শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

http://107.182.169.124/uploads/2015/07/02/2015_07_02_08_09_41_w6bc9Lp5UG85wSSBqqivR3JQuB4M12_original.jpg ঠাণ্ডা পানি সাবধান থাকার পরেও হাত পা পুড়ে গেলে ক্ষতস্থানে অনেক সময় ধরে ঠাণ্ডা পানি ঢালতে হবে। ঠাণ্ডা পানি পোড়া জায়গার জ্বালা কমিয়ে ফোসকা পড়ার ঝুঁকি কমায়। প্রতি দুই তিন ঘণ্টা পর পর আক্রান্ত স্থানটি ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। তবে পোড়া স্থানে বরফ ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ বরফ পোড়া স্থানের রক্ত চলাচল বন্ধ করে দিয়ে পোড়া স্থানের ক্ষতির কারণ হতে পারে। অ্যালোভেরা কোথাও পুড়ে গেলে অ্যালোভেরার জেল বের করে পোড়া জায়গায় লাগিয়ে নিন। অ্যালোভেরায় ব্যাথা কমানোর গুণ আছে। পোড়া জায়গায় অ্যালোভেরা লাগিয়ে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ত্বকে শীতল অনুভূতি পাওয়া যাবে এবং জ্বালা ভাব কমে যাবে। প্রথমে পোড়া জায়গাটা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর এক টুকরো অ্যালোভেরার পাতা থেকে তাজা রস বের করে পোড়া স্থানে লাগিয়ে নিন। এভাবে দিনে বেশ কয়েকবার লাগাতে পারেন। ভিনেগার ভিনেগার হলো প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ও অ্যান্টিসেপ্টিক। তাই পুড়ে যাওয়া যায়গায় ভিনেগার ব্যবহার করলে আরাম পাওয়া যায়। ভিনেগারের সঙ্গে সম পরিমাণে পানি মিশিয়ে ক্ষত স্থানটি ধুয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ব্যাথা কমিয়ে দেবে এবং ত্বকে কিছুটা স্বস্তি মিলবে। ক্ষত স্থানে ভিনেগার লাগিয়ে উপরে একটি কাপড় বেঁধে রাখতে পারেন। প্রতি দুই থেকে তিন ঘন্টা পর পর কাপড়টা বদলে দিতে হবে। মধু আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থানে মধু দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্বালা পোড়া ভাব কমে যায়। মধু হলো প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক তাই পোড়া যায়গায় মধু লাগালে জীবাণু নিধন করে ইনফেকশনের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় ও দ্রুত শুকাতে সহায়তা করে। একটি পরিষ্কার পাতলা সুতি কাপড় বা গজে মধু লাগিয়ে পোড়া স্থারে লাগাতে পারেন। দিনে ৩ থেকে ৪ বার কাপড়টা বদলে দিন। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে পোড়ার ক্ষত দ্রুত ভালো হবে এবং দাগ হবে না। টি ব্যাগ শরীরের কোনো অংশ যখন সামান্য পুড়ে গেলে টি ব্যাগ মুক্তি পাবেন অনেকটাই। চা পাতায় আছে ট্যানিক এসিড যা ত্বককে শীতল করে। তাই পোড়া স্থানে ভেজা ঠাণ্ডা টি ব্যাগ ব্যবহার করলে ত্বকের জ্বালা ভাব ও অস্বস্তি কমে যায়। পোড়া জায়গায় কয়েকটি ঠাণ্ডা ভেজা টি ব্যাগ ধরে রাখুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ