ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম হলো লিনাক্স।
ওপেন সাের্স অপারেটিং সিস্টেম বলতে ওই সমস্ত অপারেটিং সিস্টেমকে বােঝায় যাদের সাের্স কোড উন্মুক্ত থাকে এবং যার ফলে যে কেউ চাইলে ওই অপারেটিং সিস্টেমটি নিয়ে যেকোনাে গবেষণা, এর কোনাে উন্নয়ন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন এর কাজগুলাে করতে পারেন। একটি সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে (GPL/LGPL, BSD, BSD/CDDL, APSL প্রভৃতি) এর কপিরাইটসহ অন্যান্য অধিকারগুলাে সংরক্ষিত হয়। ওপেন সাের্স অপারেটিং সিস্টেমগুলাে সাধারণত বিনামূল্যে ও নির্দিষ্ট শর্তাধীনে ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা যায়। ইন্টারনেট থেকে এগুলাে খুব সহজেই ডাউনলােড করে ব্যবহার করা যায়। ওপেন সাের্স ভিত্তিক কিছু অপারেটিং সিস্টেম আবার বাণিজ্যিকভাবে বাজারে কিনতেও পাওয়া যায়। তবে এগুলাের দাম অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের চাইতে অনেক কম হয়ে থাকে।
বিনামূল্যে কিংবা স্বল্পমূল্যের হওয়ার কারণে আজ বিশ্বজুড়ে ওপেন সাের্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমগুলাের ব্যবহার ক্রমশ বেড়ে চলেছে। অসংখ্য উদ্দ্যমী প্রােগ্রামার কিংবা কোনাে প্রােগ্রামার গ্রুপের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত এসব অপারেটিং সিস্টেমের উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় নানা সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য এগুলােতে যােগ হচ্ছে এবং ফলশ্রুতিতে এগুলাে আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা লাভ করছে। জনপ্রিয় ওপেন সাের্স অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে উবুন্ট লিনাক্স (Ubuntu Linux), লিনাক্স মিন্ট (Linux Mint), গুগল ক্রোম ওএস (Google Chrome OS), ডেবিয়ান লিনাক্স, ফেডােরা লিনাক্স, রেডহ্যাট এন্টারপ্রাইজ লিনাক্স, ফ্রিবিডিএস, ওপেনবিডিএস, ওপেনসােলারিস, মিনিক্স প্রভৃতি অন্যতম।
কম্পিউটারের পাশাপাশি স্মার্টফোনগুলাের বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেমই ওপেন সাের্সভিত্তিক। এগুলাের মধ্যে অ্যাকসেস লিনাক্স প্লাটফর্ম, অ্যানড্রয়েড, বাডা, ওপেনমােকো লিনাক্স, ওফোন, মিগো, মােবিলিনাক্স, লিমাে প্লাটফর্ম, ওয়েবওএস প্রভৃতি অন্যতম।