প্রাবন্ধিক মনে করেন, মুক্তবুদ্ধির চর্চার মাধ্যমে সুপরিকল্পিত পথে কল্যাণময় পৃথিবী রচনা সম্ভব। ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে লেখক মানব-কল্যাণের প্রকৃত তাৎপর্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন অনেকে দুস্থ মানুষকে করুণাবশত দান-খয়রাত করাকে মানব কল্যাণ বলে মনে করেন। কিন্তু লেখকের মতে, এমন কাজ সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচায়ক। কালে এভাবে কখনোই কল্যাণময় পৃথিবী রচনা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াসই হলো মানব-কল্যাণ। অর্থাৎ সঙ্গ অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ