শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

অনেকে বাসার কাজের লোকদের সাথে প্রাচীন কালের দাস- দাসী প্রথাকে মিলিয়ে ফিলে। বাসার কাজের লোকরা হচ্ছে আমাদের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী কিন্তু আপনি আপনার বাসার কাজের লোকদের জীবন ও সম্মানের মালিক নন। বাসার কাজের লোকটা চাইলে যে কোন সময় চাকরি ছেড়ে দিতে পারে কিন্তু দাস দাসীরা হল আপনার সারা জীবনের কর্মচারী। আপনি দাস দাসীদের জীবন ও সম্পদের মালিক। যাই হোক অনেক দিন ধরেই দেখছি যে নাস্তিক ও মুক্তমনারা ইনিয়ে বিনিয়ে সব সময় বলতে চায় যে ইসলাম নাকি সবসময় দাস-দাসী প্রথা কে সমর্থন করে। ভবিষ্যতে খিলাফত রাষ্ট্র আসলে নাকি আবার দাস-দাসী প্রথা পৃথিবীতে শুরু হবে। আচ্ছা এই কথায় তো আপনারা সবাই একমত যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্ম নেয়ার পূর্বে থেকেই পৃথিবীতে দাস-দাসী প্রথা চলে আসছিল। বিশ্বাস না হলে আপনি হলিউঠের Spartacus, Gladiator সিনেমা গুলি দেখতে পারেন। জাহেলিয়াত যুগে কয়েকভাবে একজন স্বাধীন মানুষকে দাস বানান হত। যেমন যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত জাতিকে গনহারে দাস-দাসীতে রূপান্তরিত করা হত। অপহরন করে কাউকে দাস-দাসী বানান হত। আবার দাস-দাসীর ছেলেমেয়েরা দাস-দাসী হিসাবেই জীবন কাটাতে হত। যেমন ইরানের রাজ পরিবারের সদস্য সালমান ফারসী রাযিআল্লাহু আনহু অপহরনের মাধ্যমে দাস হিসাবে মক্কায় এসেছিলেন। বিলাল রাযিআল্লাহু আনহুর পিতা মাতা দাস ছিল। তাই উনি জন্ম থেকেই দাস হিসাবে বেড়ে উঠেছিলেন। ইসলামের প্রথম যুদ্ধ হয়েছিল বদর যুদ্ধ। তো বদর যুদ্ধে যে সকল কাফের মুসলমানদের হাতে বন্দী হয়েছিল তাদের কি মুসলমান রা দাস হিসাবে বিক্রি করে দিয়েছিল ? না মুসলমানদের ঐসকল কাফেরদের পরিবারের কাছ থেকে নাম মাত্র মূল্যে মুক্তিপণ আদায় করে উনাদের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে কতিপয় কাফের দের পরিবার আবার মুক্তিপণ দিতেও পারছিল না। কিন্তু ঐ সকল কাফের রা শিক্ষিত ছিল। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐসকল কাফেরদের মুক্তিপন হিসাবে মদীনার উম্মী সাহাবীদেরকে পড়াশোনা শিখানোর কাজ দিয়ে পরবর্তীতে বদর যুদ্ধে বন্দী অবশিষ্ট সকল কাফেরদের কে মুক্ত করে দেন। বদর যুদ্ধে বন্দী কোন কাফেরকেই কিন্তু দাস হিসাবে আরবের বাজারে বিক্রি করা হয় নি। কিন্তু মুসলমানরা চাইলেই কিন্তু পারত জাহেলিয়াতের প্রথা অনুসারে বদর যুদ্ধে বন্দী সকল কাফেরদের কে দাস হিসাবে বিক্রি করে দিতে। এরপর মক্কা বিজয়, হুনাইনের যুদ্ধ এরকম কোন যুদ্ধেই কিন্তু কোন যুদ্ধবন্দী কাফেরদের কে দাস হিসাবে বিক্রি করা হয় নি। শুধুমাত্র যুদ্ধকালীন চুক্তিভঙ্গের অপরাধে বনু কোরাইজার সকল পুরুষ ইহুদীদের কে হত্যা করা হয়েছিল আর নারী ইহুদীদের কে দাসী হিসাবে সিরিয়ায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ