পায়ের ভিতরে অস্থির রকমের জ্বালাপোড়া করে। এক কথায় কামড়ায় বা চিবাই মনে হয় এইতো। এই রোগের নাম হচ্ছে- বাত সাইটিকা বা বাত রোগ। এই রোগের সমাধান হচ্ছে ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
abduljobbar

Call

আপনার নার্ভের সমস্যার কারণে এটা হতে পারে অথবা হাড়ের সমস্যার কারণে এটা হতে পারে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বিভিন্ন কারণে পা জ্বালাপোড়া হতে পারে। তবে এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো স্নায়ুরোগ। এছাড়া ভিটামিনের অভাব (ভিটামিন বি১২ এবং বি৬), দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগ, থাইরয়েড সমস্যা, এইচআইভি, উচ্চ রক্তচাপ, পানি চলে আসা, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াসহ বিভিন্ন কারণেও হতে পারে বার্নিং ফিট সিন্ড্রোম। তবে এতে ভয় পাবার কিছু নেই। কিছু ঘরোয়া উপায়ে সহজেই আপনি পায়ের জ্বালাপোড়া রোধ করেতে পারেন। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক উপায়গুলো। ১. রসুন পানি রসুন পানি পায়ের জ্বালাপোড়া দূর করে ব্যথা কমিয়ে দেয়। কয়েক কোয়া রসুন কুচি করে কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। রসুনের কুচির পরিবর্তে রসুনের পেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারেন। পানি কুসুম গরম হয়ে এলে এটি একটি পাত্রে ঢেলে নিন। এই মিশ্রণে পা ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।  ২. অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পায়ের জ্বালাপোড়া কমাতে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার বেশ কার্যকর। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারের পিএইচ লেভেল শরীরের তাপমাত্রায় ভারসাম্য বজায় রাখে। দুই টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এক বোল কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে পা দুটি ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এটি প্রতিদিন করুন। এছাড়া কুসুম গরম পানিতে এক বা দুই চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে পারেন। ৩. ইপসোম সল্ট একটি পাত্রে পানির সাথে ইপসোম সল্ট মিশিয়ে নিন। পানি এবং সল্ট ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণে পা দুটি ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। দেখবেন জ্বালাপোড়া অনেকখানি কমে গেছে। ৪. আদা এক চা চামচ আদার রসের সাথে কুসুম গরম নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি পায়ে ম্যাসাজ করুন ১০-১৫ মিনিট। এটি দিনে একবার করুন। এছাড়া আদা চা পান করতে পারেন। এটিও পায়ের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করবে। ৫. হলুদ বহুগুণী হলুদ আপনার পায়ের জ্বালাপোড়া রোধ করতে সাহা্য করবে। কুসুম গরম পানিতে ১-২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি দিনে দুইবার পান করুন। এছড়া দুই টেবিল চামচ হলুদ পানিতে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি পা ম্যাসাজ করে লাগান। সাময়িকভাবে পায়ের জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেবে এটি। ৬. করলার পাতা এক মুঠো করলার পাতার সাথে কিছু পরিমাণ পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি পায়ে ম্যাসাজ করে লাগান। কয়েকবার ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি পায়ের জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেবে। ৭. ঠান্ডা পানি পায়ের জ্বালাপোড়া কমানোর সবচেয়ে সহজ একটি উপায় হলো ঠান্ডা পানি। একটি পাত্রে বরফসহ পানি নিন। এই বরফ পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। দেখবেন পায়ের জ্বালাপোড়া অনেক্টা কমে গেছে। ৮. জুতা সঠিক পরিমাপের খোলা ও আরামদায়ক জুতা পরতে হবে। আরামদায়ক সুতার মোজা ব্যবহার করা ভালো। ৯. ব্যায়াম পায়ের পেশির ব্যায়াম ও ঠান্ডা পানির (বরফ না) সেঁক নেওয়া যেতে পারে। ১০.নেশা মদ্যপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে। স্নায়ু ইনজুরি, অবরুদ্ধ (ইনট্রাপমেন্ট) ও সংকোচন (কমপ্রেসন) হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ