প্রস্রাবের সাথে বীর্য নির্গমণের একাধিক কারণ হতে পারে। সবথেকে সাধারণ কারণ হল যে অনেক সময়ই সহবাস বা হস্তমৈথুন বা অন্য কোন কারণে অর্গাজমের পরে স্বল্প পরিমাণে বীর্য মূত্রনালীতে থেকে যায় যা পরবর্তীতে মূত্রত্যাগের সময় বেরিয়ে আসতে পারে। কিন্তু এই পদ্ধতিতে মূত্রের সাথে যে পরিমাণ বীর্য নির্গত হয় তা সাধারণত এতই অল্প হয় যে সেটা আলাদা করে বোঝা নাও যেতে পারে। তবে এইভাবে বীর্য নির্গমণ কোন চিন্তার কারণ নয়। অপর একটি গুরুতর কারণ হল রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন (retrograde ejaculation)। এক্ষেত্রে অর্গ্যাজমের সময় বীর্য লিঙ্গের মাধ্যমে নির্গমণের পরিবর্তে মূত্রথলীতে প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে প্রস্রাবের সময় মূত্রের সাথে বেরিয়ে আসে। সাধারণত মূত্রথলীর স্ফিংটার পেশী অর্গ্যাজমের সময় সংকুচিত হয়ে বীর্যকে মূত্রথলীতে প্রবেশ করতে দেয় না। কিন্তু যদি ওই স্ফিংটার পেশী ঠিকমত কাজ না করে তবে বীর্য মূত্রথলীতে ঢুকে যায়। রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের একটি সম্ভাব্য কারণ। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপযুক্ত চিকিৎসায় এর নিরাময় সম্ভব। প্রস্রাবের সময় বীর্য বের হবার আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হল প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যা। বীর্যের কিছু পরিমাণ রস এই গ্রন্থিতে তৈরী হয়। প্রস্টেট গ্রন্থিতে সমস্যা হলে মূত্রত্যাগের সময় এই গ্রন্থি হতে ক্ষরিত রস মূত্রের সাথে মিশে যেতে পারে।
যদি সন্দেহ হয় যে মূত্রের সাথে বীর্য বা অন্য কিছু বের হচ্ছে বা মূত্রের রঙ, গন্ধ ইত্যাদি স্বাভাবিকের থেকে ভিন্ন তবে তৎক্ষণাৎ উপযুক্ত ডাক্তারের (Urologist) সাথে পরামর্শ করুন।
আপনার সমস্যাটির কারণ হল বীর্য তার স্বাভাবিক ঘনত্ব হারিয়েছে। আপনার এই সমস্যাটি আসলে একটু জটিল ধরনের। এটি সম্ভবত ধ্বজভঙ্গের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। ধ্বজভঙ্গ লিঙ্গের একটি অসুস্থতা। এর ফলে লিঙ্গ ছোট হয়ে আসে এবং লিঙ্গের অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। এর জন্য আপনি হোমিওপ্যাথ চিকিত্সা গ্রহণ করতে পারেন। কারণ একমাত্র হোমিওপ্যাথ চিকিৎসাই আপনার সমস্যাটিকে গোড়া থেকেই নির্মূলে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিত্সা নিন। এছাড়া অ্যালোপ্যাথি কোনো বিশেষজ্ঞেরও পরামর্শ নিতে পারেন। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।