Jobedali

Call

ইসলামে একজন পুরুষের পক্ষে চারটি বিবাহ করা জায়েজ আছে। অনেকে এখন বিষয়টি অস্বীকার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ইসলামে একজন পুরুষের পক্ষে চারটি বিবাহ করা শরিয়াহ সম্মত ব্যাপার। আর এ বিষয়টি কুরআন-হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। 

عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ رَأَى رَجُلًا كَانَ يُقَالُ لَهُ غَيْلَانُ بْنُ سَلَمَةَ الثَّقَفِيُّ كَانَ تَحْتَهُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ عَشْرُ نِسْوَةٍ، فَأَسْلَمَ وَأَسْلَمْنَ مَعَهُ، فَأَمَرَهُ نَبِيُّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ ” يَتَخَيَّرَ مِنْهُنَّ أَرْبَعًا “

হযরত সালেম বিন আব্দুল্লাহ বিন উমর (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি দেখেছেন যে, গায়লান বি সালামা সাকাফী নামক এক ব্যক্তি যার অধীনে জাহিলী যুগ থেকে দশজন বিবি ছিল। তারপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন। সেই সাথে তার স্ত্রীগণও ইসলাম গ্রহণ করলেন। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে স্ত্রীগণের মাঝে চারজনকে রাখার আদেশ করলেন (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৩৮৪৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪১৫৮, মুসতাদরাক আলাস সহীহাইন, হাদীস নং-২৭৮১, সুনানে সগীর লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২৪১৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৪৬০৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৯৫৩, সুনানে দারা কুতনী হাদীস নং-৩৬৯৪, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৫৪৩৭)। 

عَنِ الْحَارِثِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَمِيرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: أَسْلَمْتُ وَعِنْدِي ثَمَانِ نِسْوَةٍ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” اخْتَرْ مِنْهُنَّ أَرْبَعًا “

হযরত হারেছ বিন কায়স বিন আমীরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করি, তখন আমার বিবি ছিল আটজন। এ কথা আমি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানালে তিনি আমাকে তাদের মাঝে চারজনকে রাখার আদেশ করেছেন (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৩৮৪৬, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৯৫২,সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২২৪১, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৩৬৯০, সুনানে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৬৮৭২)


حَدَّثَتْنِي أُمُّ زَيْنَبَ، أَنَّ أُمَّ سَعِيدٍ أُمَّ وَلَدِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عنه حَدَّثَتْهَا قَالَتْ: كُنْتُ أَصُبُّ عَلَى عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ الْمَاءَ، وَهُوَ يَتَوَضَّأُ، فَقَالَ: يَا أُمَّ سَعِيدٍ ” قَدِ اشْتَقْتُ أَنْ أَكُونَ عَرُوسًا ” قَالَتْ: فَقُلْتُ: وَيْحَكَ مَا يَمْنَعُكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: ” أَبَعْدَ أَرْبَعٍ؟ ” قَالَتْ: فَقُلْتُ: تُطَلِّقُ وَاحِدَةً مِنْهُنَّ وَتَزَوَّجْ أُخْرَى قَالَ: ” إِنَّ الطَّلَاقَ قَبِيحٌ أَكْرَهُهُ “

উম্মে যয়নব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উম্মে উসাইদ ছিলেন হযরত আলী (রাঃ) এর উম্মে ওয়ালাদ। তিনি বলেন, আমি হযরত আলী (রাঃ) কে পানি ঢেলে দিচ্ছিলাম। আর হযরত আলী অজু করছিলেন। তখন তিনি বললেন, হে উম্মে উসাইদ! আমি বাসর করতে চাই। তখন উম্মে উসাইদ বলেন, আমি বললাম, হে আমীরুল মু’মিমীন! আপনাকে মানা করেছে কে? তিনি বলেন, চারের বেশি হয়ে যাবে যে। তখন উম্মে উসাইদ বললেন, আপনার এক স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আরেকজনকে বিয়ে করুন। তখন হযরত আলী রাঃ বললেন, তালাক দেয়া নিকৃষ্ট কাজ। আমি এটা অপছন্দ করি। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৩৮৪৯)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ