আমি এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করি। বিশেষ করে আমি আমার এই ফোনটিকে কাজে লাগাই ইন্টারনেট ব্রাউজ আর ইবুক পড়ার জন্য। আমি এই ফোন কথা বলার জন্য ব্যবহার করিনা। আমি এই ফোন এক বার ধরলে টানা ৩ ঘন্টা একটানা ব্যবহার করি কখনো শুয়ে কখনো বসে এইভাবে। আমি রাতে শোবার সময় এলার্ম দিয়ে ঘুমাই সকালে ওঠার জন্য। মোবাইল আমার বালিশের পাশে থাকে । আমি কি প্রতিনিয়ত মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাবের মধ্যে আছি?? আমার কি ব্রেন টিউমার, ব্রেন ক্যান্সার, হার্ট এ্যাটার্ক ইত্যাদি হবার সম্ভাবনা আছে?? মোবাইলের রেডিয়েশনের প্রভাব আমার উপর কতটুকু পড়ছে??????
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অতিরিক্ত সময় বার্তা পাঠানো, চ্যাটিং করার ফলে ঘুমের মধ্যেও এর প্রভাব পড়তে পারে। হতে পারে ‘স্লিপ টেক্সটিং’ সমস্যা। এ সমস্যা হলে রাতে ঘুমের মধ্যে কাকে কী বার্তা পাঠানো হয় তা আর পরে মনে থাকে না। বার্তা পাঠানোর বিষয়টি মাথায় থাকে বলে ঘুমের মধ্যেও হাতের কাছে থাকা মুঠোফোন থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত নম্বরে বার্তা চলে যায়। মনোবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দুশ্চিন্তা, কাজের চাপ আর মুঠোফোন নিয়ে অনেকের দিন কাটে। এমন অবস্থায় স্লিপ টেক্সটিং ঘটতে পারে। রাতে বিছানার পাশে মুঠোফোন না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। কমতে পারে চোখের জ্যোতি যুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, মুঠোফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে দৃষ্টি বৈকল্য সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে মায়োপিয়া বা ক্ষীণ দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সাধারণত চোখ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রেখে তা ব্যবহার করেন। তবে, অনেকের ক্ষেত্রে এ দূরত্ব মাত্র ১৮ সেন্টিমিটার। সংবাদপত্র, বই বা কোনো কিছু পড়ার ক্ষেত্রে সাধারণত চোখ থেকে গড়ে ৪০ সেন্টিমিটার দূরত্ব থাকে। চোখের খুব কাছে রেখে অতিরিক্ত সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে জিনগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। গবেষকেরা জানান, মুঠোফোন থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত হয়। এই ক্ষতিকর তরঙ্গের সঙ্গে মস্তিষ্কে ক্যানসারের যোগসূত্র থাকতে পারে। এ ছাড়া শরীরের অন্য কোষকলা এই ক্ষতিকর তরঙ্গের প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পুরুষের প্রজননতন্ত্রেরও।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মোবাইল রেডিয়েশনের সম্ভাব্য রোগসমূহঃ *ক্যান্সার (Cancer) *ব্রেইন টিউমার (Brain tumors) *আলঝেইমার’স (Alzheimer’s) *পারকিনসন’স (Parkinson’s) *ক্লান্তি (Fatigue) *মাথা ব্যথা (Headaches) — তার মধ্যে ক্যান্সার ও ব্রেইন টিউমারই প্রধান। যেভাবে নিরাপদ থাকতে হবেঃ ** ঘুমানোর সময় মোবাইল মাথা থেকে দূরে রাখতে হবে। ** হ্যান্ডস-ফি মোবাইল ব্যবহার করতে হবে। ** এক টানা দীর্ঘ সময় মোবাইলে কথা বলা উচিত নয়। ** যত টুকু সম্ভব বাহিরে বসে ফোনে কথা বলা ভালো। ** মোবাইল যতটা সম্ভব শিশুদের থেকে দূরে রাখা ভালো। ** মোবাইল ফোনকে যতটা সম্ভব শরীর থেকে দূরে রাখতে হবে। ** এক্সটারনাল এন্টেনা ছাড়া গাড়িতে মোবাইল ব্যবহার করা উচিত নয়। এখানে আরো কিছু যোগ করা যায় যেমন- মোবাইলে কথা বলার সময় বাম কান ব্যবহার করা, চার্জার লাগানো অবস্তায় কথা না বলা, সম্ভব হলে হেডফোন ব্যবহার করা। বাংলাদেশে এখন মোবাইল ফোনের গ্রাহক প্রায় সাড়ে নয় কোটি। আর প্রতি মাসে গড়ে ১২ লাখের বেশি হ্যান্ডসেট আমদানি করা হয় বিদেশ থেকে। কিন্তু কি ক্রেতা, কি বিক্রেতা তাঁদের কেউই মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেটের রেডিয়েশন এবং তার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন নন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ