শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
master

Call

নারী দেহের যৌন বা সেক্স অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলোর সংখ্যা অনেক। এগুলো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কমবেশি যৌন অনুভূতি ও যৌনময়তা সৃষ্টি করে থাকে সুচারুভাবে। নারীর এই সব যৌন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বা যৌনাঞ্চলগুলো হল- *. নারীর যৌন কেশ *. নারীর সুডোল আকর্ষণীয় স্তন *. মূত্রধার *. মূত্রনালী *. ফ্যালোপিয়ান টিউব বা ডিম্বকোষবাহী নালী *. গর্ভাশয় *. ডিম্বাশয় *. ফিমব্রিয়া *. জরায়ু *. জরায়ুর মুখ *. জরায়ুর নল *. ব্লাডা *. পিউবিক বোন *. সারভিক্স *. বার্থোলিন গ্রন্থি *. যোনি *. যোনি গহ্বর *. যোনি পথ *. ভগাঙ্কুর বা ক্লাইটোরিস *. ক্ষুদ্র ভগৌষ্ঠ বা লেবিয়া মেনোরা *. বৃহৎ ভৌগষ্ঠ বা লেবিয়া মেজোরা *. ভালভা *. সতীচ্ছেদ বা হাইমেন *. এনডোমেট্রিয়াম *. মন্স পিউবিক *. পায়ু বা এনাল *. কোমল আকর্ষণীয় নিতম্ব *. কোমল বাহু *. পেলব সমৃণ শিহরণ সৃষ্টিকারী উরু *. সমৃণ কমনীয় কাঁধ-স্ক ইত্যাদি। নারীর স্তন সৌন্দর্যের পিরামিড নারীর স্তন দুটির সাথে তাদের যৌন ইন্দ্রিয়ের সুন্দর সম্পর্ক আছে। যৌবন আরম্ভের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নারী ও পুরুষের স্তনের কোনোরূপ পার্থক্যদেখা যায় না। তাদের গঠন একই রকম থাকে। অর্থাৎ কি না নারী ও পুরুষের স্তনেরকোনো বিকাশ কৈশরে দেখা যায় না। কিন্তু যৌবন আগমনের সাথে সাথে যৌন হরমোনের জাদুকরী প্রভাবেজনন ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে সঙ্গে নারীর স্তনযুগল পরিপুষ্ট ও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত, সুডোল এবং কমনীয় হতে থাকে। নারীর স্তনের বিকাশ ঘটে বয়ঃপ্রাপ্তির পরে থেকে। তবে কোনো কোনো মেয়ের বুক খুব ছোট বেলা থেকেই স্ফীতহতে দেখা যায়। আবার অনেক মেয়ের ব্রেস্টের স্ফীতি খুব একটা হয় না। নারীর স্তনের আকৃতি মোটামুটি বিকশিত ও বর্ধিত হয় সাধারণত ১০-১২ বছর বয়সে। এই সময়ে স্তনবৃন্তের আকৃতির পরিবর্তন হতে দেখা যায়। স্তনবৃন্তকে ইংরেজিতে এরিওলা বলে। এটি খুবই সপর্শকাতর। স্তনের স্বাভাবিক বিকাশ প্রাকৃতিকভাবেই হয়ে থাকে। নারীর স্তন বৃদ্ধির স্বাভাবিক বয়সসীমা ১১-২০ বছর বয়স পর্যন্ত। এই সময়ে স্তনের গঠন পরিপূর্ণতা লাভ করে। আকার অনুযায়ী স্তনকে বিভিন্নভাগে ভাগ করা যায় যেমন- *. বৃত্তাকার বা গোলাকার *. উন্নত-সুঠাম সুডোল *. মোচাকৃতি *. ঈষৎ অবনত এবং *. লম্বিত স্তনের গঠন তলের বা নিচের অংশে থাকে প্যাকটোলরিস মেজর পেশি। তার উপরের দিকে থাকে ফাইব্রাস আবরণ। তার পরে থাকে কতগুলো ঢিলা এরিওলা পেশি এবং ফ্যাটি পেশি। তার সঙ্গে থাকে স্থিতিস্থাপক বা ইলাস্টিক কোষ। এর মধ্যে অনেকগুলো ম্যামারি গ্ল্যান্ড থাকে যা দুধ নিঃসরণ করে। ম্যামারি গ্ল্যান্ড থেকে আসে কতগুলো অংশ। এদেরকে বলে লবিউলস। লবিউলস থেকে দুধ ল্যাকটিফরাস নালী দিয়ে বের হয়ে আসে স্তনের বোঁটায়। স্তনে থাকে অসংখ্য ধমনি, শিরা, উপশিরা ইত্যাদি। স্তনের গঠন এবং বৃদ্ধি ও সতেজতায়সাহায্য করে থাকে কতগুলো হরমোন। এগুলো হল- *. পিটুইটারি হরমোন *. ডিম্বাশয় নিঃসৃত হরমোন *. এড্রেনাল গ্রন্থির একটি গোনার্ড হরমোন। নারীর স্তনে থাকে মেদের সঞ্চার এবং এর মধ্যকার গ্রন্থিগুলো বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে স্তন দুটি উন্নত, ভরাট এবং নরমতুলতুলে ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। মাসিক পিরিয়ডের সময় নারীর স্তন আকারে কিছুটা বড় হয়। এছাড়া গর্ভকালে ও সন্তান জন্মাবার পরে, দুগ্ধ ক্ষরণকালেও স্তন দুটি আকারে অনেক বড় হয়। সন্তান হবার পর নারীর স্তন অধিক ভারী হয়ে যায়। এটাও স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কারণেই হয়েথাকে। এটি একটি বৈজ্ঞানিক ধারণা যে বহু নারী তার স্তনের আকার নিয়ে সন্তুষ্ট নয় এবং এমনকি কেউ কেউ তো এ ব্যাপারে হতাশায় ভুগতে ভুগতে শেষে ডাক্তারের পরামর্শও গ্রহণ করে থাকেন। বিভিন্ন বয়সে যৌন স্বাস্থ্যের পরিবর্তনের সাথে সাথে নারীর স্তনের আকারে পরিবর্তন আসে। তবে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে সাধারণত সন্তান জন্মের পরেই। এছাড়াও সাধারণত ৩৫ বছর বয়সের পরেনারীর স্তন এমনিতেই একটু বড় হয়ে যায়। পাশ্চাত্য অনেক টিনেজ মেয়ের বুক উন্নত ও বড় আকারের হয়ে থাকে। এর কারণ হল জেনেটিকবা বংশগত। তবে আবহাওয়াগত একটি কারণ এক্ষেত্রে রয়েছে। বড় স্তন অনেক নারীর জন্য আকাঙ্ক্ষিত। আবার অনেক নারী তা খুব পছন্দও করে না। অনেক নারীর মতে শরীরের গঠনের সাথে মানানসই স্তনই সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং একই সাথে সবচেয়ে বেশি যৌন আবেদনময়ী বা সেক্সি। মেনোপোজের পর নারীদের স্তন ক্রমশ শুকিয়ে আসে এবং বয়স একটু বাড়লে স্তন দুটি তখন ঝুলে পড়ে। স্তনের অগ্রভাগে মাঝখানেগোলাকার ছোট, উঁচু মাংসমতপিন্ড দেখা যায় তাকে বলে স্তনের বোঁটা বা ব্রেস্ট নিপল। এটির সাথে সেক্সের দারুণ যোগাযোগ রয়েছে। যৌন উত্তেজনা বা সেক্সের সময় এই বোঁটাটি স্ফীত ও দৃঢ় শক্ত হয়ে আসে। বোঁটারচারপাশে ঘেরা কিছুটা পোড়া লালচে রং-এর প্রায় ১ইঞ্চির মত ব্যাসার্ধের যে গোলাকার ক্ষেত্রটি আছে তা হল এরিওলা। কারো কারো আবার ঘন কালচে রং এর হয়, কারো কারো হাল্কা বাদামী রং-এর আবার কোনো কোনো মেয়ের এটি নীলাভ রং-এরও হয়ে থাকে। এই অংশ জুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সেক্সুয়াল সেনসরি। স্তনের বাকি অংশ দেহের চামড়ার রং এর মতোই হয়ে থাকে। একটি কথা এখানে উল্লেখযোগ্য, নিঃসন্তান মেয়েদের এই গাঢ় এরিওলার চর্ম রং প্রায় ফিকে বর্ণের থাকে। গর্ভের প্রথম থেকেই স্তন বোঁটার চারপাশের চর্মের ঘের বাড়ে এবং রংটাও গভীর হয় আর এই গাঢ় রংটাই সারা জীবনের জন্য থেকে যায় স্থায়ী হয়ে যায়। নারীর স্তন এমন একটি অঙ্গ যাকে সপর্শ করে, চুমো দিয়ে, মৃদু দংশন করে সহজেই সেক্স উত্তেজনার স্তরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। স্তন মর্দনে অনেক নারী চমৎকার যৌন সুখ লাভ করে থাকেন। উপভোগ করেন শিহরিত অনাবিল স্পর্শকাতর তৃপ্তি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ