খাঁটি দুধ চিনবেন যেভাবেঃ-
১। গরু আর মহিষের দুধ পার্থক্যঃ গরু আর মহিষের দুধ পার্থক্য করতে পারবেন রং দেখে। যদি দুধের রং ধবধবে সাদা হয় তবে বুঝতে হবে এটা মহিষের দুধ। আর রং যদি হয় হালকা সোনালি তবে বুঝবেন এটা গরুর দুধ। তাছাড়া হাত দিয়ে দুধের ঘনত্ব দেখেও বোঝা যেতে পারে কোনটা গরুর দুধ আর কোনটা মহিষের দুধ। মহিষের দুধে ফ্যাট বেশি থাকায় তা ঘন মনে হবে আর গরুর দুধে যেহেতু মহিষের দুধের তুলনায় কম ফ্যাট থাকে তাই সেটা কম ঘন বা পাতলা মনে হবে।
২। পানি মেশোনো নাকি পাউডার মেশানো দুধঃ সাধারনত পাউডার মেশানো দুধ তুলনামূলকভাবে মিষ্টি গন্ধের হবে। আর যখন গরম করা হবে তখন তা পাতিলের নিচে লেগে থাকবে কেননা পাউডার দানা হয়ে তলানি পড়ে। তাছাড়া পাউডার মেশানো দুধ গরুর দুধের চেয়ে ঘন হয়ে থাকে। এটা হাত দিয়ে স্পর্শ করেও বোঝা যায়।
কিছু পরীক্ষাঃ
১. লেবু পরীক্ষাঃ ৫০-৭০ মিঃ লিঃ দুধ একটি কাপ এ নিয়ে তার মধ্যে একটি লেবুর ৪ ভাগের ১ ভাগ নিয়ে ফোটায় ফোটায় রস যোগ করুন এবং ৩-৫ মিনিট হালকা করে ঝাঁকুন এবং দেখুন যদি ছানার মত হয় তাহলে সেটা গরু/মহিশ/ছাগলের দুধ, আর যদি ছানা না হয় তবে সেটা কেমিক্যাল দুধ।
২. ফরমালিন/হাইড্রোজেন পার অক্সসাইড পরীক্ষাঃ ফরমালিন/হাইড্রোজেন পার অক্সসাইড দুধে থাকলে সেই দুধে মাছি বসবে না।
৩. ছানা পরীক্ষা এবং দুধে পানির পরিমাণ নির্ধারনঃ খাঁটি দুধে প্রতি কেজিতে ১৮০–১৮৭ গ্রাম ছানা হবে। যদি ১৮০ গ্রামের কম ছানা হয় তবে বুঝতে হবে দুধে পানি মিশ্রিত আছে।
দুধে ছানার ওজনের উপর নিচের সূত্রের মাধ্যমে আপনি পানির পরিমান বের করতে পারবেন-
ধরুন, আপনার ১ কেজি দুধে ১৮৭ গ্রাম ছানা হবে,
তাহলে সূত্রটি হবে নিম্নরুপঃ (1000/187)*(187–আপনার তৈরিকৃত ছানার পরিমান) = মিশ্রিত পানির পরিমান গ্রামে।
বিঃদ্রঃ পাউডার/গুড়ো দুধ মিশ্রিত দুধের বেলায় এই সুত্র কাজ করবে না।
৪. পাউডার মিশ্রিত দুধ পরিক্ষাঃ ৪-৫ ফোঁটা দুধ হাতে নিয়ে ২ হাত দিয়ে ডলা দিন, যদি পাউডার এর মত হাতে দেখা যায় তবে ঐ দুধে পাউডার মিশ্রিত আছে। তবে এই পরীক্ষাটা করতে হলে আপনাকে খুব ভাল ভাবে অবলোকোন করতে হবে।
পাউডার মিশ্রিত দুধ পরীক্ষার সবচেয়ে ভাল প্রক্রিয়া হচ্ছে কেমিক্যাল পরীক্ষাঃ এজন্য আপনার একটি টেস্ট টিউব ও নাইট্রিক এসিড দরকার হবে
ক) ১০ মিঃ লিঃ দুধ একটি টেস্ট টিউবে নিতে হবে। এরপর ফোঁটায় ফোঁটায় ৮-১০ ফোঁটা নাইট্রিক এসিড যোগ করতে হবে, যদি কমলা রং ধারন করে তবে উহা পাউডার মিশ্রিত দুধ। (বাজারের সব ব্রান্ড এর দুধই পাউডার মিশ্রিত।)
প্রথমেই দেখা দরকার আমরা গরুর দুধ কিনছি, নাকি মহিষের দুধ কিনছি? গরু আর মহিষের দুধ পার্থক্য করতে পারবেন রং দেখে। যদি দুধের রং ধবধবে সাদা হয় তবে বুঝতে হবে এটা মহিষের দুধ। আর রং যদি হয় হালকা সোনালি তবে বুঝবেন এটা গরুর দুধ। তাছাড়া হাত দিয়ে দুধের ঘনত্ব দেখেও বোঝা যেতে পারে কোনটা গরুর দুধ আর কোনটা মহিষের দুধ। মহিষের দুধে ফ্যাট বেশি থাকায় তা ঘন মনে হবে আর গরুর দুধে যেহেতু মহিষের দুধের তুলনায় কম ফ্যাট থাকে তাই সেটা কম ঘন বা পাতলা মনে হবে।
এবারে আসুন দেখি পানি মেশোনো নাকি পাউডার মেশানো দুধ তা নির্নয় করার চেষ্টা করি। এই কাজটি একটু কঠিন। এর জন্য অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। সাধারনত পাউডার মেশানো দুধ তুলনামূলকভাবে মিষ্টি গন্ধের হবে। আর যখন গরম করা হবে তখন তা পাতিলের নিচে লেগে থাকবে কেননা পাউডার দানা হয়ে তলানি পড়ে। তাছাড়া পাউডা মেশানো দুধ গরুর দুধের চেয়ে ঘন হয়ে থাকে। এটা হাত দিয়ে স্পর্শ করেও বোঝা যেতে পারে। তবে পাউডার দুধ কখনই ব্যবহার করা ঠিক না। কেননা পাউডার দুধ তৈরি করা হয় অতিরিক্ত গরম করে। ফলে দুধের পুষ্টিমান নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া দীর্ঘ দিন পাউডার দুধ ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। জানা যায় দুধে পানি মেশানোর পাশাপাশি দুধে রং আনতে গুড় মেশানো হয়। তবে পানি মেশানো দুধ চেনার ক্ষেত্রে ল্যাকটোমিটারের সাহায্য নিয়ে সহজেই বোঝা যায়। এছাড়া সবসময় চেষ্টা করবেন বিশ্বস্ত উৎস থেকে দুধ কেনার জন্য।