হাঁটু ব্যথা কি?

হাঁটু ব্যথা হচ্ছে একটি সাধারণ সমস্যা। হাঁটু ব্যথা মূলত আঘাতজনিত, হাড়ক্ষয় বাত বা অস্টিওআথ্রাইটিসের কারণে হয়। এর ফলে নামাজ পড়তে সমস্যা, হাঁটাচলা বা দৌড়াতে সমস্যা, দাঁড়িয়ে থাকলে ব্যথা করে, সিঁড়ি দিয়ে উঠতে কষ্ট হয় প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়।

হাঁটু ব্যথা কাদের বেশি হয়?

হাঁটু ব্যথা সাধারণত সব বয়সে হতে পারে বিশেষ করে যাদের রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তবে ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে লোকদের বেশি হাঁটু ব্যথা হয়। কারণ বয়স ৪০ বছরের বেশি হওয়ার পর আস্তে আস্তে শরীরের রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। ফলে হাড় ক্ষয় হওয়া শুরু করে এবং ব্যথা ও বাড়তে থাকে।

হাঁটু ব্যথার কিছু ঘরোয়া উপায়ঃ

হাঁটু ব্যথার কিছু ঘরোয়া উপায় নিচে তুলে ধরা হলোঃ

১। কোথাও বেখেয়ালিভাবে হাঁটু বা পায়ে আঘাত লাগলে কয়েকদিন নড়াচড়া কম করুন এবং ভারী কাজ না করলে দ্রুত হাঁটু ব্যথা আরোগ্য লাভ হবে।

২। কোথাও এক্সিডেন্ট বা ধাক্কা লেগে হাঁটুতে ব্যাথা পেলে ওই ব্যথার স্থানে বরফ দিন এবং ক্রেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখুন।

৩। শরীরে ওজন বেশি হওয়ার কারণে শরীর ভার হয়ে হাঁটু ব্যথা হতে পারে। তাই ওজন কমাতে পারলে হাঁটু ব্যথা সমস্যা থেকে অনেকটাই সমাধান মিলবে।

৪। আঘাতের কারণে হাঁটু ব্যথা হলে গরম সেঁক দিলে ব্যথা কমতে পারে। এবং উঞ্চ জলে স্নান বা ব্যথার স্থানে উঞ্চ জল ব্যবহার করা যায়। এতে হাঁটু ও শরীর ভালো লাগবে।

৫। সাধারণ হাঁটু ব্যথা হলে যোগব্যায়ামের সাহায্য নিন। যোগব্যায়াম করলে শরীর সতেজ হয় এবং ব্যথাও কমবে। আর অতিরিক্ত আঘাত বা ঘা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।




হাঁটু ব্যথায় আকুপাংচার এর ভূমিকাঃ

ঐতিহ্যগত চীনা ওষুধের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, আকুপাংচার। যা সাধারণত ব্যথা পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ নিয়ন্ত্রণ সহ সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। আঘাতজনিত, হাড়ক্ষয় বাত বা অস্টিওআথ্রাইটিসের কারণে হাঁটু ব্যথা হয়। এসব সমস্যার জন্যে ও আকুপাংচারের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব। আকুপাংচার হল শরীরের কৌশলগত জায়গায় খুব সূক্ষ্ম সূঁচ প্রবেশ করানো। ফলে ওই স্থানটি উদ্দীপ্ত হয় এবং রক্ত চলাচল বৃদ্ধি ঘটে। যার ফলে শরীরের উক্ত স্থানের ব্যথা অপসারণ করতে থাকে। আকুপাংচার একটি নির্দিষ্ট সময় প্রয়োগ করতে হয়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনাকে আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী করে তোলে এবং শরীরকে আরো কার্যক্রম করে। এক্ষেত্রে আকুপাংচার দেওয়ার পূর্বে আপনার শরীরের উক্ত স্থান গুলিকে অবশ্যই পরিষ্কার করা হবে এবং দক্ষ আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ দিয়ে তা পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষণ এর পর আকুপাংচার সূঁচ গুলো শরীরের ব্যথা যুক্ত স্থানে ফোটানো হবে এবং ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত সেটি রাখতে হবে।

এই ধরণের ব্যথা নিরাময়ে অনেক ভালো ভালো ফিজিওথেরাপি ও আকুপাংচার সেন্টার রয়েছে তার মধ্যে একটি অন্যতম হাসপাতাল হচ্ছে ঢাকার শান্তিনগর চৌরাস্তাতে অবস্থিত শশী হাসপাতাল। এখানে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় দক্ষ আকুপাংচার বিশেষজ্ঞ ডাঃ এস এম শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে আকুপাংচারের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তার দীর্ঘ সময়ের আকুপাংচার অনুশীলন এবং দক্ষ পদ্ধতি রোগীদের দীর্ঘসময় ধরে সেবা দিয়ে আসছে এবং অনেক রোগী ব্যথা থেকে মুক্ত হচ্ছে।

এই ধরণের যেকোনো ব্যথার সমস্যা নিয়ে আপনি যদি শশী হাসপাতালে আসতে চান, আসতে পারেন। মানবতার সেবায় সর্বদা শশী হাসপাতাল আপনার পাশেই রয়েছে।



শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে