শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

চশমার পাওয়ার যাই থাকুক না কেন, ভিশন বা দৃষ্টিশক্তি সাধারণভাবে থাকা উচিত ৬/৬। অর্থাত্‍ ৬ মিটার দূরত্ব থেকে ৬ মিলিমিটার হরফ পড়া যাবে। কোনো কারণে একটি চোখে বা দুটি চোখেই যদি এই স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ৬/৬-এর কম হয়ে থাকে, তাহলে এই সমস্যাকে বলা হয় 'লেজি আই' বা অ্যামব্লায়োপিয়া। অর্থাত্‍ দুর্বল বা অলস চোখ। অনেক সময় দেখা যায় চোখের ভেতর কোনো সমস্যা নেই, অথচ দেখতে সমস্যা হওয়ার কারণে যতই চশমার পাওয়ার দেয়া হোক না কেন, রোগীর ভিশন বা দৃষ্টি কিছুতেই স্বাভাবাক হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে দৃষ্টিশক্তি ৬/৬-এর কম হওয়ার কারণেই দেখতে সমস্যা হচ্ছে। লেজি আই দুই ধরনের হয়। ইউনিলাটেরাল এবং বাইলাটেরাল। একচোখে দৃষ্টিশক্তি কম থাকলে তাকে বলে ইউনিলাটেরাল অ্যামব্লায়োপিয়া। দুচোখেই দৃষ্টিশক্তি কম থাকলে তাকে বলে বাইলাটেরারাল অ্যামব্লায়োপিয়া। লেজি আই বা অ্যামব্লায়োপিয়া হলে তা কখনো কোনো ওষুধ দিয়ে সারানো সম্ভব নয়। এমন ক্ষেত্রে রোগীকে সুস্থ করে তুলতে প্লিঅপটিক এবং অর্থোপেডিক চিকিত্‍সার দরকার হয়। সেই সাথে চালাতে হয় নানা ধরনের ভিশন থেরাপি। এই রোগের চিকিত্‍সা নেয়ার সময় চিকিত্‍সকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে হাসপাতালে এবং বাড়িতে ভিশন থেরাপি চালাতে হয়। লেজি আই থেকে যে ভয়ানক সমস্যাটা হতে পারে তা হলো, চোখ ট্যারা হয়ে যেতে পারে। এই ট্যারা দুভাবে হয়। এতে চোখের মণি দুটি নাকের দিকে অর্থাত্‍ ভেতরের দিকে ঢুকে যেতে পারে। আবার মণি দুটি বাইরের দিকে অর্থাত্‍ নাক থেকে দূরের দিকে সরে যেতে পারে। এসব কারণে দুটি চোখ সমান কাজ করতে পারে না। এর থেকে চোখের মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। রোগী বেশিক্ষণ টিভি দেখতে পারে না বা কম্পিউটারে কাজ করতে পারে না। দুটি চোখ একসঙ্গে কাজ না করতে পারায় চোখ বা চশমার পাওয়ার বেড়ে যায়। ঠিক সময়ে চিকিত্‍সা না নিলে এর থেকে অন্ধত্বও দেখা দিতে পারে। লেজি আই সাধারণত বাচ্চাদেরই বেশি হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ