Share with your friends
Yakub Ali

Call

রুট করার সুবিধা কি ?

বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে মোবাইলের অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা। এছাড়াও মোবাইলের পারফরমেন্স বাড়ানো যায় আরও অনেক ভাবে। ওভারক্লকিং করে সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করে। এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়। যখন মোবাইল এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা যায় আন্ডারক্লকিং করে। এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব। এছাড়াও রুট করে কাস্টম রম ইন্সটল করার সুবিধা রয়েছে। অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় মোবাইলের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার মোবাইলকে সম্পূর্ণ নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন। আপনি সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনার রাম এর স্পীড বাড়াতে পারবেন , প্রসেসরের স্পীড বাড়াতে পারবেন তবে কোন হার্ডওয়্যার বা অন্যান্য কোন কিছু বাড়াতে পারবেন না। আপনি ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাকে ১৬ মেগাপিক্সেল করতে পারবেন না। যেই মোবাইলে NFC নেই তাতে তা সংযোগ করতে পারবেন না। রুট শুধু মাত্র আপনার অভ্যন্তরীণ পারফরম্যান্সে কাজে আসবে , বাহ্যিক কোন পরিবর্তন নয় ।

রুট করার অসুবিধা কি ?

সর্ব প্রথম মোবাইল রুট করার মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। তাই রুট করার আগে সাবধান। অবশ্য অনেক মোবাইল আবার আনরুট করা যায়। আর মোবাইল আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল কি না। তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া বাধ্যতামূলক। অনেকে মোবাইল ব্রিক নিয়ে অনেক কথাই বলেছে। এখন কথা হল ব্রিক মানে কি? ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা বা নষ্ট হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ আপনার মোবাইল কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় যদি কোন ভুল ত্রুটি হয় তাহলে ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায় দেন যাতে আপনার মোবাইলের কোন ক্ষতি না হয়। রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলেছেন। এখন এর সম্পূর্ণ দায়ভার আপনাকে গ্রহন করতে হবে। রুট করলে দেখা যায় অনেক সময় অনেক ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম রুট করা ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। কিন্তু লক থাকা অবস্থায় ব্যবহারকারী নিজেই রুট অ্যাক্সেস পান না, তাই অন্য প্রোগ্রামগুলোর রুট অ্যাক্সেস পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে।

Talk Doctor Online in Bissoy App

রুট করার সুবিধা পারফরমেন্স বাড়ানোঃবিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা। ওভারক্লকিং করাঃ সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করানো। এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়। আন্ডারক্লকিং করাঃ যখন ডিভাইস এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা। এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব। কাস্টম ইউআই : আপনার ডিভাইসের হোমস্ক্রিন, লক স্ক্রিন, মেনু ইত্যাদি বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ডিজাইন একটা সময় পর আর ভালো নাও লাগতে পারে। তখন আপনি ডিভাইসে নতুনত্ব আনতে পারবেন নতুন সব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে। এগুলোকে অন্যভাবে রমও বলা হয়। কাস্টম রম : ইন্সটল করার সুবিধা। অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় ডিভাইসের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার সেটকে সম্পূর্ণ নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন। বাইরে থেকে অবশ্যই এর ডানা-পাখনা গজাবে না বা ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল থেকে ৮ মেগাপিক্সেল হবে না, কিন্তু ভেতরের ডিজাইন ও ক্ষেত্রবিশেষে পারফরম্যান্সেও আসবে আমূল পরিবর্তন। রুট করার অসুবিধা ওয়ারেন্টি হারানোঃ ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। তাই রুট করার আগে সাবধান। অবশ্য অনেক সেট আবার আনরুট করা যায়। আর সেট আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল। তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই। ফোন ব্রিক করাঃ ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা। অর্থাৎ, এর কাজ করার ক্ষমতা হারানো। রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় একটু এদিক-সেদিক হলেই ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। আপনার ফোনের প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায় দেন যেন এর ক্ষতি না হয়। রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন।

Talk Doctor Online in Bissoy App
TarikAziz

Call

রুট করার সুবিধা


ইন্টারনাল মেমোরি বাড়ানোঃ যদি আপনার মোবাইলের ইন্টারনাল মেমোরি/ রম কম থাকে, কিছুদিন পর পর ফুল হয়ে যাওয়ার ফলে অ্যাপ ইন্সটল করতে পারেন না, তাহলে আপনি রুট করার পর Link2SD দিয়ে খুব সহজে ফোনের রম বাড়াতে পারবেন।

কাস্টম বুট এনিমেশন / বুট লোগোঃ রুট করলে আপনি মোবাইলের ডিফন্ট বুট এনিমেশন চেঞ্জ করে অন্য ডিভাইসের বুট এনিমেশনও ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে আপনি নিজেই পছন্দের ছবি দিয়ে বুট লোগোও তৈরি করতে পারবেন। তবে টেস্ট করার জন্য আপনার মোবাইল অবশ্যই রুটেড হতে হবে।


কাস্টম কার্নেলঃ কার্নেল / Kernel হচ্ছে যা আপনার অ্যান্ড্রয়েডের হার্ডওয়ার ও সফটওয়ারের মাঝখানে ব্রিজ হিসেবে কাজ করে। রুট করার পর আপনি মোবাইলের ডিফল্ট কার্নেল বাদ দিয়ে কাস্টম কার্নেল ফ্ল্যাশ করতে পারেন। এগুলো সাধারণত আপনার ফোনের পারফরম্যান্স বাড়ায়।


কাস্টম রিকভারিঃ মোবাইল সফট ব্রিক করলেও Recovery / রিকভারি -তে গিয়ে ঠিক করা যায়। এক্ষেত্রে কাস্টম রিকভারিগুলো আরো অনেক ফিয়েচারসম্পন্ন, যেকোন মড বা কাস্টম রম ফ্ল্যাশের জন্য এই রিকভারি প্রয়োজন। রুট করার পর আপনি কাস্টম রিকভারি ইন্সটল করতে পারবেন।

কাস্টম রম ইন্সটলঃ আপনি হয়ত মোবাইলে দেয়া ডিফল্ট রম ইউজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন, বা আপনার বন্ধুর HTC / Sony রমের ইউজার ইন্টারফেইস এত সুন্দর কেন, বেঞ্চমার্ক স্কোর এত ভালো কেন?! আপনিও চাইলে Sony / HTC এর রমও আপনার সিম্ফোনি মোবাইলে ব্যবহার করতে পারেন! তবে সেজন্য প্রথমেই লাগবে রুট!


ব্যাটারি ব্যাকাপ বাড়ানোঃ আপনার মোবাইলে হয়ত চার্জ থাকছে না, কারণ ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু অ্যাপ চলতেই থাকে আর আপনার ব্যাটারির চার্জও শেষ হতে থাকে, আপনি রুটেড না হওয়ায় কিছু করার নেই। কিন্তু রুটেড হলে আপনি Greenify নামে একটি অ্যাপের সাহায্যে আপনার মোবাইলের সব অ্যাপ Hibernate করে রাখতে পারবেন, ফলে আপনার ব্যাটারি আরো অনেক বেশিক্ষণ চার্জ ধরে রাখতে পারবেন।

অথবা, যদি ব্যাটারি ৩০% থেকে ঠুস করে ৩% এ এসে যায় তাও আপনার কিছু করার নাই। কিন্তু রুটেড হলে আপনি Battery Calibrate করেসেটা ঠিক করে ফেলতে পারবেন!

Font Change করাঃ আনরুটেড অবস্থায় কোন ধরনের ফন্ট পরিবর্তন করা যায় না (স্যামসাং বাদে) । রুটেড হলে আপনি iFont / Font Changer অ্যাপ দিয়ে বাংলা, ইংলিশ সব ফন্টই পরিবর্তন করতে পারেন। অ্যান্ড্রয়েডের বাংলা ডিফল্ট ফন্টটা খুবই বাজে, রুট করার পর আপনি চাইলে সিয়াম রুপালীর মত সুন্দর বাংলা ফন্টও ব্যবহার করতে পারবেন।

।Custom Equalizer / Sound Mod: সনির ওয়াকম্যান, HTC র Beats audio, Cynogen এর DSP Manager, Dobly Audio এর নাম শুনেছেন নিশ্চয়? রুট করার পর এসব sound mod আপনার নিজের ফোনেও ব্যবহার করতে পারবেন এবং সাউন্ড পাবেন ঠিক সনির হেডফোনের মতই, যতই ছকিনা হেডফোন ইউজ করেন না কেন! এগুলো আপনার গান শোনার অভিজ্ঞতা বদলে দিবে।

Xposed Framework: Xposed Framework একটি অসম্ভব জনপ্রিয় ফ্রেমওয়ার্ক। রুট সুবিধা ব্যবহার করে এই ফ্রেমওয়ার্কের বিভিন্ন মডিউলের সাহায্যে আপনার মোবাইলের ইন্টারফেইস পুরো বদলে ফেলতে পারবেন! যেমনঃ 6 X 6 প্যাটার্ন ব্যবহার, Multi Window, Small Apps, APK ফাইল সেন্ড না হওয়ার সমাধান, নোটিফিকেশন টোস্ট/কীবোর্ড কিভাবে অন হবে, কিভাবে অফ হবে, কতক্ষণ থাকবে এসব এনিমেশন চেঞ্জ, স্ট্যাটাসবার, লকস্ক্রিন হতে শুরু করে সব সব সববববববববব কিছু চেঞ্জ করে ফেলতে পারবেন।

বিভিন্ন অ্যাপ ক্র্যাকঃ রুটেড ইউজাররা Lucky Patcher, Freedom এর সাথে অনেক পরিচিত, কারণ এর সাহায্যে অনেক অ্যাপ ক্র্যাক করা যায়। আপনি চাইলে কোন অ্যাপের এড বন্ধ করে রাখতে পারেন, কোন অ্যাপ লাইন্সেস খুঁজলে সেটা প্যাচ করতে পারেন। PowerAmp নামের জনপ্রিয় মিউজিক প্লেয়ার Lucky Patcher দিয়ে ক্র্যাক করে আজীবন ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া Freedom দিয়ে বিভিন্ন পেইড অ্যাপস নামানো যায়, In-app purchaseএ কোন ট্যাকাটুকা ছাড়াই কিনে ফেলা যায় ইত্যাদি!


গেইমিংঃ অনেকের ফোনে অনেক গেইম চলে না সিস্টেম Requirement এর জন্য। রুটেড হলে এ ধরনের “না চলা” গেইমও চালানো যায়! এজন্য GTools নামে একটি অ্যাপ আছে। তাছাড়া বিভিন্ন গেইমেও মড ব্যবহার করা যায়, যেমনঃ Clash of Clans এর জন্য Xmod। অনেক গেইমে কয়েন হ্যাক করা যায়।


পারফরম্যান্স বাড়ানোঃ রুট করার ফল প্রসেসরকে OverClock / UnderClock করা যায়। অর্থাৎ আপনি চাইলে তাড়াতাড়ি কাজ করানোর জন্য 1.2GHz এর প্রসেসরকে 2.4Ghz এও চালাতে পারবেন! আবার প্রয়োজন না হলে ব্যাটারি ব্যাকাপ বাড়ানোর জন্য UnderClock করে রাখতে পারবেন। এতে ব্যাটারি পাওয়ার কম খরচ হবে।


Linux এর স্বাদঃ অ্যান্ড্রয়েড Linux Based হলেও এতে সব ইউনিক্স কমান্ড ব্যবহার করা যায় না। সেক্ষেত্রে BusyBox নামের অ্যাপটি সব কমান্ড ইন্সটল করে দিবে। তারপর Terminal Emulator অ্যাপের সাহায্যে আপনি এসব কমান্ড ব্যবহার করতে পারবেন।


রুট করার অসুবিধা----


Warranty হারানোর ভয়ঃ Nonrooted ইউজাররা সবসময় একটা কথাই বলে, রুট করলে আর ওয়ারেন্টি থাকে না। কথা সত্য। কিন্তু তারা এটা জানেনা যে রুট করে আবার আগের মত আনরুট করে ফেলা যায় এবং বাংলাদেশের কাস্টম কেয়ার এগুলা ধরতে পারে না!


OTA Update না পাওয়াঃ OTA Update সাধারণত সিম্ফোনি দেয় না, ওয়াল্টন মাঝে মাঝে দেয়। রুট করার পর আর OTA Update পাওয়া যায় না। তবে কাস্টম রম ইন্সটল করলে এখন ওগুলোতেই OTA Update দিয়ে দেয়  


ফোন ব্রিক করাঃ Brick করার দোষ মোটেও রুটের ঘাড়ে চাপানো উচিত না, কারণ রুট করার আগে আপনার জিনিস গুলো নিয়ে ঘাটা উচিত। এখন না জেনে না শুনে যদি কোন এক্সপেরিমেন্ট করতে যান তাইলে ফোন ব্রিক করতে পারে।

Talk Doctor Online in Bissoy App