শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কোন দেশের তথা জাতির উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শব্দ দুটি পরষ্পরের সম্পূরক। মূলত বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে মানবকল্যাণে বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করাই হলো প্রযুক্তি। যিনি প্রকৃতির রহস্য অনুসন্ধান করেন এবং রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য গবেষণা করেন তিনিই বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে যিনি মানব কল্যাণে ব্যবহার করেন তিনিই প্রযুক্তিবিদ। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন বিষয়ে অদম্য কৌতুহলি ও বাস্তববাদী হয়ে থাকেন। প্রযুক্তিবিদগণ কৌশলী ও যথেষ্ট ধৈর্যের সাথে বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে কাজে লাগান। উদাহরণ, পদার্থবিজ্ঞানী, রসায়নবিদ, প্রাণীবিজ্ঞানী। উদাহরণ, প্রকৌশলী, ডাক্তার, কৃষিবিদ। বিজ্ঞান শব্দের অর্থ হচ্ছে বিশেষ জ্ঞান। বিশ্বজগত্ সম্পর্কে সুসংবদ্ধ ও সুসামঞ্জস্য মঙ্গলজনক জ্ঞানই হচ্ছে বিজ্ঞান। আর প্রযুক্তিবিদের মাধ্যমে বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলো মানবকল্যাণে ব্যবহূত হয়। সাধারণত বিজ্ঞানের আবিষ্কারের প্রায় সাথে সাথেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেগুলোর প্রযুক্তিগত ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমনঃ পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের বিভিন্ন আবিষ্কার প্রায় সাথে সাথেই চিকিত্সা, প্রকৌশল এমনকি কৃষিক্ষেত্রেও বহুলভাবে ব্যবহূত হচ্ছে। অর্থাত্ প্রযুক্তি ছাড়া বিজ্ঞান অচল। আবার বিজ্ঞানের আবিষ্কার যদি না হতো তবে কখনই প্রযুক্তিবিদরা এসবের ব্যবহার বা উপকারিতা সম্পর্কে জানতো না। মানব সভ্যতার প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষ কাঁচা মাংস খেত। পরবর্তীতে আগুনের আবিষ্কার হয় এবং মানুষ রান্না করতে শেখে। যখন ভোতা অস্ত্রকে শান দিয়ে ধারালো অস্ত্র বানানো সম্ভব হলো তখন থেকেই শুরু হলো প্রযুক্তির ব্যবহার। কাজেই বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সাথে প্রযুক্তি সম্পৃক্ত হয়ে মানব কল্যাণে ব্যবহূত হচ্ছে। সুতরাং বলা যায় যে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরষ্পরের সম্পুরক।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ