লেবু আমরা কম-বেশি সকলেই খেয়ে থাকি। সাধারণভাবে খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য লেবু ব্যবহার করি। আবার অনেকেই লেবুর আচার তৈরিতে ব্যবহার করে থাকেন। লেবুর আকার ছোট হলেও এর উপকারিতা প্রচুর আর পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
লেবুর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান, যা শরীরকে বিভিন্ন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে। লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-সি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
পাশাপাশি সারাদিন রোজা রাখলে ডিহাইড্রেশন সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু লেবুর জল বা পানি খেলে এ সমস্যা দূর হয়ে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, লেবুর অসাধারণ কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা।
লেবুর উপকারিতা :
১. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
লেবুর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের সমারোহ যা শরীরকে বিভিন্ন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে। প্রতিদিন লেবু খাদ্য তালিকায় রেখে দিলে আমারা ক্যান্সারের হাত থেতে সহজেই রক্ষা পেতে পারি।
২. পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে
যারা পেটের গোলযোগে সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য লেবু আদর্শ। পেটের গোলযোগের মধ্যে ডায়রিয়া, আমাশয়, বদহজম, কোষ্টকাঠিন্য যা আমাদের শরীরকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দেয়। কিন্তু প্রথমে ১ গ্লাস লেবু রস+লবন পানি খেলে আপনাকে এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দেবে। লেবুর সাথে ১- চা চামচ মধু হলে আরো ভালো।
৩. ফুসফুসের জন্য ভালো
লেবু খাওয়ার ফলে ফুসফুস ভালো থাকে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত দ্রব্য একেবারেই বের করে দেয়। লেবু খাওয়ার ফলে শরীরের মধ্যে চর্বি ও লিপিডের মাত্রা কমে যায়।
৪. ক্ষত তাড়াতাড়ি সারায়
লেবুর মধ্যে উচ্চ ভিটামিন যা শরীরের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বাড়ায়। যে কোন ভাইরাস জনিত ইনফেকশন যেমন ঠান্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর দমনে লেবু খুব উপকারী, মুত্রনালীর মধ্যে ক্ষত সারাতেও লেবুর গুরুত্বপূর্ণ।
৫. হাইপার টেনশন কমায়
খাবারে যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম গ্রহণ না করলে সহজেই নানা রকম হৃদরোগে আক্রন্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু লেবুর রসে যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে, যা হাইপার টেনশন কমাতে সহায়তা করে।
৬. ত্বকের যত্নে
প্রাকৃতিক পরিষ্কারক হিসাবে লেবুর জুড়ি নেই, লেবু ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে। লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়,ত্বকের সংকোচন সৃষ্টিকারীকে নিয়ন্ত্রণে মধ্যে রাখে ও ত্বকের অতিরিক্ত তেল অপসারণ করে।
আরো পড়ুন : লেবু খাওয়ার উপকারিতা
লেবুর রস (lemon juice) প্রাকৃতিকভাবে অ্যানটি সেপটিক। যা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দূর করে, ব্রণ দূর করে তোলে, ত্বকের রং উজ্জ্বল করে, বয়সের বলিরেখা একেবারেই দূর করে।