সাদাস্রাব হওয়ার কারণসমূহ :
জন্মের পর মেয়ে শিশুদের ১ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কোন কারণ ছাড়াই যোনিপথে সাদাস্রাব নির্গত হতে পারে। ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই আবার তা ঠিক হয়ে যেতে পারে। বয়ঃসন্ধিকালে মাসিক শুরু হবার আগে ও পরে কয়েকদিন কোন সমস্যা ছাড়াই সামান্য সাদা স্রাব স্বাভাবিকভাবেই নির্গত হতে পারে। জন্মবিরতিকরণ পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারনে সাদাস্রাব হতে পারে। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন কারণে সাদাস্রাব হতে পারে। গরম আবহাওয়ায় অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে কাজ করলে সাদাস্রাব হতে পারে। উল্লেখিত কারণ ছাড়াও, অপুষ্টিতে ভুগলে, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ-উৎকন্ঠা থাকলে সাদাস্রাব হতে পারে। এসব কারণে সাদাস্রাব হলে ভয়ের কিছু নেই। আপনি ইচ্ছে করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
সাদাস্রাবের প্রতিকার :
বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়েই সাদাস্রাব হয়ে থাকে। আমাদের দেশে সাধারণত চারটি সংক্রামণের কারণে যৌন রোগ হতে হয়ে থাকে। যেমন : ক্যান্ডিডিয়েসিস, ট্রাইকোমোনিয়েসিস, গনোরিয়া এবং ক্লামাইডিয়াল ইনফেকশন।
এদের মধ্যে প্রথম রোগটি এমনিই হয়ে থাকে। বাকি ৩টি রোগ দৈহিক মিলনের মাধ্যমে একজনের দেহ হতে অন্যজনের দেহে সংক্রমিত হয়ে থাকে। এই রোগগুলোর চিকিৎসা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করা উচিত, তা না হলে বন্ধ্যাত্বসহ নানা ধরণের বড় রোগের সৃষ্টি হতে পারে। জরায়ুর সারভিক্স এর ক্ষত শরীরের আভ্যন্তরীণ কিছু রোগ ও সমস্যা যেমন- টিউমার, সিষ্ট ইত্যাদি এবং অন্যান্য কিছু অবায়ুজীবি জীবাণু দ্বারাও সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়া হতে পারে। এদের দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন।
জীবাণু সংক্রমণের কারণে সাদাস্রাব হলে তার প্রাথমিক প্রধান লক্ষণ হচ্ছে - অতিরিক্ত পরিমাণে সাদাস্রাব হওয়া, দুর্গন্ধযুক্ত হওয়া এবং যৌনাঙ্গে চুলকানি বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেওয়া। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা থাকলে তা থেকে পরবর্তীতে তলপেট ও যোনিতে ব্যথা হতে পারে। জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট সাদাস্রাব সম্পূর্ণ নিরাময় যোগ্য।
মনে রাখবেন, মানসিক দুশ্চিন্তা, ব্যক্তিগত অপরিচ্ছন্নতা ও অপুষ্টি এ সমস্যা আরো বাড়িয়ে তোলে। এ ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে, নিজের শরীর স্বাস্থ্য সবসময় সুস্থ রাখতে হবে, সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, খাওয়া-দাওয়া ঠিকমত করতে হবে, দুশ্চিন্তা ত্যাগ করতে হবে এবং সমস্যা জটিল হবার পূর্বেই চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সংগৃহিত