হোমিওপ্যাথি আজকাল একটা দ্রুত বেড়ে ওঠা পদ্ধতি এবং প্রায় সারা পৃথিবীতেই চর্চা হচ্ছে। এটার শক্তি এর কর্মক্ষমতার থেকে প্রমাণিত হয় যখন এটা অসুস্থ রোগীর প্রতি সম্যকরুপে মনোযোগ দেয়, অন্তর্বর্তী মানসিক, আবেগজনিত, আধ্যাত্মিক এবং শারীরিক স্তরে উন্নয়নের মাধ্যমে। হোমিওপ্যাথি শব্দটি এসেছে দুটো গ্রীক শব্দ থেকে, ‘হোমোয়িস’, যার মানে ‘একইরকম’ এবং প্যাথোস, যার মানে ‘কষ্ট’। সহজ কথায় হোমিওপ্যাথি মানে খুব ছোট মাত্রায় প্রতিষেধক, যেটা সুস্থ লোকে নিলে তার মধ্যে রোগের অভিলক্ষণ দেখা যাবে, তা দিয়ে রোগের চিকিত্সা করা। এটার ভিত্তি স্বাভাবিকভাবে সেরে ওঠার পদ্ধতি – “সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরিয়ান্টুর” মানে “একই প্রকারের দ্রব্য দিয়ে একই প্রকারের চিকিত্সা”। ১৯ শতকের প্রথম দিকে ডঃ স্যামুয়েল হানিম্যান (১৭৫৫-১৮৪৩) এটাকে একটা বিজ্ঞান সম্মত ভিত্তি দেন। এটা দুঃখভোগী মানব জীবন কে দুই শতক ধরে সেবা করে আসছে এবং সময়ের উত্থান-পতনের সাথে যুঝে প্রমাণিত চিকিত্সা পদ্ধতির স্বীকৃতি পেয়েছে, হানিম্যানের দ্বারা উপস্থাপন করা বিজ্ঞানসম্মত সূত্র স্বাভাবিক এবং প্রমাণিতবলে আজও সফলতার সাথে চর্চা হচ্ছে।