শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

চশমা বা লেন্সের ব্যবহার আজ একটা সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কিংবা যে ক্যামেরা দিয়ে আমরা হাজারো স্মৃতি সংরক্ষণ করি। লেন্স আবিষ্কার না হলে প্রিন্টিং প্রেস আবিষ্কারও বিলম্বিত হতো। ইতিহাসের মতে প্রথম যে লেন্স আবিষ্কৃত হয়, তা শুধুমাত্র মানুষের চোখের জন্যই ব্যবহার করা যেত। ১৩ শতাব্দীর দিকে ইতালিতেই প্রথম মানুষের চোখে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত লেন্সের ব্যবহার শুরু হয়। তবে এখানেও ধারণা করা হয় যে, ইতালিতে ব্যবহার করা এই উন্নত সংস্করণের চশমার পূর্বে চীনারাই প্রথম চশমার ব্যবহার শুরু করে। কিন্তু মানের দিক থেকে ইতালিয়ানদের সংস্করণের তুলনায় চীনাদের সংস্করণটি নিম্নমানের হওয়ায় ইতালিই ইতিহাসে স্থান করে নেয়। পরবর্তীতে দূরের বস্তুকে কাছে দেখার জন্য লেন্স আবিষ্কৃত হতে আরও ১০০ বছরেরও বেশি সময় লেগে যায়। এই আবিষ্কারে অবদান রাখেন ডাচ অপটিশিয়ান অর্থঃ াত্ চশমা প্রস্তুতকারী হ্যানস লিপারশে। তিনি এটার নাম দেন ‘লুকার’ এবং ১৬০৮ সালে ডাচ সরকারকে তার এই লুকারের প্রমাণ দেখানোর কিছুদিনের মাঝেই বেশ জনপ্রিয়তা পায়। তবে প্রথম প্রথম এই লুকার শুধুমাত্র ডাচ মিলিটারিতেই ব্যবহূত হতো। এর এক বছর পরই অর্থঃ াত্ ১৬০৯ সালে আকাশ নিয়ে গবেষণা করার জন্য গ্যালিলিও লুকারের একটি উন্নত সংস্করণ আবিষ্কার করেন। গ্যালিলিও এর নাম দেন টেলিস্কোপ যা দূরের কোনো বস্তুকে ২০ গুণ বড় বা কাছে দেখাতে সক্ষম। ১৭ শতকের দিকে হল্যান্ডে লেন্স নিয়ে গবেষণায় অনেক এগিয়ে যায়। তবে ধারণা করা হয়, এরও আগে ১৬ শতকের শেষের দিকে মাইক্রোস্কোপ আবিষ্কৃত হয়। ১৬ শতকেই ডাচ প্রাণিবিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েনহোক তার নিজের তৈরি মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া এবং প্রোটোজোয়ার অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে এই মাইক্রোস্কাপের মাধ্যম্যেই বিভিন্ন রোগের ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ