প্রস্রাবের শেষে সাদা পাতলা বীর্য বের হয়। মলমুত্রের শেষে সাদা আস্তরণ পরে। এমনও তিন বার হইছে যে মলমুত্রের সাথে তাজা রক্তের দলা পরেছে। শারীরিক ও যৌন জীবনে অনেক দুর্বল হয়ে পরেছি। অনেক দুশ্চিন্তার মাঝে আছি এই রোগ নিয়ে। Please...help me...
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি যেটি বলছেন তা হলো ধাতু দূর্বলতা

ধাতু দৌর্বল্য (Spermatorrhoea) কি :– অনৈচ্ছিক বীর্যপাতের নামই হলো ধাতু দূর্বলতা  হলো ইচ্ছা, উত্তেজনা, নাড়াচাড়া ছাড়াই পেশাবের আগে বা পরে পুরুষাঙ্গ হতে বীর্য বের হওয়া, অথবা পেশাবের সাথে বা কঠোর মেহনত, বোঝা উত্তোলন অথবা উত্তেজনা আসার দ্বারা কিংবা মহিলাকে স্পর্শ করার দ্বারা বীর্যপাত হয়। আবার অনেক সময় জোর খাটানোর সময় বীর্যপাত হয়ে যায়। তদ্রুপভাবে ঘুমে গেলে বীর্যপাত হয়। ধাতু বা বীর্য যেহেতু শরীরের রূহ বলা হয়ে থাকে, সেহেতু বীর্যপাত হওয়ার দ্বারা শরীরে অলসতা ও ধাতু দূর্বলতা দেখা দেয়। এমনকি কোমরে ব্যথাও অনুভব হয়।




ধাতু দূর্বলতা

সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হলো মাথার ব্রেণে দুর্বলতা প্রকাশ পায়। চেহারা শুকিয়ে যায়। শারীরিক দুর্বলতাও ব্যাপকভাবে প্রকাশ পায়। কোনো কাজেই ভালো লাগে না। সব কাজেই বিরক্তি বিরক্তি ভাব দেখা দেয়। সব সময় মনে চায় যদি শুয়ে থাকতে পারতাম। মহিলাদের প্রতি যৌন আকর্ষণ হ্রাস পেতে পেতে এক সময় তাদের প্রতি কোনো চাহিদাই জাগে না। কারো সাথে মেলা-মেশা, কথাবার্তা বলতেও ভালো লাগে না। নীরব ও অন্ধকার লাগে। একাকী ও নির্জনতা পছন্দ হয়। কারো কারো অবস্থা এমন করুণ হয়ে দাড়াঁইয়, যার কারণে আত্মহত্যার জন্যও প্রস্তুতি নেয়। এসব কেবল ধাতু দুর্বলতার কারণে হয়ে থাকে।




ধাতু দুর্বলতা রোগের কারণঃ

ধাতু দুর্বলতার অনেক কারণ আছে। তন্মধ্যে নিম্মোক্ত কারণগুলো বেশিরভাগ লোকদের মাঝে পাওয়া যায়।


১. উত্তেজনার বশিভুত হয়ে হস্তমৈথুন করে বীর্যপাত ঘটানো।


২. সমকামিতার মাধ্যমে বীর্যপাত ঘটানো।


৩. সব সময় পেটের অসুখ লেগে থাকার কারণে  ধাতু দূর্বলতা  হয়।


৪. কতক সময় অধিক গরম ও বিলম্বে হজম হয় এম খাদ্য খাওয়ার দ্বারা।


৫. ভরপেটে সহবাস করার দ্বারা ধাতু দূর্বলতার দেখা  দেয়।


৬. অশ্লীল, যৌন উদ্দীপক ছবি দেখার দ্বারা বীর্যপাত হয়ে থাকে। আর এসব কারণেই বেশিরভাগ ধাতু দুর্বলতা রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে।



পুরুষের বীর্য

ধাতু দূর্বলতার সমস্যা ও সমাধান

প্রত্যহ প্রাত:কালে অর্ধ পোয়া পরিমাণ ছোট পিয়াঁজ কুচি লবন চূর্নসহ চিবাইয়া খাইয়া আধা সের পরিমান কাচাঁ দুধ পান করিবেন ২/৩ সপ্তাহ এ ঔষধ সেবনে শুক্র গাড় ও তিশক্তি বৃদ্বি হইবে  এবং ধাতু দূর্বলতা দূর হবে।

পূর্ব দিন রাত্রে সামান্য একটু পানিতে অর্ধ ছটাক পরিমান ইছুবগুল ভিজাইয়া রখিবেন। পরদিন প্রাত:কালে ইহার সহিত ১ পোয়া ছাগলের কাচাঁ দুধ ও কিছু চিনি মিশাইয়া, বাসি পেটে সেবন করিবেন। নিয়মিত এ ঔষধ ২/৩ সপ্তাহ সেবন করিলে বলবীর্য অত্যাধিক বৃদ্বি পাইবে এবং ধাতু দূর্বলতার আস্তে আস্তে সম্পাপ্তি ঘটবে।


শুকনো আমলকী ৫০ গ্রাম উত্তমরুপে চূর্ন করে পরিস্কার কাপড়ে ছেকে নিতে +হবে এবং কিছু পরিমান আমলকি পিষে রস বাহির করে নিতে হবে। ঐ আমলকী রসের সহিত আমলকি গুড়া উত্তমরুপে মিশাইয়া অল্প আঁচে শুকাইয়া পুনরায় রৌদ্রে শুকাইয়া, শুস্ক করে নিতে হইবে। এবার ঐ চূর্নের সহিত মিছরি গুড়া করে পরিমান মতো মধু নিয়ে প্রত্যহ সকালে সেবন করিলে নপুংসকতা নাশ হয়।

তিন তোলা পরিমাণ ছোলাবুট রাত্রে ধুইয়া ভিজাইয়া রাখিনে সকাল বেলা ঘুম হইতে উঠে হাত মুখ ধুয়ে খালী পেটে চিবাইয়া খাইবেন। এই ভাবে একাধারে অন্তত একমাস খাইলে পরে ধাতু দৌর্বল্য রোগ আরোগ্য হয়।

কৃষ্ণতিলা ও আমলকী সমপরিমানে চূর্ন করিয়া উত্তমরুপে ছেপে নিবেন, প্রত্যহ রাত্রে শয়নকালে ১ তোলা পরিমান চূর্ন মুখে দিয়া এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করিবেন। এইভাবে ২১ দিন নিয়মিত পান করিলে আপনার গোপন সমস্যা সমাধান হবে।

আম, জাম, ও তেঁতুলের বীজ সমান পরিমান নিয়া উত্তমরুপে চূর্ন করিতে হইবে। প্রত্যহ রাত্রে শয়নকালে ১ তোলা পরিমান চূর্ন মুখে দিয়া এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করিবেন। এই ভাবে ৩ সপ্তাহ সেবন করলে আপনার ধাতু দূর্বলতাসহ গোপন সমস্যা সমাধান হবেই।

প্রতি রাতে শোয়ার পূর্বে এক কোয়া পিয়াজ দশটি কালো জিরার সাথে চিবিয়ে খেলে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত যৌবন শক্তি বহাল থাকে।

পুরাতন আম গাছের ছাল আগের দিন আধা গ্লাস পরিমান পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালী পেটে সমপরিমানে গরুর কাচাঁ দুধ দিয়ে পান করলে আপনার গোপন সমস্যা ভালো হবে এবং ধাতু দূর্বলতাও দূর হবে।


কেউ যদি যৌনরোগে ভূগেন। এই রোগ দেখা দেওয়ার পূর্বে বহু হস্তমৈথুন করেছেন। বর্তমানে ধজভঙ্গ হয়ে গেছে। প্রসাবের বেগ হলে ২/১ মিনিট ধারণ করতে পারেন না। প্রসাবে জ্বালা পোড়া হয়। কোমর ব্যথা করে। পায়খানা ও প্রাসাব কালে ধাতু যায়। শরীর দুর্বল। তাহলে আপনে নিয়মিত ভাবে TRIBULUS TERRES Q (মাদার) কিনে সকালে খালি পেটে দুপুরে এবং রাত্রে ৫ ফোটা করে সাড়ে তিন কাপ পানিতে মিশিয়ে খাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

এটি স্বাভাবিক একটা বিষয় কারণ আমাদের টেস্টিকলে বীর্য প্রতিনিয়ত উৎপন্ন হচ্ছে।

যার কারণে  বীর্য থলি পরিপূর্ণ হয়ে যায়।

আর সেগুলো কমানোর করার দরকার পড়ে।

তাই শরীর নিজে নিজেই এগুলোকে শরির

বের করে দেয়। সেটি স্বপ্নদোষের মাধ্যমে।

বেশি চিন্তা করবেন না, একজন ডাক্তারের

পরামর্শ নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ