প্রথম দিকে, ১৯৫০'র দশকে যে কম্পিউটার তৈরি হত সেইসব একটি কম্পিউটার একটি নির্দিষ্ট কাজ করত, মানে যে কম্পিউটারে গান শোনা যেত, সেই কম্পিউটারে ছবি দেখা যেত না. ছবি দেখার জন্যে অন্যে কম্পিউটার ব্যবহার করতে হত. এরকম প্রতিটা কম্পিউটার শুধু একটি কাজ করতে পারত. এমনটা হত কারন, তখন অপারেটিং সিস্টেম ছিল না. আমাদের সব কাজ যেমন - গান শোনা, ছবি দেখা, ইন্টারনেটে ঘোরাফেরা করা - "অপারেটিং সিস্টেম" (যেমন windows বা mac বা unix) কম্পিউটারের বোধগম্য করে তোলে. একই ইতিহাস মোবাইল ফোনের বেলায়. প্রথম দিকে মোবাইল ফোন গুলো শুধু কথা বলার জন্যে ব্যবহার হত. কিন্তু ১৯৯০'র দশকের শেষ থেকে মানুষ মোবাইল ফোনে আরও অনেক কিছু করতে চাইল। -- সেজন্য মোবাইল ফোনের জন্যও "অপারেটিং সিস্টেম" দরকার হয়ে পরল. ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি তাদের নিজেদের মত করে "অপারেটিং সিস্টেম" তৈরি করল মোবাইল ফোনের জন্য. নোকিয়া তৈরি করল - সিমবিয়ান সনি তৈরি করল - জাভা'র একটা "অপারেটিং সিস্টেম" ব্লাকবেরি তৈরি করল - ব্লাকবেরি অপারেটিং সিস্টেম মাইক্রোসফট তৈরি করল - উইন্ডস মোবাইল স্যামসাং তৈরি করল - বাদা এপল তৈরি করল - আই ওএস (আইফোনে ব্যবহার হয়) অ্যান্ডড্রয়েড কোম্পানি তৈরি করল - অ্যান্ডড্রয়েড (এই কোম্পানিকে এখন গুগুল কিনে নিয়েছে). প্লাটফর্ম বলতে আমরা এইসব "অপারেটিং সিস্টেম" বুঝি. windows কম্পিউটারের সব কাজ যেমন mac কম্পিউটারেও করা যায়. তেমন মোবাইলে ফোনের প্লাটফর্মগুলোতে ব্যাবহারের দিক দিয়ে তেমন কোন পার্থক্য নেই. মোটামুটি সব প্লাটফর্মেই সব ধরনের এপ্লিকেশন আছে. কিন্তু অ্যান্ডড্রয়েড "অপারেটিং সিস্টেম" বা প্লাটফর্মের ব্যবাহার হয়ত একটু সহজ তাই হয়তবা এই প্লাটফর্ম জিতে গেছে. জাভা'/সিমবিয়ান দিয়ে আর কোন ফোনসেট তৈরি হয় না. বাদা হয়ত কোরিয়াতে ব্যাবহার বেশি হয় , বাইরে খুব জনপ্রিয়তা পায়নি. ব্লাকবেরির বাজার খুব ভাল না. উইন্ডস মোবাইলও এখন সংগ্রাম করছে. এই মুহূর্তে আই ওএস এবং অ্যান্ডড্রয়েড প্লাটফর্মের মোবাইল সবচেয়ে এগিয়ে আছে বা বেশি বাজার ধরে রেখেছে.

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ