টাকার জন্য লিখলে লোকরঞ্জন-প্রবৃত্তি প্রবল হয়ে পড়ে বলে বঙ্কিমচন্দ্র টাকার জন্য লিখতে বারণ করেছেন। সাধারণত অর্থ উপার্জনের আশায় লিখতে গেলে সেখানে মানুষের মন রক্ষার বিষয়টি এসে পড়ে। এদেশের সাধারণ পাঠক শিক্ষা ও রুচির বিবেচনায় উন্নতির শিখর থেকে অনেকটাই দূরে। তাদের অধিকাংশই উন্নত মননের অধিকারী নয়। তাই সাধারণ পাঠকের মনোরঞ্জন করতে গেলে লেখককে তাদের স্তরে নামতে হবে। এর ফলে লেখককে রচনার মানের সাথেও আপস করতে হবে। এ কারণেই বঙ্কিমচন্দ্র টাকার কথা ভেবে লিখতে নিষেধ করেছেন।