বর্তমান সময়ে প্রচন্ড একটি বাজওয়ার্ড হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। আমরা ফেসবুক বা ইউটিউবে গেলেই ডিজিটাল মার্কেটিং, ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। চারদিকে এতো বেশি যে বিষয়টি নিয়ে শুনছি যে মাঝে মাঝে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে জানতে ইচ্ছে হয়নি এমন মানুষ সম্ভবত নেই। 

প্রশ্ন হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং আসলে কি? এটা দিয়ে কি হয়? 

আজকের লেখায় আমি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এই বিষয়টি জানতে হলে সবার আগে আমাদের জানতে হবে মার্কেটিং কি? 

মার্কেটিং হচ্ছে কোন পণ্য বা সেবার প্রতি তার সম্ভাব্য কাস্টমারদের আগ্রহ তৈরি করার প্রক্রিয়া। 

ধরণের আপনার একটা প্রোডাক্ট আছে। আপনি সেটা বিক্রি করতে চান। প্রোডাক্টটি বিক্রি করতে হলে আপনাকে এর গুনাগুন বা এই প্রোডাক্ট কি কি কাজে লাগে, কেন দরকার, এই বিষয়গুলো মানুষজনকে জানাতে হবে। তাই না? 

কারণ মানুষজন যদি আপনার পন্যের প্রয়োজনীয়তাটা না বুঝতে পারে, তাহলে নিশ্চয়ই কেউ কিনবে না? তাহলে এখানে আপনাকে সবার আগে আপনার প্রোডাক্টের প্রতি মানুষজনের আগ্রহ তৈরি করতে হবে এই গুনাগুন বা ফিচারগুলো মানুষজনে জানিয়ে। 

আপনি যে যে উপায়ে আপনার পন্যের কথা মানুষজনকে বলে তাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করবেন সেই প্রতিটি এক্টিভিটিকে আমরা মার্কেটিং বলবো। 

মার্কেটিং এর সাথে সেলসের একটা বড় পার্থক্য হচ্ছে- মার্কেটিং এ আপনার কাজ হচ্ছে পণ্যেরে প্রতি কাস্টমারদের আগ্রহ তৈরি করা। 

আর সেললের কাজ হচ্ছে পণ্য বিক্রি করার এক্টিভিটি। 

তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং কি? 

আমরা মার্কেটিং কোথায় করি? 

যেখানে আমাদের সম্ভাব্য কাস্টমার এভেইলএবল থাকে আমরা সেখানেই মার্কেটিং করি। 

বর্তমান যুগ হচ্ছে ইন্টারনেটের যুগ। আমরা বেশিরভাগ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া- ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব ব্যবহার করি। একটু ভেবে দেখেন আপনি ফেসবুকে একসাথে যতগুলো মানুষকে পাচ্ছেন, এতোগুলো মানুষকে একসাথে ফিজিক্যালি পাওয়াটা কি খুব সহজ ব্যাপার? 

অবশ্যই না। 

অনলাইনে যেহেতু প্রচুর মানুষকে একসাথে পাওয়া যায়, তাই এটা কিন্তু মার্কেটিং এর জন্য হতে পারে একটি আদর্শ স্পেস। 

যখন আমরা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আমার সম্ভাব্য কাস্টমারকে আমার পণ্য বা সার্ভিস নিয়ে কথা বলে তাদের আগ্রহ তৈরি করে, তখনই তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলি। 


ডিজিটার মার্কেটিং এই সুবিধা- 

১. খরচ কম

২. সহজে কাস্টমার পাওয়া যায়

৩. রিয়েল টাইম কাস্টমারের ফিডব্যাক পাওয়া যায়

৪. ইন্সট্যান্ট মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের রেজাল্ট এনালাইসিস করা যায়। 

৫. সহজে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা যায়

৬. গ্লোবাল অডিয়েন্স রিচ করা যায়। 

এক কথায় কম খরচে বেশি লাভ। 



একজন Digital Marketer এর কাজ কি?

১. প্রথমে নির্দিষ্ট পণ্য বা সার্ভিস নিয়ে বিস্তারিত আইডিয়া তৈরি করা। 

যেমন- পণ্যের গুনাগুন, এই পণ্যের মধ্যে বিশেষ এমন কি আছে যা অন্য কোন প্রডাক্টে নেই, পণ্যের দাম, এই পণ্য ব্যবহার করে একজন মানুষের কি লাভ হবে ইত্যাদি সব কিছু নিয়ে জানতে হবে। 

২. পণ্যের ব্যাপারে যে আইডিয়াগুল তৈরি হল সেগুলো অনুয়ায়ি এবার সম্ভাব্য কাস্টমার কারা হতে পারে, সেই কাস্টমারদের ডিফাইন করা। কাস্টমার ডিফাইন করতে হলে অবশ্যই উপরের ধাপের সবগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হবে। 


৩. যে মানুষগুলো আমার সম্ভাব্য কাস্টমার হতে পারে, যাদেরকে আমি ২ নং পয়েন্টে ডিফাইন করেছি, সেই মানুষগুলকে অনলাইনে কোথায় কোথায় সবচেয়ে বেশি পাওয়া যাবে এই প্লেসগুলো নির্ধারণ করা হচ্ছে এই ধাপের কাজ। 


৪. আমার সম্ভাব্য কাস্টমারকে ৩ নং প্লাটফর্মগুলতে রিচ করতে হলে কি কি ধরণের কনটেন্ট তৈরি করতে হবে সেটার পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে এই ধাপের কাজ। 


উপরের চারটি ধাপ অনুয়ায়ি একটা প্রতিষ্ঠানের জন্য মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করতে হয় একজন ডিজিটাল মার্কেটারকে। 




 


 



শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে