ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে কম্পিউটারের ইউনিক একটি ঠিকানা বা অ্যাড্রেস থাকতে হবে, যাকে আইপি অ্যাড্রেস বলে। এই আইপি অ্যাড্রেস এর মাধ্যমেই ঐ কম্পিউটারকে পৃথিবীর অন্য সকল কম্পিউটার থেকে আলাদা করা যাবে। আইপি অ্যাড্রেস দুই ধরনের। ১. প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস বা লোকাল আইপি অ্যাড্রেস ২. পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস বা রিয়েল আইপি অ্যাড্রেস পাবলিক আইপি অ্যাড্রেসগুলোর মাধ্যমেই ইন্টারনেটে যুক্ত হতে হয়। আর এই পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস এর সংখ্যা সীমিত এবং এটা দেশ অনুসারে ভাগ করা এবং এই পাবলিক আইপি পেতে হলে টাকা খরচ করতে হবে। এই সমস্যা থেকে বাচার জন্য মূল কথা হচ্ছে টাকা বাচানোর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিটি কম্পিউটারের জন্য একটি করে আইপি অ্যাড্রেস না কিনে একটিমাত্র অ্যাড্রেস কিনে। এরপর এই আইপি অ্যাড্রেসটা একটি ডিভাইসে (কম্পিউটার, রাউটার) সেট করে দেয়া হয়। আর বাকী সব কম্পিউটারগুলোতে একটি করে প্রাইভেট বা লোকাল আইপি বসিয়ে দেয়া হয় [একটা বিষয় জেনে রাখা দরকার যে লোকাল আইপি অ্যাড্রেস হিসেবে ব্যবহার করা হয় ১. 10.0.0.0 থেকে 10.255.255.255 পর্যন্ত ২. 172.16.0.0 থেকে 172.31.255.255 পর্যন্ত ৩. 192.168.0.0 থেকে 192.168.255.255 পর্যন্ত]। এখন পাবলিক আইপি ছাড়া অন্য সব পিসিগুলো সরাসরি ইন্টারনেটে কানেক্ট হতে চাইলে তা পারবে না, যেহেতু তার পাবলিক আইপি নেই। কিন্তু তারা ঐ পাবলিক আইপিওয়ালা কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত হতে পারবে। পাবলিক আইপিওয়ালা কম্পিউটারটি এক্ষেত্রে মিডিয়াম হিসেবে কাজ করবে। আর ঐ পাবলিক আইপির কম্পিউটারকেই প্রক্সি সার্ভার বলা হয়। তথ্যসূত্র : https://forum.projanmo.com/topic28975.html