শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

নিচে একটি সমিতির গঠনতন্ত্রের নমুনা দেয়া হলো। আশা করি এখান থেকে পরিপূর্ণ ধারণা লাভ করতে পারবেন।

গঠনতন্ত্র

১.০ ভূমিকা ১.১ ঢাকায় কর্মরত বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার সকল শ্রেণীর সরকারী ও বেসরকারী চাকরিজীবীগণের কল্যাণার্থে একটি সমিতি গঠন করা হইল। ২.০ নামকরণ ২.১ এই সমিতি "বৃহত্তর ফরিদপুর চাকরিজীবী কল্যাণ সমিতি, ঢাকা" নামে অভিহিত হইবে। ২.২ সমিতির স্থায়ী কার্যালয় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত হইবে। তবে নিজস্ব ভবন না হওয়া পর্যন্ত সমিতির কার্যাদি অস্থায়ী কার্যালয় কৃষি ভবন, ৩য় তলা, ৪৯-৫১ দিলকুশা বা/এ, ঢাকা-১০০০ হইতে পরিচালনা করা হইবে। সমিতির কোন শাখা থাকিবে না। ৩.০ সমিতি গঠনের উদ্দেশ্যাবলী ৩.১ সমিতি গঠনের উদ্দেশ্যাবলী নিম্নরুপ - (ক) সমিতির সদস্যদের মধ্যে পারস্পারিক পরিচিতি, বন্ধুত্ব ও সহমর্মিতার যোগসূত্র স্থাপন। (খ) সমিতি সদস্যের কোন প্রকার আর্থিক সংকট কিংবা চাকুরী সংক্রানত্দ অসুবিধা দেখা দিলে তাহা নিরসনের জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণ। (গ) সমিতির সদস্যদের পোষ্য এবং আত্মীয়স্বজনদের শিক্ষা গ্রহণ কিংবা চাকরি লাভে সহায়তা প্রদান। (ঘ) সমিতির সদস্যদের কিংবা তাহাদের আত্মীয় পরিজনদের সুচিকিৎসা লাভে সহায়তা প্রদান। (ঙ) বৃহত্তর ফরিদপুরের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় সরকারের কাছে উত্থাপন এবং সর্বাধিক আনুকূল্য লাভের জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। (চ) সদস্যদের পোষ্যদের মধ্যে মেধা ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা। (ছ) ইহা একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক এবং উন্নয়নমূলক সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠন। ৪.০ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা ও পদ্ধতি ৪.১ ঢাকায় কর্মরত বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার সরকারী ও বেসরকারী চাকরিজীবীগণ সমিতির সদস্য হইবার যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন। ৪.১.১ বেসরকারী চাকরিজীবী বলিতে ব্যাংক, বীমা, স্বায়ত্বশাসিত, এনজিও, আধা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ, বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরীরত শিক্ষকমণ্ডলী /কর্মকর্তা, এনজিও কর্পোরেশনে কর্মরতদের বুঝাইবে। ৪.২ নির্ধারিত হারে চাঁদা পরিশোধ করিতে ইচ্ছুক চাকরিজীবীগণ সাধারণ অথবা আজীবন সদস্যপদ লাভ করিতে পারিবেন। সাধারণ সদস্যদের সময়কাল সংশ্লিষ্ট বৎসরের ১ জানুয়ারি হইতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গণনা করা হইবে। ৪.২.১ আজীবন সদস্য বলিতে জীবিত থাকাকালীন সময়কে বুঝাইবে। ৪.৩ সদস্য হইবার জন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে ঃ (ক) সদস্য হইবার জন্য যে কোন সময় নির্ধারিত ফরম পূরণপূর্বক সাধারণ সদস্যদের জন্য সমিতির নির্বাহী কমিটি কতর্ৃক নির্ধারিত বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ করিতে হইবে। আজীবন সদস্যদের ক্ষেত্রে এককালীন সাকুল্য অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে। (খ) সাধারণ সদস্যপদ নবায়নযোগ্য এবং ৩১ মার্চ সময়ের মধ্যে বার্ষিক চাঁদা প্রদান করিয়া সদস্যপদ নবায়ন করা যাইবে। (গ) নির্বাহী কমিটির যে কোন একজন সদস্যের সুপারিশক্রমে নির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবেন। ৫.০ চাঁদার হার ৫.১ সমিতিরি নির্বাহী কমিটি সময়ে সময়ে আজীবন ও সাধারণ সদস্যদের চাঁদার হার নির্ধারণ করিবেন। তবে সকল ক্ষেত্রে পুনঃ নির্ধারিত হার পরবর্তী বৎসরের ১ জানুয়ারি হইতে কার্যকর হইবে। ৬.০ সদস্য পদ বাতিল যে কোন সদস্যর সদস্যপদ নির্বাহী কমিটির সিদ্ধানত্দমত নিম্নলিখিত কারণে বাতিল হইবে -

৬.১ কোন সাধারণ সদস্য ৩১শে মার্চের মধ্যে বৎসরের বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ না করিলে। ৬.২ সমিতির কোন সদস্য গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপের সাথে জড়িত হইলে বা প্রচলিত ফৌজদারী আইনে দণ্ডপ্রাপ্ত হইলে ; ৬.৩ মানসিকভাবে কোন সদস্য অসুস্থ বা অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত হইলে ; এবং ৬.৪ কোন সদস্য সমিতি হইতে বেতন ভাতা/সম্মানী গ্রহণ করিলে।

৭.০ সমিতির কাঠামো সমিতির কার্যাবলী সঠিক ও সন্তোষজনকভাবে পরিচালনার জন্য পৃষ্ঠপোষক, উপদেষ্টা কমিটি, নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ পরিষদ থাকিবে। ৭.১ সাধারণ পরিষদ সমিতির সকল সদস্য সমন্বয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হইবে। ৭.১.১ সাধারণ পরিষদের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ (ক) সমিতির গঠনতন্ত্র সংশোধন ও অনুমোদন ; (খ) নির্বাহী কমিটি নির্বাচন ; (গ) সমিতির বার্ষিক বাজেট ও নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী অনুমোদন ; (ঘ) বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন ; এবং (ঙ) অন্যান্য বিষয় যাহা নির্বাহী কমিটি সাধারণ পরিষদের বিবেচনার জন্য পেশ করিতে পারে। ৭.২ পৃষ্ঠপোষক ঃ সমিতির বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা প্রদানের জন্য বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার মন্ত্রী/উপদেষ্টা/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী অথবা সম পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ এবং বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার নির্বাচিত সম্মানিত সংসদ সদস্যবৃন্দ পৃষ্ঠপোষক থাকিবেন। ৭.২.১ পৃষ্ঠকপোষকবৃন্দ সমিতির সাধারণ সভা ও বিশেষ সাধারণ সভা, জাতীয় দিবসসমূহ উদ্যাপন অনুষ্ঠান, বার্ষিক বনভোজন ও অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানাদিতে আমন্ত্রিত হইবেন । ৭.৩ উপদেষ্টা পরিষদ সমিতির বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য নিম্নোক্তভাবে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হইবে ৭.৩.১ সমিতির প্রাক্তন সভাপতিগণ এবং, ৭.৩.২ নির্বাহী কমিটি কতর্ৃক বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫টি জেলা হইতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বনামধন্য অবসরপ্রাপ্ত/কর্মরত চাকুরিজীবী (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার নীচে নহে) সমন্বয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হইবে। নির্বাহী কমিটি উপদেষ্টাদের মধ্য হইতে পদমর্যাদা, দৰতা ও বয়স বিবেচনা করিয়া একজনকে উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি হিসাবে মনোনয়ন করিবে। ৭.৩.৩ উপদেষ্টা কমিটি সমিতির সাধারণ সভা ও বিশেষ সাধারন সভা, জাতীয় দিবসসমূহ উদ্যাপন অনুষ্ঠান, বার্ষিক বনভোজন ও অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানাদিতে আমন্ত্রিত হইবেন । ইহা ছাড়া কোন জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকালে নির্বাহী কমিটির সভায় বিশেষ আমন্ত্রণক্রমে যোগদান করিতে পারিবেন। ৭.৪ নির্বাহী কমিটি ঃ সমিতির দৈনন্দিন কার্য নির্বাহের জন্য সাধারণ পরিষদ কতর্ৃক নির্বাচনের মাধ্যমে দুই বৎসর মেয়াদে (ক্যালেন্ডার বৎসর) একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করা হইবে। ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলার সদস্যদের নিয়ে জেলা কোটা ভিত্তিতে এই কমিটি গঠিত হইবে। ৭.৪.১ নির্বাহী কমিটি নিম্নোক্তভাবে গঠন করা হইবে পদের নাম সংখ্যা সভাপতি ঃ ১ সহ সভাপতি ঃ ৫ (প্রতি জেলা হইতে ১ জন) সাধারণ সম্পাদক ঃ ১ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঃ ৫ (প্রতি জেলা হইতে ১ জন) কোষাধ্যক্ষ ঃ ১ সাংগঠনিক সম্পাদক ঃ ৫ (প্রতি জেলা হইতে ১ জন) প্রচার সম্পাদক ঃ ৫ (প্রতি জেলা হইতে ১ জন) ক্রীড়া সম্পাদক ঃ ১ সাংস্কৃতিক সম্পাদক ঃ ১ দপ্তর সম্পাদক ঃ ১ সমাজসেবা সম্পাদক ঃ ১ সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ঃ ১ শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ঃ ১ তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক ঃ ১ স্বাস্থ্যসেবা সম্পাদক ঃ ১ পরিবেশ সম্পাদক ঃ ১ আইন সম্পাদক ঃ ১ আনত্দর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ঃ ১ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক ঃ ১ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ঃ ৫ (প্রতি জেলা হইতে ১ জন) সদস্য ঃ ১৫ (প্রতি জেলা হইতে ৩ জন) সর্বমোট = ৫৫ জন ৮.০ নির্বাহী কমিটির দায়িত্ব ক) বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন; খ) গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠন পরিচালনা ; গ) সংগঠন পরিচালনা সংক্রানত্দ যাবতীয় কাজের জন্য দায়িত্ব পালন; ঘ) সংগঠনের প্রয়োজনে যে কোন প্রকার উন্নয়ন ও সেবামূলক প্রকল্প গ্রহণ; ঙ) নতুন সদস্য অনত্দর্ভর্ুক্তি ও সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধানত্দ গ্রহণ ; চ) সংগঠনের প্রয়োজনে কর্মচারী নিয়োগ; ছ) পরিকল্পনা, বাজেট প্রণয়ন, বাসত্দবায়ন, হিসাব নিরীক্ষণ এবং কর্মসূচি মূল্যায়ন ; জ) কর্মসূচি বাসত্দবায়নের জন্য বাসত্দবায়ন কমিটি এবং বিভিন্ন সাব কমিটি গঠন ও অনুমোদন ; ঝ) বার্ষিক/ত্রৈমাসিক/মাসিক খরচাদি মঞ্জুরী দান ; ঞ) সাংগঠনিক স্বার্থে বিভিন্ন তহবিল/মূলধন গঠন, ব্যয়ের খাত নির্ধারণ, প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালনা এবং সার্বিক দায় দায়িত্ব পালন ; এবং ট) গঠনতন্ত্রের ধারায় যাহার ব্যাখ্যা বা সুরাহা নেই তার ব্যাখ্যা প্রদান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। ৮.১ সভাপতি সভাপতি নিম্নোক্ত দায়িত্বসমূহ পালন করিবেন ঃ (ক) তিনি নির্বাহী কমিটির সকল সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (খ) সভা পরিচালনায় তিনি গঠনতন্ত্রের অনুসরণে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুযায়ী সখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন। (গ) কোন বিষয়ে ভোটাভুটিতে সমান সংখ্যক ভোট পড়িলে তিনি কাস্টিং ভোট দিতে পারিবেন। (ঘ) নির্বাহী কমিটির সহিত আলোচনাক্রমে তিনি নির্বাচন ও বার্ষিক সাধারণ সভা সংক্রানত্দ বিবৃতি কিংবা বিজ্ঞপ্তি জারী করিতে পারিবেন। ৮.২ সহ সভাপতি ঃ (ক) সহ সভাপতিগণ সমিতির সর্বপ্রকার কাজে সভাপতিকে সাহায্য করিবেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সহ সভাপতিদের মধ্য হইতে একজন সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। (খ) দীর্ঘ মেয়াদে সভাপতির অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সহ সভাপতিদের মধ্য হইতে একজন সভাপতির দায়িত্ব পালন করিবেন। ৮.৩ সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক নিম্নোক্ত দায়িত্বসমূহ পালন করিবেন ঃ (ক) সমিতির কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব তাঁহার উপর অর্পিত থাকিবে ; (খ) সভাপতির নির্দেশক্রমে তিনি নির্বাহী কমিটির সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভা আহবান করিবেন এবং ঐ সমস্ত সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করিয়া সংরক্ষণ করিবেন ; (গ) সমিতির সমুদয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ও দলিলপত্র তাঁহার হেফাজতে থাকিবে ; (ঘ) কোষাধ্যক্ষের মাধ্যমে তিনি পরিষদের তহবিল ও খরচ সংক্রান্ত বিষয়াদির উপর নজর রাখিবেন এবং এতদবিষয়ে প্রয়োজনে নির্বাহী কমিটিকে অবহিত করিবেন (ঙ) সাধারণ পরিষদের অবগতির জন্য বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি পরিষদের বিগত বৎসরের কার্যাবলী ও হিসাব সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করিবেন। (চ) সমিতির তহবিল হইতে প্রদেয় অর্থের সকল ভাউচার তাঁহার অনুমোদনের পরই পরিশোধ করা হইবে। (ছ) সমিতির পক্ষ হইতে সকল প্রকার লিখিত যোগাযোগ তাহার স্বাক্ষরে সম্পন্ন হইবে। (জ) জরুরি পরিস্থিতিতে কমিটির পূর্ব অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি এককালীন ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা খরচ করিতে পারিবেন। তবে উহা পরবর্তী কমিটির সভায় পেশপূর্বক ঘটনাত্তোর অনুমোদন লইতে হইবে। ৮.৪ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকগণ সমিতির সকল ধরনের কাজে নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা করিবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটি কতর্ৃক নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন। ৮.৫ কোষাধ্যক্ষ (ক) তিনি সমিতির আয়-ব্যয়ের হিসাব যথাযথভাবে সংরক্ষণ করিবেন। (খ) সমিতির তহবিলে জমা প্রদানের জন্য তিনি অর্থ প্রাপ্তির পরবর্তী ০৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে ব্যাংকে রক্ষিত সমিতির হিসাবে জমা করিবেন এবং ব্যাংকের চেক বহি ও জমা বহি সংরক্ষণ করিবেন। (গ) ব্যাংকের চেক বহিতে সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক এর সাথে তিনি যৌথ স্বাক্ষর করিবেন। (ঘ) হিসাব বিবরণী প্রস্তুুতপূর্বক নির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে তিনি প্রতি বৎসর বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করিবেন। (ঙ) বার্ষিক সভায় হিসাব বিবরণী পেশের পূর্বে তিনি পরবর্তী বৎসরের বাজেট ও নিরীক্ষিত হিসাব নির্বাহী কমিটির বিবেচনা ও অনুমোদনের জন্য পেশ করিবেন। ৮.৬ সাংগঠনিক সম্পাদক সমিতিকে একটি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে সাংগঠনিক সম্পাদকগণ সদস্যদের সহযোগিতায় সদস্য সংগ্রহ করিবেন। সদস্যপদ যথাসময়ে নবায়ন করা এবং অধিক হারে নতুন সদস্য সংখ্যা (আজীবন ও সাধারণ) বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি উদ্যোগী ভূমিকা পালন করিবেন। সকল সদস্যের নাম-ঠিকানার বহি প্রতি দুই বৎসর অন্তর হালনাগাদ করিয়া তিনি উহা প্রকাশের ব্যবস্থা করিবেন। প্রতি জেলার জন্য নির্ধারিত সাংগঠনিক সম্পাদক নিজ জেলার সদস্য সংগ্রহে দায়িত্ব পালন করিবেন। ৮.৭ প্রচার সম্পাদক সমিতির উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট তুলিয়া ধরিবার দায়িত্ব থাকিবে প্রচার সম্পাদকগণের উপর। সমিতির কর্মকাণ্ড প্রচার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারণার দায়িত্বও তিনি পালন করিবেন। ৮.৮ ক্রীড়া সম্পাদক বার্ষিক খেলাধুলার আয়োজন করা এবং সদস্যদের সনত্দান সনত্দতির ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য প্রশিৰণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। ৮.৯ সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে সদস্যদের বিনোদনের ব্যবস্থা, সদস্যদের সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে বিভিন্ন সৃজনধর্মী কর্মকাণ্ড বিষয়ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার প্রদানের আয়োজন, বিতর্ক সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ইত্যাদির মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা আলোচনা ও সরকারের বিবেচনার জন্য সুপারিশমালা প্রস্তুতকরণ এবং এই ধরনের অন্যান্য আয়োজনের দায়িত্ব সাংস্কৃতিক সম্পাদকের উপর অর্পিত থাকিবে। প্রতি বৎসর বার্ষিক সাধারণ সভার সহিত বিচিত্রানুষ্ঠান কিংবা নাটক মঞ্চায়নের জন্যও তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। ৮.১০ পরিবেশ সম্পাদক বৃক্ষরোপণ, কৃষি উন্নয়ন এবং পরিবেশের ভারসাম্য রৰার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন। ৮.১১ সমাজসেবা সম্পাদক তিনি বিভিন্ন জাতীয় দিবসসমূহ উদ্যাপনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ এবং বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করিবেন। ৮.১২ দপ্তর সম্পাদক তিনি সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশক্রমে অফিস সংক্রান্ত যাবতীয় কার্য পরিচালনা করিবেন। অফিসের সকল নথি ও আসবাবপত্র রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাঁহার উপর অর্পিত থাকিবে। ৮.১৩ সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাহিত্য সাময়িকী, সদস্য তালিকা বই প্রকাশ, স্মরণিকা ও বার্ষিকী প্রকাশনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন। ৮.১৪ শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি/আর্থিক সহায়তা প্রদান সহ সার্বিকভাবে শিক্ষা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। ৮.১৫ তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক বিজ্ঞান ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে সদস্যগণের পরিবার পরিজনের পেশাগত দৰতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং চাকরি বা কর্মসংস্থান সৃষ্টির লৰ্যে পেশাগত প্রশিৰণের আয়োজন করিবেন। ৮.১৬ স্বাস্থ্যসেবা সম্পাদক স্বাস্থ্য বিষয়ক ও স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সময়ে সময়ে এলাকায় স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা, এলাকার গরীব রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, অসহায় রোগীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, অপেক্ষাকৃত অনুন্নত এলাকায় হাসপাতাল/ক্লিনিক প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী ভূমিকা পালন করিবেন। ৮.১৭ আইন সম্পাদক প্রতিষ্ঠানের আইনগত বিষয়ে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা, সদস্যগণের চাকরি ক্ষেত্রে কোন আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হইলে উহাতে সহায়তা প্রদান করিবেন। ৮.১৮ আনর্ত্দজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ঢাকায় অবস্থিত বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে আনত্দঃ সম্পর্ক রৰা এবং সংগঠনের স্বার্থে পারস্পরিক যোগাযোগ সৃষ্টি করিবেন। ৮.১৯ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সংগঠনের উন্নয়ন কল্পে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ ও অফিস ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন। ৮.২০ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মহিলা সম্পাদকগণ মহিলা বিষয়ক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সমন্বয় করিবেন এবং মহিলা সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তৎপর থাকিবেন। ৮.২১ সদস্য সাধারণ পরিষদ ও নির্বাহী কমিটির সকল ধরনের কাজে সহায়তা প্রদান করিবেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে পরামর্শক্রমে তাহাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবেন। ৯.০ নির্বাহী কমিটির সভা ৯.১ নির্বাহী কমিটির সভা প্রতি দুই মাসে অন্তত একবার অনুষ্ঠিত হইবে। ৯.২ সভাপতির সহিত আলোচনাক্রমে সাধারণ সম্পাদক সভার তারিখ, সময়, স্থান ও আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করিবেন এবং সভা অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ পূর্বে সভার বিজ্ঞপ্তি জারী করিবেন। ৯.৩ কোন কারণ ব্যতিরেকে নির্বাহী কমিটির কোন সদস্য পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকিলে নির্বাহী কমিটিতে তাহার সদস্যপদ বাতিল করা যাইতে পারে; তবে, এই ক্ষেত্রে তাহাকে শুনানীর সুযোগ দিতে হইবে। কেহ বদলিজনিত কারণে সভায় উপস্থিত হইতে ব্যর্থ হইলে তাহার সদস্যপদ বহাল থাকিবে। ৯.৪ সভার কোরামের জন্য এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে। ১০.০ কো-অপট করা নির্বাহী কমিটির কোন সদস্য পদত্যাগ করিলে বা অন্য কোন কারনবশতঃ নির্বাহী কমিটি সদস্যের পদ শূন্য হইলে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাধারণ পরিষদের সদস্যদের মধ্য হইতে উক্ত পদে কো-অপট করা যাইবে। ১১.০ সাধারণ সভা ১১.১ প্রতি বৎসর মার্চ মাসের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হইবে। ১১.২ সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট, নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী ও সংশ্লিষ্ট বৎসরের প্রস্তাবিত বাজেটসহ সভার তারিখের কমপক্ষে ৩০ দিন পূর্বে সাধারণ সভার নোটিশ জারী করিতে হইবে। ১১.৩ সাধারণ সভার কোরামের জন্য আজীবন ও সাধারণ সদস্যদের সর্বমোট সদস্যের এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতি প্রয়োজন হইবে। ১১.৪ নির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষে বার্ষিক সাধারণ সভায় সাধারণ পরিষদ পরবর্তী দুই বৎসরের জন্য নির্বাহী কমিটি নির্বাচন করিবে। ইহা ছাড়া আলোচ্য সূচির বাহিরে সমিতি সংশ্লিষ্ট অন্য কোন বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে। ১২.০ জরম্নরী সভা নির্বাহী কমিটির সভা ৩ দিনে এবং সাধারন সভা ৭ দিনের নোটিশে আহ্বান করা যাইবে। ১৩.০ মুলতবী সভা কোন সভা মূলতবী হইলে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে মূলতবী সভা পূনরায় আহবান করিতে হইবে। মূলতবী সভায় উপস্থিত সদস্যদের সমন্বয়ে কোরাম হইবে। ১৪.০ তলবী সভা নির্বাহী কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অথবা সাধারণ সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের লিখিত অনুরোধে তলবী সভা আহ্বান করা যাইতে পারে। তলবী সভায় উপস্থিত সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে। ১৫.০ অনাস্থা প্রসত্দাব নির্বাহী কমিটির যে কোন কর্মকর্তা, সদস্য বা সমগ্র নির্বাহী কমিটির উপর অনাস্থা প্রসত্দাব আনা যাইবে। এ ৰেত্রে নির্বাহী কমিটির কোন কর্মকর্তা বা সদস্যের বিরম্নদ্ধে উক্ত কমিটির এক তৃতীয়াংশ সদস্য সভাপতির নিকট লিখিতভাবে অনাস্থা প্রসত্দাব পেশ করিবেন। সভাপতি উক্ত প্রসত্দাব পাইলে ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাহী কমিটির জরম্নরী সভা আহ্বান করিবেন। উক্ত সভায় উপস্থিত সদস্যের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতিতে সিদ্ধানত্দ গৃহীত হইবে। অনাস্থা প্রসত্দাবটি নির্বাহী কমিটির বিরম্নদ্ধে হইলে সে ৰেত্রে সাধারণ পরিষদের এক চতুর্থাংশ সাধারণ সদস্য লিখিতভাবে উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি বরাবর অনাস্থা প্রসত্দাব আনয়ন করিলে এ ৰেত্রে উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ১৫ দিনের মধ্যে সাধারণ পরিষদের সভা আহবান করিবেন। সাধারণ পরিষদের উপস্থিত সদস্যের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনে প্রসত্দাব গৃহীত হইবে। সেৰেত্রে উপদেষ্টা পরিষদ অনত্দর্বর্তীকালীন নির্বাচনের ব্যবস্থা করিবেন। [[ ১৬.০ নির্বাচন ঃ ১৬.১ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিদ্যমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ০৩ মাস পূর্বেই (৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে) নির্বাহী কমিটি তিন সদস্য বিশিষ্ঠ একটি নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য গঠন করিবে, যাহাদের মধ্যে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বাকী দুইজন নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্বপালন করিবেন। । ১৬.১.১ নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতা ঃ সমিতির সদস্য এমন চাকুরিরত/ অবসরপ্রাপ্ত উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে হইতে (যুগ্ম সচিবে পদপর্যাদার নীচে নহে) নির্বাচন কমিশনার মনোনয়ন করা হইবে। নির্বাচন কমিশনের সদস্যবৃন্দ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করিতে পারিবেন না। ১৬.২ কোন কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হইলে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে বিদ্যমান নির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত হইবে। সেক্ষেত্রে উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় নির্বাচন পরিচালনাসহ পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম সম্পাদন করিবেন। ১৬.৩ গোপনীয় ব্যালটে অথবা সকলের সম্মতির ভিত্তিতে নির্বাহী কমিটি সম্পূর্ণ কিংবা আংশিকভাবে নির্বাচিত হইতে পারিবে। তবে সমগ্র প্যানেলে সকলের সম্মতি না থাকিলে অমীমাংসিত পদসমূহে গোপনীয় ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন করিতে হইবে। ১৬.৪ নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশনা ও নির্বাহী কমিটি কতর্ৃক প্রস্তুতকৃত ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশন কতর্ৃক অনুমোদিত হইবে। ১৬.৫ নির্বাচন কমিশন গঠনের পর নির্বাহী কমিটি নির্বাচন বিষয়ক কোন কাজে হস্তক্ষেপ করিতে পারিবেন না। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ পরিচালনা করিবেন। এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নির্বাহী কমিটির নিকট যে যে সহায়তা চাইবে নির্বাহী কমিটি তাহা প্রদান করিবে। ১৬.৬ নির্বাচন কমিশন গঠনের পর মেয়াদ পূর্তির পূর্বে কোনভাবেই নির্বাহী কমিটি নির্বাচন কমিশনের কোন সদস্য পরিবর্তন করিতে পারিবেন না। তবে স্বেচ্ছায় কোন সদস্য পদত্যাগ করিলে বা অন্য কোন ভাবে তাহার পদ শূন্য হইলে তাহার স্থলে নির্বাহী কমিটি নতুন সদস্য নিয়োগ করিতে পারিবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করিলে নির্বাহী কমিটির সুপারিশক্রমে অপর কমিশনারদের মধ্য হইতে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার-এর দায়িত্ব পালন করিবেন। ১৬.৭ সুষ্ঠভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনে আলাদা নির্বাচন পরিচালনা বিধি প্রণয়ন করা যাইতে পারে। ১৭.০ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্যতা (ক) নির্বাচন কমিশনের সদস্য ; (খ) যাহারা সদস্যপদ নবায়ন পূর্বক ভোটার তালিকাভূক্ত হন নাই ; (গ) সভাপতি, সাধারন সম্পাদক বা কোষাধ্যক্ষ হিসাবে একই পদে পরপর ধারাবাহিকভাবে দুইবার নির্বাচিত হইয়াছেন ; এবং (ঘ) চাকরি হইতে অবসর গ্রহণ করিয়াছেন (সরকার নিধর্ারিত বয়স সীমা পর্যনত্দ) এমন কেহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচন করিতে পারিবেন না। ১৮.০ নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ ১৮.১ নির্বাচনের তারিখের কমপৰে ৩০ দিন পূর্বে সিডিউল ঘোষণা করিতে হইবে। ১৮.২ নির্বাচন কমিশন গঠনের সাথে সাথেই কমিশনের তত্ত্বাবধানে বৈধ সদস্য সমন্বয়ে একটি ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হইবে এবং নির্বাচনের জন্য ঘোষিত তারিখের কমপৰে ১৫ দিন পূর্বেই ইহা অবলোকনের জন্য সদস্যদের অবহিত করা হইবে। ১৮.৩ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কতর্ৃক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি তাঁহার বরাবরে লিখিতভাবে পেশ করিতে হইবে। ১৮.৪ নির্বাচন কমিশন আপত্তিসমূহ পরীক্ষা করিয়া ভোটার তালিকা সংশোধনপূর্বক উহা চূড়ান্ত করিবেন। ১৮.৫ চূড়ান্ত ভোটার তালিকার ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। ১৮.৬ নির্বাচনের মনোয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে নির্ধারিত সময় শেষে কোন পদে কত জন প্রার্থী আবেদন করেছেন নির্বাচন কমিশন সকলের সামনে তাহা প্রকাশ করিবেন। ১৯.০ ক্ষমতা হস্তান্তর নির্বাচন কমিশন কতর্ৃক নির্বাচনের চূড়ানত্দ ফলাফল ঘোষিত হওয়ার ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে বিদায়ী কমিটি নব নির্বাচিত নির্বাহী কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করিবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করিতে ব্যর্থ হইলে এই মেয়াদ অন্তে নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হইবেন। ২০.০ আর্থিক ব্যবস্থাপনা ২০.১ তহবিলঃ তহবিলের উৎসঃ সদস্য অন্তর্ভুক্তি ফি, ব্যক্তি/ সরকারী/বেসরকারী অনুদান, বিজ্ঞাপন থেকে আয়, সার্ভিস চার্জ, ঋণ, বিভিন্ন প্রকল্প হইতে অর্জিত লাভ, ইত্যাদি। কোন প্রকার প্রকল্প গ্রহণ করিবার পূর্বে নিবন্ধন কর্তৃপৰের অনুমোদন গ্রহণ করা হইবে এবং এই প্রকার প্রকল্পের আয় ব্যয়ের হিসাব নিবন্ধন কর্তৃপৰের নিকট দাখিল করা হইবে। ২০.২ ব্যাংক হিসাব পরিচালনা ঃ সমিতির সকল প্রকার লেনদেন পরিচালনার জন্য নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে যে কোন সিডিউল ব্যাংকে সমিতির নামে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক একাউন্ট খুলিতে হইবে। কোষাধ্যক্ষ এবং সভাপতি / সাধারণ সম্পাদকের যে কোন একজনের যৌথ স্বাক্ষরে হিসাব পরিচালিত হইবে। তবে বিশেষ ৰেত্রে জরম্নরি প্রয়োজনে আলোচ্য তিনজনের মধ্যে যে কোন দুই জনের যৌথ স্বাৰরে ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করা যাইবে। ২১.০ হিসাব নিরীক্ষণ সংস্থার সকল হিসাব নিকাশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অডিট ফার্ম বা সমানসেবা অফিসার দ্বারা নিরীৰা করাতে হবে। নিরীৰা প্রতিবেদন নিবন্ধন কর্তৃপৰের বরাবর প্রেরণ করতে হবে। ২২.০ গঠনতন্ত্রের সংশোধন বার্ষিক সাধারণ সভার তিন মাস পূর্বে সমিতির সদস্যগণের লিখিত প্রসত্দাবের ভিত্তিতে নির্বাহী কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত গঠনতন্ত্রের সংশোধনী প্রস্তাব বার্ষিক সাধারণ সভায় বিবেচনা ও অনুমোদনের জন্য পেশ করা হইবে। উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনে সংশোধনী প্রস্তাব গৃহীত হইবে। চূড়ানত্দ অনুমোদনের জন্য নিবন্ধিকরণ কতর্ৃপৰের নিকট পেশ করিতে হইবে এবং অনুমোদিত হইলে উহা কার্যকরী হইবে। ২৩.০ আইন বিধির প্রাধান্য এই গঠনতন্ত্রে যা কিছু উলেস্নখ থাকুক না কেন সংস্থাটি ১৯৬১ সালের ৪৬ নং অধ্যাদশের আওতায় প্রচলিত আইন অনুযায়ী সকল কার্যক্রম পরিচালিত হইবে। অন্যান্য কার্যক্রম সংশিস্নষ্ট মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ কর্তৃপৰের অনুমোদন সাপেৰে কার্যকর হইবে। ২৪.০ প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তি কোন সুনির্দিষ্ট কারণে প্রতিষ্ঠানের মোট সদস্যের ৪/৫ অংশ (চার-পঞ্চমাংশ) সদস্য প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তি চাইলে যথানিয়মে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানের সকল স্থাবর/ অস্থাবর সম্পদ অন্য কোন সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা যাইবে। অন্যথায় নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারিবেন। ……………………………..স মা প্ত………………………. সাধারণ সভা নং-১ অদ্য ০৭/০৪/২০১০ তারিখ বুধবার বিকাল ৬.০০টায় ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে জনাব মোজাম্মেল হক খান এর আহবানে ঢাকায় কর্মরত বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরস্পর পরিচিতি, কল্যাণ, এলাকার উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার উদ্দেশ্যে একটি সমিতি গঠন কল্পে একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জনাব আনিস উদ্দিন মিঞা সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের নাম ও স্বাৰর ঃ- নাম স্বাৰর সভার আলোচনা ও সিদ্ধানত্দ সমূহ ঃ ১। সভার শুরম্নতে উপস্থিত সকলের মধ্যে পরিচয় ও শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। ২। সভায় সভাপতির অনুমতিক্রমে জনাব নলিনী রঞ্জন বসাক উপস্থিত সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে সভার কাজ শুরম্ন করেন। তিনি প্রথমে সমিতি গঠনের উদ্দেশ্য ও লৰ্য ব্যাখ্যা করেন এবং সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন। উপস্থিত সকল সদস্য সানন্দে সমিতি গঠনের প্রসত্দাবে একমত পোষণ করেন। ৩। জনাব রম্নসত্দম আলী মোলস্না তার বক্তব্যে সমিতির একটি গ্রহণযোগ্য নামকরণের আহবান জানান। ৪। বিভিন্ন বক্তা তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন নামের প্রসত্দাব করেন। অতঃপর সর্ব সম্মতিক্রমে "বৃহত্তর ফরিদপুর চাকরিজীবী কল্যাণ সমিতি" নামকরণ গৃহীত হয়। ৫। সভায় উক্ত নামে সমিতিটিকে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন লাভের সিদ্ধানত্দ গৃহীত ও অনুমোদিত হয়। ৬। সভায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী একটি খসড়া গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয় ঃ ক) আহবায়ক - নলিনী রঞ্জন বসাক খ) সদস্য - মোঃ আবুল বাসার গ) সদস্য - বদরউদ্দিন বিশ্বাস উক্ত কমিটিকে আগামী সভায় খসড়া গঠনতন্ত্র চূড়ানত্দ অনুমোদনের জন্য পেশ করার অনুরোধ করা হয়। ৭। সভায় সমিতির কার্যক্রম শুরম্নর বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনানত্দে সমিতির কমিটি গঠন এবং কমিটি কর্তৃক সমিতির জন্য অফিস ভাড়ার পর কার্যক্রম শুরম্নর সিদ্ধানত্দ সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। অতঃপর অন্য কোন আলোচনা না থাকায় সভাপতি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন। মোঃ আনিস উদ্দিন মিঞা সভাপতি সাধারণ সভা নং-২ অদ্য ৩০/০৪/২০১০ তারিখ শুক্রবার বিকাল ৬.০০টায় জনাব নলিনী রঞ্জন বসাক এর আহবানে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে বৃহত্তর ফরিদপুর চাকরিজীবী কল্যাণ সমিতির এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জনাব মোজাম্মেল হক খান সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। সভায় উপস্থিত সম্মনিত সদস্যদের নাম ও স্বাৰর ঃ- নাম স্বাৰর আলোচনা ও সিদ্ধানত্দ সমূহ ঃ ১। সভার শুরম্নতে বিগত সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। ২। বিগত সভার সিদ্ধানত্দ মোতাবেক খসড়া গঠনতন্ত্রটি জনাব নলিনী রঞ্জন বসাক সভায় উপস্থাপন করেন। গঠনতন্ত্রটি উপস্থাপনার পর এর উপর বিভিন্ন সদস্যগণ ব্যাপক আলোচনা ও পর্যালোচনা করেন এবং কিছু কিছু ধারার সংশোধন ও সংযোজন করেন। অতঃপর উপস্থিত সদস্যগণ সর্ব সম্মতিক্রমে গঠনতন্ত্রটি "বৃহত্তর ফরিদপুর চাকরিজীবী কল্যাণ সমিতির" গঠনতন্ত্র হিসেবে অনুমোদিত ও গৃহীত হয়। ৩। সভায় অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের সংশিস্নষ্ট ধারা মোতাবেক আগামী সভায় একটি কার্য নির্বাহী কমিটি গঠনের সিদ্ধানত্দ সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। অন্য কোন আলোচনা না থাকায় সভাপতি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন। মোঃ মোজাম্মেল হক খান সভাপতি সাধারণ সভা নং-৩ অদ্য ২৪/০৫/২০১০ তারিখ সোমবার বিকাল ৬.০০টায় জনাব নলিনী রঞ্জন বসাক এর আহবানে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে বৃহত্তর ফরিদপুর চাকরিজীবী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জনাব আনিস উদ্দিন মিঞা সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত সম্মানিত সদস্যদের নাম ও স্বাৰর ঃ- নাম স্বাৰর -০২- সভার আলোচনা ও সিদ্ধানত্দ সমূহ ঃ ১। বিগত সভার কার্যবিবরণী পাঠ করা হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। ২। সভার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংস্থার কার্যক্রম সুষ্টু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্নাঙ্গ নির্বাহী কমিটির নামের তালিকা চৌধুরী আমির হোসেন সভায় উপস্থাপন করেন। উক্ত তালিকার উপর ব্যাপক আলোচনার পর নির্বাচন না করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রথম নির্বাহী কমিটি গঠনের সিদ্ধানত্দ হয়। উক্ত কমিটির নামের তালিকার উপর উপস্থিত সদস্যদের কোন আপত্তি না থাকায় নিম্নোক্ত কমিটিটি আগামী ০২ (দুই) বৎসরের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। কমিটি নিম্নরূপ ঃ- -০৩- ৩। নব নির্বাচিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত সকল সদস্য কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সমিতির কাজ সুষ্টভাবে পরিচালনার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। ৪। সভায় অনতিবিলম্বে সমিতিটিকে নিবন্ধনের জন্য জনাব নলিনী রঞ্জন বসাক ও জনাব বদরউদ্দিন বিশ্বাসকে সর্বসম্মতিক্রমে দায়িত্ব দেয়া হয়। ৫। সভায় নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য জেলা ভিত্তিক সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেয়া হয়। ৬। সর্বসম্মতিক্রমে আজীবন সদস্য ফি এককালীন ১,০০০/-(এক হাজার) টাকা এবং সাধারণ সদস্যদের ৰেত্রে বার্ষিক চাঁদা ১০০/- (একশত) টাকা নির্ধারণ করা হয়। ৭। সভায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন কমিটি?

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ