মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের মধ্যে বুদ্ধি এবং সৃজনশীলতা আছে; মানুষের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও অন্যান্য জীবে তা নেই। তাই মানুষের বুদ্ধির কাছে সব কিছু পরাভূত। কমপিউটার মানুষেরই তৈরি যন্ত্র যা মানুষের অনেক কাজ ক্লান্তিহীনভাবে নির্ভুলতার সাথে দ্রুত করে দেয়। কমপিউটার বিশাল তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে এবং সংরক্ষিত বিশাল তথ্য থেকে যেকোন তথ্য নিমিষেই খুঁজে বের করতে পারে। কমপিউটারের নিজস্ব কোন বুদ্ধি নেই। এটি শুধু তাতে সংরক্ষিত তথ্য এবং প্রােগ্রামের আলােকে কাজ করতে পারে। কোন সমস্যার আলােকে নিজ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে পারে না। কমপিউটারও যাতে কোন সমস্যা দেখা দিলে নিজ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তার জন্য তাতে অনেক সমস্যার সমাধান ঢুকিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একেই বলে আর্টিফিশিয়েল ইনটেলিজেন্সি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলাে মানুষের চিন্তা ভাবনাগুলােকে কৃত্রিম উপায়ে কমপিউটার বা কমপিউটার প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রের মধ্যে রূপ দেয়ার ব্যবস্থা। এটি বর্তমানে কমপিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে ।এই শাখায় কমপিউটারকে মানুষের মতাে চিন্তা ভাবনা করে অসম্পন্ন তথ্য ব্যবহার করে পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্তে পৌছবে, সমস্যার সমাধান করবে, পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে সেই বিষয়গুলাে নিয়ে ব্যাপকভাবে গবেষণা চলছে। দাবা খেলার সব নিয়ম-কানুন ঢুকিয়ে দিয়ে কমপিউটারকে করা হয়েছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দাবাড়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খানিকটা এক্ষেত্রেও প্রয়ােগ করা হয়েছে । কোন চাল দিলে কোন চাল দিতে হবে তা দাবার প্রােগ্রামযুক্ত কমপিউটার নিজ থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। শুধু দাবা নয়, এভাবে অনেক তথ্য বা সমস্যার সমাধান দিয়ে কমপিউটারকে বুদ্ধিমান যন্ত্রে পরিণত করা যায়। কমপিউটার তার স্মৃতিকোষে সঞ্চিত তথ্য বিচার ও বিশ্লেষণ করে জটিল সমস্যার সমাধান বের করতে পারে।