হযবরল এর আলঙ্কারিক অর্থ বিশৃঙ্খলা। কিন্তু কি করে এর অর্থটা বিশৃঙ্খলা হলো তা নিচের কবিতা পঙক্তিতে বেশ সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
”য র ল ব শ ষ তারপরে স,হ বর্ণমালায় রয়;
হ-কে আগে এনে য ব র ল দিলে হযবরল যে হয়।
তাতে সব এলোমেলো হয়ে যায়, বলে সুকুমার রায়;
ক্রিয়াভিত্তিক নিয়মেতে মোরা সাজাইব পুনরায়।”
বস্তুত হ য ব র ল হল সুকুমার রায় রচিত একটি রম্য রচনা। হ য ব র ল বাংলা সাহিত্যের ননসেন্স ধারার একটি শ্রেষ্ঠরচনা।
গল্পটা শুরু হয় একটা বাচ্চা ছেলের ঘুম থেকে উঠার মধ্যে দিয়ে। গরমকালে ঘাম মোছবার জন্য রুমালটা তুলতে গিয়ে সে দেখে তার রুমাল একটা বেড়াল হয়ে গেছে। বেড়ালটার সাথে সে গল্প করতে শুরু করে এবং বুঝতে পারে বেড়ালটা উল্টোপাল্টা কথা বলছে। পরে ছেলেটার দেখা হয় কাকেশ্বর নামক দাঁড়কাক সাথে যে বিদঘুটে হিসাব করে। এরপরে একে একে উদো আর বুদো, হিজিবিজবিজ, ব্যাকরণ শিং, নেড়া, সজারু, প্যাঁচা ইত্যাদি আরও অনেক চরিত্রের অনুপ্রবেশ ঘটে আর বাড়তে থাকে বিশৃঙ্খলা। নামের অক্ষর বিন্যাসে যেমন বিশৃঙ্খলা বিদ্যমান তদ্রূপ বইয়ের সাহিত্য বর্ণনায় বিশৃঙ্খলায়ও বিশৃঙ্খলা বিদ্যমান। এখান থেকেই এটি একটি বাগধারায় রূপান্তরিত হয়েছে।
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9_%E0%A6%AF_%E0%A6%AC_%E0%A6%B0_%E0%A6%B2