ঘটনা বলার আগেই পেশেন্ট কান্নায় ভেঙে পড়লে আমি তাকে খানিকটা শান্ত হতে বললাম। দীর্ঘবছরের সংসার,আছে দুই ছেলে মেয়ে।তবুও কিছুদিন আগে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হয়েছে। স্বামীর সমস্যা আগে থেকেই ছিলো(প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন)। যদিও এটা নিয়ে স্ত্রী কখনোই তাকে কোনো অভিযোগ করেনি। হঠাৎ হঠাৎ স্বামী বুঝতে পারে কিছু গড়মিল,সংসারে কোনো না কোনো সমস্যা হচ্ছে যা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি সন্দেহ করেন এই যে-স্ত্রীর হয়ত অন্যত্র কোনো গভীর সম্পর্ক আছে। কিন্তু যখনই তিনি সন্দেহ করতে আরম্ভ করেন লক্ষ্য করেন -স্ত্রী অনেক বেশি নফল রোযা রাখছে,অনেক আমল করছে,সারাদিন কোরআন তিলাওয়াত করছে। তখন স্বামী নিজেই নিজেকে ধিক্কার দিতে শুরু করে এই ভেবে যে এমন স্ত্রীকে আমি সন্দেহ করছি! ছিহ!! নিজেকেই অপরাধি ভেবে মন থেকে মুছে ফেলতে চায় সন্দেহগুলো। স্ত্রীর ব্যবহারও অনেক বেশি ভালো ছিলো তার শ্বশুড়বাড়ির প্রতি,এলাকাবাসীও তার নাম প্রশংসায় রাখতো। কিন্তু যখনই পুরুষের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলো,সত্য আর চাপা থাকলো না স্বামীর কাছে। তিনি হাতেনাতে স্ত্রীকে ধরে ফেললেন পরপুরুষের সঙ্গে। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারলেন একাধিক পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্কের কথা। তিনি বাধ্য হয়ে ডিভোর্স দিয়ে দেন। স্বামীর নিজের পাড়াতো ভাই,চাচাতো ভাইয়েরা স্বীকারোক্তি দিলো এমন বৌকে ছেড়ে দিলি! সে তো বড়ই ভালো ছিলো। হাস্যকর! সবচে করুন যে কথাটি সেটা হলো পেশেন্টের ছোট যে মেয়ে সন্তান সেটাও অন্য কোনো লোকের,উনার নিজের নয়। বললেন-ছোট থেকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছি,সন্তান ভেবেছি,এখন মায়ায় জড়িয়ে গেছি।নিজের মেয়ে মনে করেই যাবতীয় ভরনপোষন দিয়ে যাচ্ছি। হায় আফসোস …!! জীবনসঙ্গী যদি ঠকিয়ে যায় তবে জীবনের অনেককিছু ধ্বংস হয়ে যায়,বিধ্বস্ত মানুষটির তখন আর কিছু করবার সুযোগ থাকেনা। সে একা হয়ে পড়ে,কান্নায় ভেঙে পড়ে… এজন্যই প্রতিটি মানুষ তার কর্মফল ভোগ করবে,করতেই হবে॥©®
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে