শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ব্ল্যাক আউটে রয়েছে, আমার ব্লগ, সচলায়তন, মুক্তাঙ্গন, মুক্তমনা, নাগরিক ব্লগ, আমরা বন্ধু, চতুর্মাত্রিক, ক্যাডেট কলেজ ব্লগ, ইস্টিশন ব্লগ এবং সরব। এর সঙ্গে সংহতিতে রয়েছে, আর সব প্রগতিশীল সেক্যুলার প্লাটফর্ম। 

ইস্টিশন ব্লগের ফেসবুক পেজে ব্লগার সুশান্ত দাসগুপ্ত বলেছেন, ‘‘অনেকেই হয়তো ভাবছেন যে, ব্লগে ব্ল্যাক আউট করে কি লাভ? বিষয়টাতো লাভ-লোকসানের না। ব্লগে, ফেসবুকে সরকার জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে যে সমর্থন পেয়ে আসছে, ওদের ষড়যন্ত্রমূলক যত দুরভিসসন্ধি সেগুলা কারা উন্মোচন করেছে? এই ব্লগাররা। এটা এক বিরাট সমর্থন। এই সমর্থন না পেলে সরকার বুঝবে, ব্লগারদের দাম আছে কি নেই। এই যে তরুণ প্রজন্মের সচেতনতা কাদের কারণে? আজকের গণজাগরণ কাদের কারণে? এই ব্লগারদের কারণেই। সরকার মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে ধরার জন্য কিছুই করতে পারে নাই, কিছুই না। কিন্তু ব্লগাররাই বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ দলিল এবং ছবি।’’

তিনি বলেন, ‘‘ব্লাক আউটের মাধ্যমে সরকারক ম্যাসেজ দেওয়া হবে যে, আমরা এতোদিন ব্লগে কি করেছি। শুধুই কি সময়ের অপচয় ছিল, নাকি তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালনা করা হয়েছিল? এ পর্যন্ত আমরা কি কাজ করছি এবং সবগুলো ব্লগ যে একসঙ্গে আছে সেটা সরকারকে বুঝিয়ে দেওয়াই মুল উদ্দেশ্য।’’ 

ব্লগ বন্ধ ও ব্লগারদের নির্যাতনে প্রতিরোধে সামিল হওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে ব্লগার ও ব্লগগুলোর পক্ষ থেকে। 

ব্লগগুলোর মডারেটরদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘‘সরকার মুক্তচিন্তার ওপর আঘাত করতেই  এবং হেফাজতে ইসলামকে খুশি করতেই ব্লগারদের গ্রেফতার করছে। এমনকি সুস্পষ্ট অভিযোগ ছাড়াই ব্লগারদের ওপর হুমকি আসছে।’’ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ব্যাকআউট এর বাংলা অাবিধানিক অর্থ দাড়ায় পিছিয়েপড়া।

image

বাংলাদেশে ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর বেলা ১১টা ২৭ মিনিট ৪১ সেকেন্ডে সারাদেশ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। টানা ১২ ঘণ্টা পুরো দেশে বিদ্যুৎ ছিল না। দেশজুড়ে এই ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটায় ব্ল্যাক আউট নামে পরিচিত। এর ফলে বিশেষ করে অার্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ