শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

পবিত্র কুরআন মাজিদে এমন কিছু আয়াত আছে যেগুলো বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির জন্য শেফা স্বরূপ। আর সাধারণ ভাষায় এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি চাওয়া হয় বলেই উক্ত আয়াত কে আয়াতে শেফা বলে। পবিত্র কুরআনের কিছু আয়াত আছে যা শেফা নামে পরিচিত তা হলোঃ সুরা তাওবার ১৪ নাম্বার আয়াত। সুরা ইউনূসের ৫৭ নাম্বার আয়াত। সুরা নাহলের ৬৯ নাম্বার আয়াত। সুরা বানী ইসরাঈলের ৮২ নাম্বার আয়াত। সুরা আশ-শোয়ারার ৮০ নাম্বার আয়াত। সুরা হা-মীম সাজদাহ এর ৪৪ নাম্বার আয়াত। আর আমি নাযিল করি কুরআন, যা মুমিনদের জন্য আরোগ্য ও রহমত, কিন্তু তা যালিমদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে। (বানী ইসরাঈলঃ ৮২) মুমিনদের জন্য আল্লাহ তাআলা কুরআনকে শিফা বা আরোগ্য লাভের মাধ্যম ও রহমতস্বরূপ নাযিল করেছেন। এটা শুধু মুমিনদের জন্য সীমাবদ্ধ, কোন কাফির বা মুশরিক তা পাবে না। যেমন সূরা তাওবার ১২৪-১২৫ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ কুরআন দুই প্রকার চিকিৎসাই দিয়ে থাকে। (১) অন্তরের ব্যাধির চিকিৎসা যাদের অন্তরে সংশয়-সন্দেহ, নিফাকী, অজ্ঞতা ও খারাপ কাজের প্রতি লালসা রয়েছে কুরআন তাদের যথার্থ চিকিৎসা দিয়েছে। একজন ব্যক্তি কুরআনের এ চিকিৎসা যথাযথভাবে গ্রহণ করলে অন্তরের ব্যাধি ভাল হয়ে যাবে। (২) শারীরিক চিকিৎসা যেমন কুরআন দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করা। এ ব্যাপারে সে প্রসিদ্ধ ঘটনা উল্লেখ্য যেখানে সাহাবীরা সূরা ফাতিহার মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁক দিয়ে সাপেকাটা ব্যক্তির চিকিৎসা করেছিলেন। ফলে সে ব্যক্তি সুস্থ হয়েছিল এবং তারা সে কাজের বিনিময়ে এক পাল বকরী নিয়েছিলেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ