কবি ‘বৃথা জন্ম এ সংসারে’ বলতে নিষেধ করেছেন কেন?

‘আমার পরিচয়’ কবিতায় কবি বাঙালি জাতির বিদ্রোহের ইতিহাস বোঝাতে কৈবর্ত বিদ্রোহের উল্লেখ করেছেন। বাঙালি জাতি সংগ্রামী জাতি। তারা যুগ যুগ ধরে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। জীবন বাজি রেখে অন্যায়কে রুখে দিয়েছে...

‘আমার পরিচয়’ কবিতায় কবি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহারের উল্লেখ করে বাঙালির প্রত্নতাত্বিক ঐতিহ্যের কথা বোঝাতে চেয়েছেন। বাঙালি জাতির রয়েছে এক সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। যুগে যুগে বাংলার রাজারাজড়ারা বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন স্থাপন করে...

‘আমার পরিচয়’ কবিতায় কবি বাঙালির শিল্পের সমৃদ্ধ ইতিহাস বোঝাতে পালযুগের চিত্রকলার উল্লেখ করেছেন। প্রাচীনকালে বাংলায় পালযুগের প্রায় চারশত বছরের ইতিহাসে শিল্প-সাহিত্যের অসামান্য বিকাশ সাধিত হয়। চিত্রকলায়ও এই সময়ের সমৃদ্ধি অত্যন্ত...

কপোতাক্ষ নদ সাগরকে কর হিসেবে পানি দেয় – এই বিবেচনায় কবি কপোতাক্ষ নদকে প্রজা বিবেচনা করেছেন। প্রজাদের কাজ থেকে রাজা কর বা রাজস্ব আদায় করে থাকেন। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি...

বাইরের জগতের চাকচিক্য জীবনের প্রকৃত রূপ এ উদ্দেশ্যকে ধারণ করে না। তাই কবি বাহ্যদৃশ্যে ভুলতে নিষেধ করেছেন। মানবজীবন ক্ষণস্থায়ী। এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে সংসারে নিজের কাজে রত থেকে মহাজ্ঞানীদের দেখানো পথে...

বৈরাগ্যে কোনো মুক্তি নেই বলে আমাদের সংসারে সংসারী সাজতে হবে। সংসার ত্যাগ করে বৈরাগ্য সাধন করেলে স্মরণীয় হওয়া যায় না। তাই সংসারের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেই আমাদের মহাজ্ঞানীদের দেখানো পথে...

পৃথিবীতে কেউ কারো নয়- ঠিক না বলে কবি আলোচ্য কথাটি বলে কাঁদতে নিষেধ করেছেন। সংসার সমরাঙ্গনে সুখ-দুঃখ আসবেই। তাই বলে হতাশ হয়ে পড়ে থাকার যৌক্তিকতা নেই। মানবজন্ম বৃথা এবং মানব-সম্পর্ককে...

অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে বর্তমানের কাজ ব্যাহত হয় বলে কবি অতীত সুখের দিন চিন্তা করে কাতর হতে নিষেধ করেছেন। অতীত কখনো ফিরে আসে না। তাই অতীত নিয়ে চিন্তা করে বৃথা...

মমতাদি মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারী হওয়ায় ছোট ছেলেটি তাকে বামুনদি বললে তিনি তাকে বামুনদি বলতে নিষেধ করেন। একসময় রান্না বা গৃহকর্মে নিয়োজিত ব্রাহ্মণ নারীদের কথ্যরীতিতে বামুনদি বলা হতো। গল্পের ছোট ছেলেটিও...

প্রিয়জন হারানোর বিষাদময় স্মৃতি ভুলতে না পেরে নিঃস্ব কবিকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। প্রকৃতিতে বসন্তের আগমন ঘটলেও কবির মনোজগৎ জুড়ে বিরাজ করছে শীতের রিক্ততা ও বিষন্নতার ছবি। কবির...