বই পড়া আপনার দুঃশ্চিন্তাকেও কমিয়ে দেয়। বিভূতিভূষণের চাঁদের পাহাড় কিংবা হেমিংওয়ের ওল্ড ম্যান এ- দ্য সী পড়তে বসুন। দেখুন, আপনার দুশ্চিন্তা-দূর্ভাবনাকখন কোথা দিয়ে পালিয়ে গেছে আপনি টেরও পাবেন না। আপনার ঘরে অতি তিড়িংবিড়িং টাইপের ছানাপোনা আছে? কোন চিন্তা নেই। ভাল দেখে একটা কমিকস কিংবা ছবির বই ধরিয়ে দিন, দেখবেন কোন যাদু মন্ত্রে শান্ত হয়ে ঘরের কোনে বসে আছে, কেবল তার চোখ আর মগজটা বইয়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বাকী শরীরটা আঠা দিয়ে জায়গাতেই আটকানো। ট্রেজার আইল্যান্ড কিংবা দিলুর গল্প আপনাদের শৈশব কৌশরের অনেক অস্থিরতাই কাটিয়েছিলো। শুধু দুঃশ্চিন্তা বা চাপই কমায় না, বই পড়া মানুষকে শান্তিও দেয়। বিশ্বের মাদক ব্যবসায়ী ও নারী পাচারকারীর হাতে বই তুলে দিতে পারলে হয়তো পুরো চিত্রটাই পাল্টে যেতো। একবার ভাবুন, আমাদের রাজনৈতিক নেতারা টিভি চ্যানেলে ঝগড়া ফ্যাসাদের সময়টুকুতে হাইরিখ হাইন কিংবা হেলাল হাফিজ পড়লে কতো ভালোই না হতো!যে কোন কারণেই হোক (আমার ধারণা কারণটা আমাদের মুরব্বিরা) ছোটবেলাতেই অনেকের মনে বইটা ভয় হয়ে দেখা দেয়। রসগোল্লাও যদি জোর করে গেলানো হয় কার ভাল লাগে! আমাদেরমাস্টার আর মুরব্বি বই বিষয়ে সিরিয়াস সব কথা বলে আমাদের অবস্থা অনেক সময় সিরিয়াস করে দেয়। বই পড়া যে একটা বিরাট বিনোদন এটা বহু আঁতেলরাও বুঝতে চায় না। রিডিং ফর প্লেসার ব্যাপারটা আমাদের অনেকেই বোঝে না। ছোটবেলায় আমরা পড়েছি, লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে। লেখাপড়া করলে আয়-উন্নতি হবে, গাড়ি-প্লেন (এখন তো আর ঘোড়ার দিন নেই) ইত্যাদি চড়া হবে, তাতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু পড়া-লেখার যে একটা নিজস্ব আনন্দ আছে সেটা বোঝাটা সবচেয়ে জরুরি। বইয়ের ঘ্রাণ আর কালো অক্ষরের বর্ণিল বাণীগুলো স্বয়ং যে কোন পাঠকের জন্য বড় প্রাপ্তি হতে পারে। ¯্রফে পরীক্ষা আর ক্যারিয়ারের জন্য পড়তে গিয়ে আমরা পড়াটাকেই বিরক্তিকর বোঝার পর্যায়ে নিয়ে যাই। আমি তো এমনি এমনি পড়ি, পড়ার আনন্দেই মাতি Ñ এমন করে ভাবনার লোক কই! সাঁতার কাটলে শরীর পরিস্কার হয়, স্বাস্থ্য ভাল হয়, কিন্তু জোড় করে সাঁতার কাটাতে গেলে কেবল পরিশ্রমটাই হয়। কাজেই বড়দের বোঝানো উচিত, পানিতে দাপাদাপির আনন্দেই আমরা সাঁতার শিখেছি, বই পড়াটাও অজানা জগত বিরচণেরআনন্দে কাটালে মন্দ কি
বই আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে শিখায়, বই পড়া আপনার দুঃশ্চিন্তাকেও কমিয়ে দিবে বই পড়া মানুষকে শান্তিও দেয় নতুন নতুন জিনিস শেখায় ক্যারিয়ার গঠনের অন্যতম প্রদান লক্ষ্য লেখাপড়া করা জীবনে উন্নতি করতে ক্লাসের বই পড়ার ভূমিকা অপরিসীম,পরীক্ষার সময়ে আপনাকে ক্লাস এর বই থেকেই প্রশ্ন করা হবে আসলে আপনি এই বই থেকে কতটুকু জ্ঞান অর্জন লাভ করছেন আপনার ফল কেমন ভালো লেখাপড়ার ফল অন্য রকম, আমরা সবাই পড়েছি, লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে এখন ভালো লেখা পড়া করা ছাড়া তো তা সম্ভব নয় পড়া-লেখার যে একটা নিজস্ব আনন্দ আছে সেটা বোঝাটা সবচেয়ে জরুরি বইয়ের ঘ্রাণ আর কালো অক্ষরের বর্ণিল বাণীগুলো স্বয়ং যে কোন স্টুডেন্ট এর জন্য বড় প্রাপ্তি হতে পারে। বোর্ড বই জীবনের উদ্দেশ্য সাফল্য এনে দিতে পারে যত বেশি পড়বেন তত আপনার ক্যারিয়ার গঠন হবে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন, লেখা পড়ার জানার শেষ নেই পরীক্ষায় ভালো করতে অবশ্যই বোর্ড বই ফলো করুন অবসরে অন্য বই ও পড়তে পারেন বিনোদন এর জন্য মজার জন্য তবে বোর্ড বইয়ের বিকল্প আর কোন বই নেই