মনোবিজ্ঞানী ব্রাউন জনতা এবং উচ্ছৃঙ্খল জনতা সম্পর্কে কি বলেছেন?

নিয়ম-শৃঙ্খলার বেড়াজালে আবদ্ধ থেকে অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয় বলে কবি নিজেকে ‘অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল’ অভিহিত করে শৃঙ্খল ভাঙার বার্তা দিয়েছেন। পরাধীন ভারতবর্ষে ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের জাঁতাকলে মানুষকে...

মনোবিজ্ঞানী Lewin, Lippit এবং White এর মতানুযায়ী নেতৃত্ব তিন প্রকার। যথা : (ক) প্রভুত্বব্যঞ্জক নেতৃত্ব, (খ) গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব এবং (গ) স্বল্প নিয়ন্ত্রণ বিশিষ্ট। নেতৃত্ব।

চার প্রকার । যথা: ১. আক্রমণাত্মক উচ্ছৃঙ্খল জনতা, ২. সংগ্রহ প্রবণ উচ্ছৃঙ্খল জনতা, ৩. অভিব্যক্তিপূর্ণ উচ্ছৃঙ্খল জনতা ও ৪. আতঙ্কিত উচ্ছৃঙ্খল জনতা ।

সমাজ মনোবিজ্ঞানী ব্রাউন (Brown) জনতাকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন। যথা : (ক) সক্রিয় জনতা (Active Crowd ) এবং (খ) নিষ্ক্রিয় জনতা (Passive Crowd).

জনতার আচরণ যখন অত্যধিক উত্তেজিত হয়ে চরম আকার ধারণ করে এবং মারমুখো ও আক্রমণমুখী হয়ে ধ্বংসত্মক তৎপরতা চালায় তখন সেই জনতাকে উচ্ছৃঙ্খল জনতা বলে।

আভিধানিক অর্থে উচ্ছৃঙ্খল জনতা হচ্ছে দাঙ্গাকারী জনতা যারা দলবদ্ধ হয়ে বিশৃঙ্খলভাবে আক্রমণ করে।

সমাজবিজ্ঞানী রুমার (Blumer) এর মতে, যে ক্রিয়াশীল জনতা সাধারণত একজন নেতার নেতৃত্বে আক্রমণাত্মক আচরণে লিপ্ত হয় তাকে উচ্ছৃঙ্খল জনতা বলে।”

সমাজ মনোবিজ্ঞানী ব্রাউন (Borwn) উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে চার ভাগে ভাগ করেছেন। যথা : (ক) আক্রমণাত্মক উচ্ছৃঙ্খল জনতা (Aggressive Mob), (খ) আতঙ্কিত উচ্ছৃঙ্খল জনতা (Panicky Mob), (গ) সংগ্রহপ্রবণ উচ্ছৃঙ্খল জনতা ( Acquisitive...

নিত্য প্রয়োজনীয় অথচ দুষ্প্রাপ্য জিনিস সংগ্রহকারী জনতাকে উচ্ছৃঙ্খল জনতা বলা হয়।

অভিব্যক্তিপূর্ণ উচ্ছৃঙ্খল জনতা বলতে এমন এক ধরনের জনতাকে বুঝায় যারা অন্তর্গত সকল ব্যক্তি বা আবেগ অনুভব করছে তা প্রকাশ করে দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি ও বৈচিত্র্যহীনতা থেকে মুক্তি পেতে চায়।