শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call


১. গ্যাস্ট্রিক আলসার, ডিওডেনাল আলসার, রিফ্লাক্স ইসোফ্যাগাইটিস, সল্প মাত্রার এসপিরিন গ্রহনের ফলে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রিক অথবা ডিওডেনাল আলসারের পুনরাবৃত্তি থেকে প্রতিরোধ, NSAID ওষুধ গ্রহনের ফলে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রিক অথবা ডিওডেনাল আলসারের পুনরাবৃত্তি থেকে প্রতিরোধ ।

গ্যাস্ট্রিক আলসার, ডিওডেনাল আলসার: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য স্বাভাবিক মৌখিক ডোজ ২০ মি.গ্রা. ভনোপ্রাজান দিনে একবার, গ্যাস্ট্রিক আলসারের জন্য ৮ সপ্তাহ এবং ডিওডেনাল আলসারের জন্য ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত।

রিফ্লাক্স ইসোফ্যাগাইটিস: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য স্বাভাবিক মৌখিক ডোজ ২০ মি.গ্রা. ভনোপ্রাজান দিনে একবার মোট ৪ সপ্তাহ। যদি এই ডোজ অপর্যাপ্ত প্রমানিত হয় সেক্ষেত্রে ওষুধ গ্রহনের সীমা সর্বোচ্চ ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

রিফ্লাক্স ইসোফ্যাগাইটিসের পূনরাবৃত্তি এবং পূনরুত্থানের মৌখিক মেইনটেনান্স ডোজ হিসেবে ১০ মি.গ্রা. ভনোপ্রাজান দিনে একবার। অপর্যাপ্ত কার্যকারীতার ক্ষেত্রে, এই মাত্রাকে দিনে ২০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

সল্প মাত্রার এসপিরিন গ্রহনের ফলে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রিক অথবা ডিওডেনাল আলসারের পুনরাবৃত্তি থেকে প্রতিরোধ: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য স্বাভাবিক মৌখিক ডোজ ১০ মি.গ্রা. ভনোপ্রাজান দিনে একবার।

NSAID ওষুধ গ্রহনের ফলে ফলে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রিক অথবা ডিওডেনাল আলসারের পুনরাবৃত্তি থেকে প্রতিরোধ: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য স্বাভাবিক মৌখিক ডোজ ১০ মি.গ্রা. ভনোপ্রাজান দিনে একবার।

হেলিকোব্যাক্টর পাইলরি চিকিৎসায় সহায়ক হিসেবে: প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত তিনটি ওষুধের নিয়মটি দিনে ২ বার ৭ দিন গ্রহন করতে হবেঃ ২০ মি.গ্রা. ভনোপ্রাজান, ৭৫০ মি.গ্রা. এমোক্সাসিলিন, ২০০ মি.গ্রা. ক্লারিথ্রোমাইসিন। প্রয়োজনে ক্লারিথ্রোমাইসিনের মাত্রা সর্বোচ্চ দিনে ২ বার ৪০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

যদি হেলিকোব্যাক্টর পাইলরি চিকিৎসায় প্রোটোন পাম্প ইনহিবিটর, এমোক্সাসিলিন এবং ক্লারিথ্রোমাইসিন, এই তিনটি ওষুধের নিয়মটি ব্যার্থ হয় সেক্ষেত্রে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে নিম্নলিখিত ওষুধগুলো দিনে ২ বার ৭ দিন গ্রহন করতে হবেঃ ২০ মি.গ্রা. ভনোপ্রাজান, ২৫০ মি.গ্রা. মেট্রোনিডাজল।


ভনোপ্রাজান খাবারের আগে বা পরে যেকোনো সময় গ্রহন করা যেতে পারে।

ভনোপ্রাজান নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিতঃ
ভনোপ্রাজান অথবা এর কোন এক্সপিয়িন্টের প্রতি অতি-সংবেদনশীল রোগী
আটায়ানাভির সালফেট, নেলফিনাভির এবং রিলপিভিরিন হাইড্রোক্লোরাইড ওষুধ গ্রহন করছে এমন রোগী


ভনোপ্রাজান গ্রহনের সাথে নিম্নলিখিত পার্শপ্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়েছেঃ ডায়রিয়া, কোষ্টকাঠিন্য, ওষুধের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা (অ্যানাফাইল্যাক্টিক শক সহ), ড্রাগ ইরাপশন, আর্টিকারিয়া, হেপাটোটক্সিসিটি, জন্ডিস, র‍্যাস, বমি বমি ভাব, পেট ফুলে যাওয়া, গামা-গ্লুটামিল ট্রান্সফারেস বৃদ্ধি পাওয়া, এএসটি বৃদ্ধি পাওয়া, অস্বাভাবিক লিভার ফাংশন টেস্ট, এএলটি বৃদ্ধি পাওয়া, এএলপি বৃদ্ধি পাওয়া, এলডিএইচ বৃদ্ধি পাওয়া, গামা-জিপিটি বৃদ্ধি পাওয়া, ইডিমা এবং ইওসিনোফিলিয়া।

শুধুমাত্র যদি প্রত্যাশিত থেরাপিউটিক সুবিধা কোন সম্ভাব্য ঝুঁকির চেয়ে বেশি বলে মনে করা হয় শুধুমাত্র সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় ভনোপ্রাজান গ্রহন করা যেতে পারে। স্তন্যদানকালে ভনোপ্রাজান গ্রহন না করাই বাঞ্ছনীয়, যদি কখনো ভনোপ্রাজান গ্রহন করা অপরিহার্য হয় সেক্ষেত্রে স্তন্যদান বন্ধ রাখা উচিত।

ভনোপ্রাজান দ্বারা চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে রোগের কোর্স নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করতে হবে এবং রোগের অবস্থা অনুযায়ী নুন্যতম থেরাপিউটিক প্রয়োজনীয়তা ব্যবহার করা উচিত। দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিবিড় পর্যবেক্ষন যেমন এন্ডোস্কপির দ্বারা পর্যবেক্ষন করা উচিত।

রিফ্লাক্স ইসোফ্যাগাইটিসের মেইনটেনান্স ডোজের ক্ষেত্রে, ভনোপ্রাজান শুধুমাত্র যেসকল রোগীদের ক্ষেত্রে রিফ্লাক্স ইসোফ্যাগাইটিসের পূনরাবৃত্তি এবং পূনরুত্থান ঘটেছে তাদের গ্রহন করা উচিত

যখন নিরাময় দীর্ঘ সময়ের জন্য বজায় থাকে এবং যখন পুনরাবৃত্তির কোন ঝুঁকি থাকে না, তখন ডোজ ২০ মি.গ্রা. থেকে কমিয়ে ১০ মি.গ্রা. কমানো বা ওষুধ গ্রহন বন্ধ করা বিবেচনা করা উচিত।

বয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: সাধারনত যেহেতু বয়স্কদের ক্ষেত্রে কিছু শারীরবৃত্তীয় ফাংশন যেমন, হেপাটিক অথবা রেনাল ফাংশন হ্রাস পায় তাই বয়স্ক রোগীদের ভনোপ্রাজান গ্রহনের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: শিশু এবং কিশোরদের ক্ষেত্রে ভনোপ্রাজানের নিরাপত্তা এবং কার্যকারীতা এখনও পর্যন্ত সুপ্রতিষ্ঠিত নয়। তাই ১৮ বছরের কম বয়স্ক শিশু এবং কিশোরদের ক্ষেত্রে ভনোপ্রাজান নির্দেশিত নয়।

বৃক্কীয় বৈকল্যের রোগী: যেসকল রোগীদের মৃদু থেকে মাঝারী বৃক্কীয় বৈকল্য (ইজিএফআর ৩০ থেকে ৮৯ মি.লি./মিনিট) রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সেবন মাত্রার কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। তীব্র বৃক্কীয় বৈকল্যের (ইজিএফআর <৩০ মি.লি./মিনিট) ক্ষেত্রে ভনোপ্রাজান সেবন পরিহার করতে হবে।

যকৃত বৈকল্যের রোগী: যেসকল রোগীদের মৃদু যকৃত বৈকল্য (চাইল্ড-পাহ ক্লাস এ) রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সেবন মাত্রার কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। মাঝারী থেকে তীব্র যকৃত বৈকল্যের (চাইল্ড-পাহ ক্লাস বি অথবা সি) ক্ষেত্রে ভনোপ্রাজান সেবন পরিহার করতে হবে।

ভনোপ্রাজানের মাত্রাধিক্যতার কোন ঘটনা পাওয়া যায়নি। ভনোপ্রাজান হেমোডায়ালাইসিস এর মাধ্যমে সংবহন তন্ত্র থেকে সরানো যায় না। যদি অতিমাত্রা ঘটে তখন উপসর্গ অনুযায়ী এবং সহায়ক চিকিৎসা করতে হবে।
৩০° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার নিচে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। আলো থেকে দূরে রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

test

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call
Test
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ