বয়স বড় জোর দু’বছর। বাড়িতে আর কেউ নেই। শুধু বিছানায় শুয়ে মা। কিন্তু তার দেহে প্রাণ নেই। কী করবে এই খুদে? সে খিদের চোটে গ্যাস জ্বালাচ্ছে। রুটি বানাচ্ছে। মা যে তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে, বুঝতেও পারছে না। দুধের বোতল উল্টে পড়ে আছে। খুব খিদে পাচ্ছে যে ওর। ফ্রিজের ভিতর ঢুকে পড়ছে। কখনো দরজা আটকে দিচ্ছে, তারপর কোনো মতে বেরিয়ে আসছে। মৃত মায়ের বুকের উপর শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে বাচ্চাটা যখন বিশাল ফ্ল্যাটের ঘরে একা টিভি চালিয়ে নাচতে শুরু করে, সারা ঘরে খেলনা ছড়ায়, বোঝা যায় সে একেবারে একা। বিছানায় শুয়ে থাকা মায়ের কাছে গিয়ে বারবার ডেকে সাড়া পায়না, তবুও জাগাতে চায়, হাত ধরে টান মারে, গালে মারতে থাকে ছোট ছোট হাত দিয়ে। রান্নাঘরে গ্যাস বার্নার কিংবা মাইক্রোওয়েভ আভেনের এতটা কাছে পৌঁছে যায়, গ্যাসের আগুনে রুটি পুড়ে যায়, বিদ্যুতের তারে ঝিলিক দিয়ে ওঠে। সেই সময় কাঁপুনি দিয়ে ওঠে দর্শকদেরও। এবার পিহু ব্যালকনিতে যায়, পুতুলটা হাত থেকে পড়ে যায় বহুতল আবাসনের একেবারে নীচে। ব্যালকনির রেলিং বেয়ে উঠতে শুরু করে সে।