জামায়াতে নামাজ আদায় করার সময় মুকতাদি কে কি কেরাত পাঠ করতে হবে নাকি চুপ থাকবে? (রেফারেন্স সহ দিলে ভালো হয়)
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
jahid4

Call

ফরজ নামাজ জামাতের সাথে পড়লে মুক্তাদিকে কোন কেরাত পড়তে হবে না যদি জামাতে নামাজ না পড়তে পারলে তাহলে একলা পড়ার সময় কেরাত পাঠ করতে হবে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কুরআন মাজীদ ও হাদীস শরীফ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, ইমামের পেছনে মুকতাদী সূরা ফাতেহা বা অন্য কোন সূরা পড়বে না। চাই ইমাম কেরাত চুপে পড়ুক অথবা আওয়াজ দিয়ে পড়ুক, এর প্রমাণগুলো নিম্নে প্রদত্ত হলো : প্রথমে জাহরী অর্থাৎ ইমাম যখন আওয়াজ দিয়ে কেরাত পড়ে সেই নামাযে ফাতেহা না পড়ার দলিল গুলো দেখে নিন: ১.আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন " ﻭﺇﺫﺍ ﻗﺮﺉ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻓﺎﺳﺘﻤﻌﻮﺍ ﻟﻪ ﻭﺃﻧﺼﺘﻮﺍ ﻟﻌﻠﻜﻢ ﺗﺮﺣﻤﻮﻥ " অর্থ: আর যখন কুরআন পড়া হয় তখন তা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর এবং চুপ থাক। যাতে তোমাদের প্রতি করুণা করা হয়। এ আয়াত সম্পর্কে হযরত ইবনে আব্বাস রা. এর বক্তব্য তাফসীরে তাবারী (৯খ. ১০৩পৃ.) ও তাফসীরে ইবনে কাসীরে (২খ. ২৮পৃ.) এভাবে উদ্ধৃত হয়েছে- ﻭﺇﺫﺍ ﻗﺮﺉ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻓﺎﺳﺘﻤﻌﻮﺍ ﻟﻪ ﻭﺃﻧﺼﺘﻮﺍ ﻟﻌﻠﻜﻢ ﺗﺮﺣﻤﻮﻥ " ﻳﻌﻨﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺍﻟﻤﻔﺮﻭﺿﺔ অর্থ : যখন কুরআন পড়া হয় তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাক, যাতে তোমাদের প্রতি করুণা করা হয় অর্থাৎ ফরজ নামাযে। হযরত ইবনে মাসঊদ রা. এর মতও তাই। তাফসীরে তাবারীতে বলা হয়েছে: ﺻﻠﻰ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ، ﻓﺴﻤﻊ ﺃﻧﺎﺳﺎ ﻳﻘﺮﺀﻭﻥ ﻣﻊ ﺍﻻﻣﺎﻡ، ﻓﻠﻤﺎ ﺍﻧﺼﺮﻑ، ﻗﺎﻝ : ﺃﻣﺎ ﺁﻥ ﻟﻜﻢ ﺃﻥ ﺗﻔﻘﻬﻮﺍ ؟ ﺃﻣﺎ ﺁﻥ ﻟﻜﻢ ﺃﻥ ﺗﻌﻘﻠﻮﺍ ؟ ﻭﺇﺫﺍ ﻗﺮﺉ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻓﺎﺳﺘﻤﻌﻮﺍ ﻟﻪ ﻭﺃﻧﺼﺘﻮﺍ ﻛﻤﺎ ﺃﻣﺮﻛﻢ ﺍﻟﻠﻪ অর্থাৎ হযরত ইবনে মাসঊদ রা. নামায পড়ছিলেন, তখন কতিপয় লোককে ইমামের সঙ্গে কেরাত পড়তে শুনলেন। নামায শেষে তিনি বললেন : তোমাদের কি অনুধাবন করার সময় আসেনি, তোমাদের কি বোঝার সময় হয় নি? যখন কুরআন পড়া হয় তখন তা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং নীরব থাকবে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করেছেন। (৯ খ. ১০৩ পৃ.) যায়দ ইবনে আসলাম ও আবুল আলিয়া র. বলেছেন: ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳﻘﺮﺃﻭﻥ ﺧﻠﻒ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻓﻨﺰﻟﺖ } : ﻭﺇﺫﺍ ﻗﺮﺉ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻓﺎﺳﺘﻤﻌﻮﺍ ﻟﻪ ﻭﺃﻧﺼﺘﻮﺍ ﻟﻌﻠﻜﻢ ﺗﺮﺣﻤﻮﻥ } অর্থাৎ তাঁরা (সাহাবীগণ) ইমামের পেছনে কেরাত পড়তেন, তখন অবতীর্ণ হয় { ﻭﺇﺫﺍ ﻗﺮﺉ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻓﺎﺳﺘﻤﻌﻮﺍ ﻟﻪ ﻭﺃﻧﺼﺘﻮﺍ ﻟﻌﻠﻜﻢ ﺗﺮﺣﻤﻮﻥ } ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল র. বলেছেন: ﺃﺟﻤﻊ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻋﻠﻰ ﺃﻥ ﻫﺬﻩ ﺍﻵﻳﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ অর্থাৎ এবিষয়ে সকলেই একমত যে, উক্ত আয়াত নামায সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। (মাসাইলে আহমদ লি আবী দাউদ, পৃ. ৪৮) ইমাম ইবনে আব্দুল বার র. লিখেছেন, ﻓﻲ ﻗﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ } : ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻗُﺮِﺉَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥُ ﻓَﺎﺳْﺘَﻤِﻌُﻮﺍ ﻟَﻪُ ﻭَﺃَﻧْﺼِﺘُﻮﺍ { . ﻣﻊ ﺇﺟﻤﺎﻉ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﺃﻥ ﻣﺮﺍﺩ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺫﻟﻚ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺕ ﺍﻟﻤﻜﺘﻮﺑﺔ ﺃﻭﺿﺢ ﺍﻟﺪﻻﺋﻞ ﻋﻠﻰ ﺃﻥ ﺍﻟﻤﺄﻣﻮﻡ ﺇﺫﺍ ﺟﻬﺮ ﺇﻣﺎﻣﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺃﻧﻪ ﻻ ﻳﻘﺮﺃ ﻣﻌﻪ ﺑﺸﻲﺀ ﻭﺃﻧﻪ ﻳﺴﺘﻤﻊ ﻟﻪ ﻭﻳﻨﺼﺖ . ﺍﻟﺘﻤﻬﻴﺪ ١١ / ٣٠ - ٣١ অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার এ বাণী { ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻗُﺮِﺉَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥُ ﻓَﺎﺳْﺘَﻤِﻌُﻮﺍ ﻟَﻪُ ﻭَﺃَﻧْﺼِﺘُﻮﺍ } দ্বারা সকল আলেমের ঐকমত্যে আল্লাহর উদ্দেশ্য হলো ফরজ নামায, এতে একথার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, ইমাম যখন নামাযে জোরে কেরাত পড়বেন তখন মুকতাদীরা কিছুই পড়বে না, বরং কান পেতে শুনবে ও চুপ থাকবে। ইমাম ইবনে তায়মিয়া র. বলেছেন, ﻓَﺈِﻥَّ ﻟِﻠْﻌُﻠَﻤَﺎﺀِ ﻓِﻴﻪِ ﺛَﻠَﺎﺛَﺔَ ﺃَﻗْﻮَﺍﻝٍ . ﻗِﻴﻞَ : ﻟَﻴْﺲَ ﻟَﻪُ ﺃَﻥْ ﻳَﻘْﺮَﺃَ ﺣَﺎﻝَ ﺟَﻬْﺮِ ﺍﻟْﺈِﻣَﺎﻡِ ﺇﺫَﺍ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺴْﻤَﻊُ ﻟَﺎ ﺑِﺎﻟْﻔَﺎﺗِﺤَﺔِ ﻭَﻟَﺎ ﻏَﻴْﺮِﻫَﺎ ﻭَﻫَﺬَﺍ ﻗَﻮْﻝُ ﺍﻟْﺠُﻤْﻬُﻮﺭِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺴَّﻠَﻒِ ﻭَﺍﻟْﺨَﻠَﻒِ ﻭَﻫَﺬَﺍ ﻣَﺬْﻫَﺐُ ﻣَﺎﻟِﻚٍ ﻭَﺃَﺣْﻤَﺪ ﻭَﺃَﺑِﻲ ﺣَﻨِﻴﻔَﺔَ ﻭَﻏَﻴْﺮِﻫِﻢْ ﻭَﺃَﺣَﺪُ ﻗَﻮْﻟَﻲْ ﺍﻟﺸَّﺎﻓِﻌِﻲِّ . ﻭَﻗِﻴﻞَ : ﺑَﻞْ ﻳَﺠُﻮﺯُ ﺍﻟْﺄَﻣْﺮَﺍﻥِ ﻭَﺍﻟْﻘِﺮَﺍﺀَﺓُ ﺃَﻓْﻀَﻞُ . ﻭَﻳُﺮْﻭَﻯ ﻫَﺬَﺍ ﻋَﻦْ ﺍﻷﻭﺯﺍﻋﻲ ﻭَﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟﺸَّﺎﻡِ ﻭَﺍﻟﻠَّﻴْﺚِ ﺑْﻦِ ﺳَﻌْﺪٍ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﺧْﺘِﻴَﺎﺭُ ﻃَﺎﺋِﻔَﺔٍ ﻣِﻦْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏِ ﺃَﺣْﻤَﺪ ﻭَﻏَﻴْﺮِﻫِﻢْ . ﻭَﻗِﻴﻞَ : ﺑَﻞْ ﺍﻟْﻘِﺮَﺍﺀَﺓُ ﻭَﺍﺟِﺒَﺔٌ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟْﻘَﻮْﻝُ ﺍﻟْﺂﺧَﺮُ ﻟِﻠﺸَّﺎﻓِﻌِﻲِّ . ﻭَﻗَﻮْﻝُ ﺍﻟْﺠُﻤْﻬُﻮﺭِ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺼَّﺤِﻴﺢُ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻪُ ﻗَﺎﻝَ } : ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻗُﺮِﺉَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥُ ﻓَﺎﺳْﺘَﻤِﻌُﻮﺍ ﻟَﻪُ ﻭَﺃَﻧْﺼِﺘُﻮﺍ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﺮْﺣَﻤُﻮﻥَ { ﻗَﺎﻝَ ﺃَﺣْﻤَﺪ : ﺃَﺟْﻤَﻊَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﻧَّﻬَﺎ ﻧَﺰَﻟَﺖْ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ অর্থাৎ এক্ষেত্রে আলেমগণের তিনটি মত রয়েছে। এক, কেউ কেউ বলেছেন, ইমাম যখন জোরে কেরাত পড়বেন আর মুকতাদী তা শুনবে তখন সে কোন কেরাতই পড়তে পারবে না। সূরা ফাতেহাও না, অন্য কোন সূরাও না। পূর্বসুরী ও পরবর্তী যুগের অধিকাংশ আলেমের মত এটাই। ইমাম মালেক র., ইমাম আহমাদ র. ও ইমাম আবূ হানীফা র. প্রমুখের মাযহাবও তাই। আর ইমাম শাফেয়ী র. এর দুটি মতের একটিও অনুরূপ। অতঃপর অন্য দুটি মত উল্লেখ করার পর ইবনে তায়মিয়া র. আরও বলেন, অধিকাংশ আলেমের মতটিই সঠিক। কারণ আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, { ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻗُﺮِﺉَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥُ ﻓَﺎﺳْﺘَﻤِﻌُﻮﺍ ﻟَﻪُ ﻭَﺃَﻧْﺼِﺘُﻮﺍ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﺮْﺣَﻤُﻮﻥَ } অর্থাৎ যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন তোমরা মনোযোগ দিয়ে শ্রবন কর এবং নীরব থাক। তাহলে তোমাদের প্রতিও করুণা করা হবে। আর ইমাম আহমাদ বলেছেন, আয়াতটি সকলের মতে নামায সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। ২. হযরত আবূ মূসা আশআরী রা. বলেছেন, ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﺇﺫﺍ ﻗﺮﺃ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻓﺄﻧﺼﺘﻮﺍ، ﻓﺈﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻘﻌﺪﺓ ﻓﻠﻴﻜﻦ ﺃﻭّﻝ ﺫﻛﺮ ﺃﺣﺪﻛﻢ ﺍﻟﺘﺸﻬﺪ . ﺃﺧﺮﺟﻪ ﻣﺴﻠﻢ (৪০৪) ﻓﻲ ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺘﺸﻬﺪ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﻭﺃﺣﻤﺪ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﻨﺪ ৪/৪১৫ (১৯৯৬১)، ﻭﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ (৯৭৩) ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ (৮৪৭) ﻭﺍﻟﻠﻔﻆ ﻟﻪ . ﻛﻠﻬﻢ ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻖ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ ﺍﻟﺘﻴﻤﻲ ﻋﻦ ﻗﺘﺎﺩﻩ ﻋﻦ ﻳﻮﻧﺲ ﺑﻦ ﺟﺒﻴﺮ ‏( ﺃﺑﻲ ﻏَﻠَّﺎﺏ ‏) ﻋﻦ ﺣَﻄّﺎﻥ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﻗَّﺎﺷﻲ ﻋﻨﻪ . ﻭﻟﻴﺲ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ ﻣﺘﻔﺮﺩﺍ ﻓﻴﻪ ﺑﻞ ﺗﺎﺑﻌﻪ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﻋﺎﻣﺮ ﻭﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻋﺮﻭﺑﺔ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﺪﺍﺭﻗﻄﻨﻲ ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻲ، ﻭﺃﺑﻮ ﻋﺒﻴﺪﺓ ﻣﺠّﺎﻋﺔ ﺑﻦ ﺍﻟﺰﺑﻴﺮ ﺍﻟﻌﺘﺎﺑﻲ ﺍﻷﺯﺩﻱ ﺃﺣﺪ ﺍﻟﺜﻘﺎﺕ ﻋﻨﺪ ﺃﺑﻲ ﻋﻮﺍﻧﺔ . ﻭﻗﺎﻝ ﻣﺴﻠﻢ - ﻟﻤﺎ ﺳﺄﻟﻪ ﺃﺑﻮ ﺑﻜﺮ ﺍﺑﻦ ﺃﺧﺖ ﺃﺑﻲ ﺍﻟﻨﻀﺮ ﻋﻦ ﺗﻔﺮﺩ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ :- ﺗﺮﻳﺪ ﺃﺣﻔﻆ ﻣﻦ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ؟ অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন ইমাম কুরআন পড়বে, তোমরা তখন চুপ করে থাকবে। আর বৈঠকের সময় তাশাহহুদ-ই প্রথম পড়তে হবে। মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ৪০৪; আবূ দাউদ, হাদীস নং ৯৭৩; ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৮৪৭; মুসনাদে আহমাদ, ৪খ, ৪১৫ পৃ, হাদীস নং ১৯৯৬১। ইমাম আহমদ, (দ্র. তামহীদ ১১/৩৪), ইমাম মুসলিম, ইবনুল মুনযির (দ্র. আল আওসাত, ৩/১০৫), ইমাম ইবনে জারীর তাবারী র. (দ্র. তাফসীরে তাবারী, ৯/১০৩) ও ইবনে হাযম জাহেরী (দ্র. আল মুহাল্লা, ২/২৭০) প্রমুখ এ হাদীসকে সহীহ বলেছেন। হাফেজ ইবনে তায়মিয়াও তার মাজমুউল ফাতাওয়ায় ইমাম মুসলিমের সহীহ বলাকে সমর্থন করেছেন। হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী র. ফাতহুল বারী গ্রন্থে বলেছেন, এটি সহীহ হাদীস। (দ্র. ২/২৪২) কেউ কেউ মনে করেন, কাতাদার শিষ্যদের মধ্যে সুলায়মান তায়মী একাই হাদীসটি এভাবে বর্ণনা করেছেন। কাতাদার অন্যান্য শিষ্যদের বর্ণনায় একথাগুলো নেই। এর জবাব দুভাবে দেওয়া যায়। এক. ইমাম মুসলিম যেভাবে জবাব দিয়েছেন। তার এক ছাত্র হাদীসটি বর্ণনায় সুলায়মানের নিঃসঙ্গতার প্রশ্ন তুললে তিনি বলেন, ‘তুমি কি সুলায়মানের চেয়ে বড় হাফেজে হাদীস চাও?’ অর্থাৎ সুলায়মান একজন শীর্ষ হাফেজে হাদীস। তার নিঃসঙ্গ বর্ণনা গ্রহণযোগ্য না হলে আর কার বর্ণনা গ্রহণযোগ্যতা পাবে? তার চেয়ে বড় হাফেজে হাদীস পাওয়া তো দুস্কর। দুই. সুলায়মান নিঃসঙ্গ নন। দারাকুতনী ও বায়হাকীর বর্ণনায় সাঈদ ইবনে আবূ আরূবা ও উমর ইবনে আমের: দুজনই কাতাদা থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (টীকা-১) এমনিভাবে আবূ আওয়ানার বর্ণনায় আবূ উবায়দা মুজ্জাআ ইবনুয যুবায়র (দ্র. ১৮/২০) কাতাদা থেকে সুলায়মানের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। সুতরাং তিনজন সঙ্গী থাকতে সুলায়মানকে নিঃসঙ্গ ভাবা ঠিক নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ