আমরা সবাই জানি, পরমাণুর ভিতরে ইলেকট্রন থাকে। আবার যে তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় সে তারের মধ্যেও ইলেকট্রন থাকে। সাধারণ অবস্থায়, তারের ভিতরের ইলেকট্রনগুলো এলোমেলো ভাবে ছড়ানো থাকে। কিন্তু যখন এই তারের সাথে কোন সোর্স বা ব্যাটারি যুক্ত করা হয় তখন সোর্স বা ব্যাটারি অনেকটা পাম্পের মতো কাজ করে এবং এলোমেলো ইলেকট্রন গুলোকে ধাক্কা দিতে থাকে। তখন এই ইলেকট্রন গুলো একদিকে গতি প্রাপ্ত হয় এবং তখনই তারের ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ শুরু হয়ে যায়।
এবার আসুন একটি উদাহরণের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করি –
মনে করি, কোন পানির পাইপের সাথে একটি পাম্প লাগানো আছে। পাইপের ভিতরে পানি আছে কিন্তু পানির কণাগুলো স্থির অবস্থায় রয়েছে এবং পাইপের ভিতরের পানি কোথাও প্রবাহিত হচ্ছেনা। কিন্তু যখনই পাম্প চালু করা হলো তখনই পাইপের ভিতর দিয়ে পানির প্রবাহ শুরু হয়ে গেলো। এক্ষেত্রে পাম্প চাপ প্রয়োগ করে পানির কণাকে একটি নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত করছে।
এখানে,
পাইপ হচ্ছে পরিবাহী বা তার, পানির কণা হচ্ছে ইলেকট্রন এবং পাম্প হচ্ছে ব্যাটারি।
উপরের আলোচনা হতে আমরা বলতে পারি, ইলেকট্রনের প্রবাহই হচ্ছে কারেন্ট।
ইলেকট্রিক্যাল বা ইলেকট্রনিক্সের ভাষায় “নির্দিষ্ট সময়ে কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে যে পরিমাণ ইলেকট্রন বা চার্জ প্রবাহিত হয় তাকে কারেন্ট বলে”।
অর্থাৎ,
কারেন্ট = ইলেকট্রন প্রবাহের হার / সময়ের পার্থক্য।