উন্নত মানের প্রিন্টিংয়ের জন্য লেজার প্রিন্টারের বিকল্প নেই। বেশী পরিমাণ, ছাপার উন্নত মান, স্পষ্ট আউপুট এসবের জন্য লেজার প্রিন্টার সর্বাধিক পরিচিত। ফটোকপি মেসিনে যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় লেজার প্রিন্টারেও সেই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। এতে কোনো রিবন বা তরল কালি ব্যবহৃত হয়না। তার পরিবর্তে টোনার নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থায় পাউডার কালি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে একটি ফটোইলেকট্রিক বেল্ট বা ড্রামে লেজার বিম ফোকাস করা হয়, যার ফলশ্র“তিতে ইলেকট্রিক্যাল চার্জ উৎপন্ন হয়। ড্রামটি ঘুরতে ঘুরতে ডেভেলপার ইউনিটে প্রবেশ করে। ডেভলপার ইউনিট টোনারকে কিছু চার্জ দেয় ফলে ড্রামের অনাহিত অংশ আকর্ষণ করে। কাগজে দেওয়া হয় তার চেয়েও বেশী চার্জ। ফলে ড্রামের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় টোনার কাগজে স্থানান্তরিত হয়ে যায়। সবশেষে কাগজে লেগে থাকা টোনারকে বসাতে কাগজকে দুটি উত্তপ্ত ঘুর্ণায়মান সিলিন্ডারের মধ্য দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হয় ফলে ইমেজ কাগজের উপর বসে পড়ে।
লেজার প্রিন্টার কি
আমাদের মনে একটি ধারণা আছে ,প্রিন্টার তরল কালার ব্যবহার করে কাগজের উপর নির্দিষ্ট অক্ষর গুলি ছাপে।
কিন্তু যদি লেজার প্রিন্টারে কথায় আসা হয়, লেজার প্রিন্টারে কোনো কালির ব্যবহার হয়না তার পরিবর্তে পাউডারের ব্যবহার করা হয়।
" লেজার " কথাটি শুনেই আমরা বুঝতে পারছি লেজার আলো বা বিম ব্যবহার করা হয়। আসলে এই প্রিন্টারে লেজার ব্যবহার করে পাউডার দিয়ে কাগজের উপর ছাপা হয়ে থাকে।
অর্থাৎ লেজার প্রিন্টার কি বলতে গেলে বলা যায় এটি সেই ধরনের প্রিন্টার যাতে কম্পিউটার সিগন্যাল লেজারের মাধমে ড্রামের উপর পরলে সেখানে সঠিক জাইগায় রঙের গুড়ো আটকে জায়।এবং সেটি প্রিন্ট হয়ে বেরিয়ে আসে ।
লেজার প্রিন্টার এর বৈশিষ্ট্য