত হয় না। লাইসোজেনিক চক্রের ক্ষেত্রে টেম্পারেট ফাজের DNA ব্যাকটেরিয়ার DNA -এর সঙ্গে যুক্ত হয়, এই অবস্থায় ফাজকে প্রোফাজ বলে।
৬। লাইটিক চক্রের ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার জেনেটিক পুনঃসংযোজন পদ্ধতির কোনো ভূমিকা নেই। লাইসোজেনিক চক্রের ক্ষেত্রে ট্রান্সডাকশন পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার জেনেটিক পুনঃসংযোজন ঘটায়।
৭। লাইটিক চক্রের উদাহরণ — T2 ফাজ , T4 ফাজ। লাইসোজেনিক চক্রের উদাহরণ — ল্যামডা ফাজ।